গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
মোদি রাজস্থানে গিয়ে বলছেন, এই রাজ্যকে তাঁর সরকার এক নম্বর করে দেবে। আবার সোমবার ওড়িশায় গিয়ে বলেছেন, এবার বিজেপি ওড়িশায় ক্ষমতাসীন হবে। আর তারপর ওড়িশা হবে দেশের এক নম্বর রাজ্য। গত বছর ছিল কর্ণাটক বিধানসভা ভোট। প্রচারে গিয়ে মোদি মেঙ্গালুরুর জনসভায় বলেছিলেন, এখানে বিজেপি সরকার গঠিত হলেই দেশের এক নম্বর রাজ্য হবে কর্ণাটক। ২০১৪ সালে এবং ২০২৪ সালে দু’বারই মোদি ঝাড়খণ্ডে বলেছেন, এই রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, সেই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এই রাজ্যকে দেশের এক নম্বর করা হবে। মঙ্গলবার মোদি মহারাষ্ট্রের জনসভায় বলেছেন, মহারাষ্ট্রে আগে সম্পূর্ণ বিকাশ থমকে গিয়েছিল। এনডিএ জোটের সরকার আসার পর এখানে আবার উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দৃষ্টান্তমূলক কাজের মাধ্যমে বহু সেক্টরে মহারাষ্ট্র এক নম্বর হবে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, যখন যে রাজ্যে যাচ্ছেন, মোদি সেই রাজ্যকেই এক নম্বর করার কথা বলছেন। এভাবে আসলে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে, মানুষকে তিনি বোকা ভাবেন। সব রাজ্য একসঙ্গে এক নম্বর কীভাবে হবে? কর্ণাটক থেকে রাজস্থান। ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড। বাংলা সম্পর্কে মোদি ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বলেছিলেন, এমন একটা বাণিজ্য ও শিল্প ব্যবস্থা করা হবে যাতে, পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হবে বাংলা। ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকলে বাংলা আর পিছিয়ে থাকবে না। এবার লোকসভা ভোটে মোদি একের পর এক রাজ্যে গিয়ে সেই এক নম্বরের প্রতিশ্রুতিকে অন্যতম প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আজকের যুগে প্রধানমন্ত্রী কখন কোথায় কী বলছেন, সেটা নিমেষের মধ্যেই জানা যায়। এরপরওতিনি একের পর এক রাজ্যে গিয়ে সবাইকে এক নম্বর করার আশ্বাস কীভাবে দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।