শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিনপুর থানার কালপরাশি গ্রামে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল। নিমাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী কানাইলাল হেমব্রমের(৪৫)। সেকথা নিমাই ও তার প্রতিবেশীরা জানত। খুনের ঘটনার কিছুদিন আগে নিমাইয়ের স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর নিমাই সহ অনেকেরই সন্দেহ হয় যে কানাইলাল তাঁকে ফুসলিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে রেখেছে। স্ত্রীকে না পেয়ে রাগে ফুঁসতে থাকে নিমাই। ৩০ সেপ্টেম্বর সকালে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কানাইলাল। সেই সময় আচমকা তাঁকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে কোপ মারে নিমাই। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন কানাইলাল। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি সাইকেল নিয়ে চম্পট দেয় নিমাই। যদিও ঘটনাটি কয়েকজন প্রতিবেশী দেখে ফেলেন। কানাইলালের দেহ শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওইদিন কানাইলালের দাদা বীরেন্দ্রনাথ হেমব্রম বিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালত নিমাইকে দোষী সাব্যস্ত করে।
সরকারি আইনজীবী প্রবীর পাল বলেন, বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এটি ঠান্ডা মাথায় করা জঘন্যতম অপরাধ বলে বিচারক জানিয়েছেন।
ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, আমাদের ট্রায়াল মনিটরিং সেলের তরফে পুরনো মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। দ্রুত ট্রায়াল হওয়ায় দোষীকে শাস্তি দেওয়া গেল। দোষ করলে কেউ ছাড় পাবে না।