গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী তখনও সভামঞ্চে এসে পৌঁছননি। কিন্তু তার আগে বহু মহিলাকে বসানো হয় সভামঞ্চের সামনে ডি-জোনে। তাঁরা সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এছাড়া সভায় ছাউনির বাইরে বাসের ছাদেও বহু তৃণমূল কর্মীকে ভিড় করে বসে থাকতে দেখা যায়। এমনকী হেলিপ্যাডেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চে ঢুকতেই সাউন্ডবক্সে বেজেছে ‘জনগণের গর্জন/বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।’ সেই গানেই নেচে ওঠেন মহিলাদের অনেকে। আবার মমতার সভা ছেড়ে যাওয়ার সময়ও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। দুধের শিশুকে কোলে নিয়েও অনেক মহিলাকে সভাস্থলে দেখা যায়। আবার মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েও বিপুল জনতা থেকে ভেসে আসে উলুধ্বনি। বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের সমর্থনে পাত্রসায়রে নির্বাচনী জনসভার ছবিটা ছিল অনেকটা এরকমই। সভায় ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, জ্যোৎস্না মাণ্ডি, দলীয় পর্যবেক্ষক সমীর চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান অলোক মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী সহ অনেকেই।
বিষ্ণুপুরের প্রার্থী সুজাতা তাঁর ভাষণে বলেন, ৪ জুনের পর আপনারা নিজেদের বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা একজন বাড়িয়ে দেবেন। আমি আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য। আমি দিনরাত আপনাদের পাশে থাকব। জিতে আসার পর আপনাদের দুঃখের দিনে অবশ্যই থাকব। তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার মতো একজন মহিলাকে প্রার্থী করে নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। ফলে বিষ্ণুপুর আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাদের উপহার দিতে হবে। তবেই ১০ বছরের ভুল আমরা শুধরে নিতে পারব।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপক মহিলাদের উপস্থিতিই এদিন জানান দিয়েছে বিষ্ণুপুরে তৃণমূল জিতছে। সুশৃঙ্খলভাবে এদিন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, ছোট গাড়ি, বাইকে করে কর্মীরা এসেছেন। মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দলকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে। যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, এদিনের সভা ফ্লপ হয়েছে। ভিড় নিয়ে তৃণমূল যা ইচ্ছে দাবি করুক। ভোটের বাক্সে মানুষ বিজেপিকেই সমর্থন জানাবেন।