ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে পুরুলিয়া শহরের জিইএল চার্চ মাঠে নামবেন অভিষেক। সেখান থেকে এক কিমি দূরে একটি বেসরকারি হোটেলে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। শাসকদলের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, দুপুর একটা নাগাদ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা। ভোটের রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক। বিভিন্ন এলাকার সুবিধা-অসুবিধা নিয়েও তিনি খোঁজ নিতে পারেন।
তৃণমূলের জেলা নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী নির্দেশ দেন, তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছি। প্রচারের ক্ষেত্রে ও সংগঠনের কোনও সমস্যা আছে কি না-তা জানতে চাইলে নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হবে। আগামী কয়েকদিন জেলায় দল কীভাবে পরিচালিত হবে-সে বিষয়ে স্পষ্ট দিক নির্দেশ দেবেন অভিষেক।
ইতিমধ্যে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিভিন্ন ব্লকে নির্বাচনী কমিটি তৈরি করেছে। বেশিরভাগ জায়গায় ব্লক সভাপতির পাশাপাশি নির্বাচনী কমিটির একজন আলাদা চেয়ারম্যান করা হয়েছে। একাধিক ব্লকে ওই কমিটি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তবে অভিষেক আসার আগেই এবিষয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকের বৈঠকে যাতে কেউ জেলা নেতৃত্বের বিষয়ে কোনও অভিযোগ না জানান-সেবিষয়ে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করেছে তারা।
ভোট ঘোষণার পর থেকে ব্লক ও জেলা স্তরের কোন নেতা কীভাবে কাজ করেছেন, কারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সক্রিয় ছিলেন, কে শুধু ছবি তুলেই কর্মসূচি থেকে চলে গিয়েছেন-এসব বিষয়ে নির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে দল। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই অভিষেক বিভিন্ন স্তরে সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করবেন। একাধিক জেলা তৃণমূল নেতা নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ও পরিসংখ্যান তৈরি করে রেখেছেন। নিজেদের এলাকার সমস্যার বিষয়ে অভিষেক কিছু জানতে চাইলে সে প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতিও তাঁরা নিয়ে রেখেছেন।
অভিষেকের বৈঠকস্থলের ১০ কিলোমিটারের মধ্যেই একই দিনে বিজেপির নির্বাচনী জনসভা রয়েছে। মফস্বল থানার শিবডি এলাকার জনসভায় একাধিক রাজ্য বিজেপি নেতার আসার কথা রয়েছে।