গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কর্মশালায় রেল চালকদের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তুলে ধরেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জার অমলেন্দু মাজি। রেল ট্র্যাকে বা পাশে হাতি দেখা গেলে চালকদের কী করতে হবে এবং কী করা যাবে না, তা নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। রেঞ্জার অমলেন্দুবাবু বলেন, ট্রেন চালকরা হর্ন বাজালে অনেক সময় হাতি ক্ষেপে যেতে পারে। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। সেজন্য এবার লাইনে হাতি থাকলে চালকদের হর্ন বাজাতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও লাইনে হাতি দেখা গেলে প্রাথমিকভাবে কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, সেসব বিষয়েও চালকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে শিলিগুড়ি জংশন পর্যন্ত ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গিয়েছে ১৬৪ কিমি রেলপথ। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এই রুটে শেষবার ট্রেনে কাটা পড়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ২৭ নভেম্বর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় মাল ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়। যার মধ্যে দু’টি শাবক ছিল।
তারপর থেকে এই রুটে রেল ও বনদপ্তর আরও সতর্ক। ঘটনার পর পাঁচমাস ধরে এখন জঙ্গলের ভিতর ২৫ কিমি বেগে ট্রেন চলছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের দমনপুর থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরে রেল ট্র্যাকে মাঝেমধ্যেই হাতির দল ঘোরাঘুরি করছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের ডাকে সাড়া দিয়ে বনদপ্তর ট্রেন চালকদের নিয়ে কর্মশালা করল। ট্রেনে হাতি মৃত্যু রুখতে রেল ও বনদপ্তরের মধ্যে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ চালু করা হয়েছে। জংশনে ডিআরএম অফিসের কন্ট্রোল রুমে প্রতিদিন একজন করে বনকর্মীও থাকছেন। ফাইল চিত্র