শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের আওতায় পড়ে ব্রাহ্মণপাড়া। পঞ্চায়েত প্রধান মুজিবর রহমান খন্দেকর বলেন, কয়েকদিন আগে ওই এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে পাইপ ফেটে গিয়েছে। তাই জলের একটু সমস্যা রয়েছে। তবে আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করা হবে।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মাজিদার ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে প্রায় ১৫০ পরিবারের বসবাস। ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক থাকায় বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল থাকলেও তার জল খাওয়া যায় না। তিন বছর আগে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন দিয়ে জলের সংযোগ দেয় পিএইচই। অভিযোগ, কয়েকদিন ওই পাইপলাইন দিয়ে জল পেলেও তারপর আর জল মেলে না। বারবার বিডিও অফিস থেকে শুরু করে কালনায় পিএইচইর অফিসে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। গরমে জলের সঙ্কট থাকায় পাশের গ্রাম থেকে জল কিনে হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন আগেই আউশগ্রামের জনসভায় পানীয় জলের যাতে কোথাও সংকট না হয়, সেটা দেখতে বলে গিয়েছেন। তিনি ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে যান। এরপরও ব্রাহ্মণপাড়ার জলসঙ্কট মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
গ্রামের বাসিন্দা চঞ্চল সিংহরায় বলেন, প্রথমে যখন পাইপলাইনের সংযোগ দিয়েছিল, তখন মাত্র কয়েকদিন জল পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে আর জল আসে না। পাইপলাইন বাড়িতেই রয়েছে। তাতে মরচে ধরে গিয়েছে। আমরা বিডিও অফিসে বহুবার জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। বাধ্য হয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে।
ওই গ্রামের ৫৬ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য রাধারমণ ঘোষ বলেন, আমার নিজের বাড়ি ওই গ্রামে। আমি নিজেও জল পাই না। বহুবার পঞ্চায়েতের মিটিংয়ে জলের সমস্যার কথা জানিয়েছি। তবু কাজ হয়নি।
কমলনগর জলপ্রকল্প থেকেই কয়েক বছর আগে মাজিদার বেশ কয়েকটি মৌজায় কয়েক হাজার পরিবারকে জলের পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। ব্রাহ্মণপাড়ার মতো বহু গ্রামেই জলের সমস্যা রয়েছে। এতে পিএইচইর ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।