ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চিলাডাঙি পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকদিন ধরে হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। বৃহস্পতিবার শেষ দিন ছিল। এলাকার অল্পবয়সি ছেলেরা প্রথা ও রীতি মেনে ধুলোটে মেতেছিলেন। বিকেলের দিকে গৃহবধূর অল্পবয়সি ছেলের সঙ্গে পাড়ার একটি ছেলের মারামারি হয়। ঘটনা ঘিরে গৃহবধূর সঙ্গে পাড়ার কয়েকজন যুবকের বচসা হয়। অভিযোগ সেই সময় ওই বধূকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনা ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, আমরা তৃণমূল করি বলে এলাকার বিজেপি কর্মীদের রাগ। নানা ছুতোয় আমাদের উত্ত্যক্ত করা হয়। রাস্তা দিয়ে গেলে শুনিয়ে শুনিয়ে জয় শ্রীরাম বলে। কখনও কখনও গালিগালাজও করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। সেই সময় শুভজিৎ মালিক, প্রসেনজিৎ মালিক ও হরেকৃষ্ণ মালিক আমাকে গালিগালাজ করে। চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে অনেকের সামনে দিয়ে বাদাম গাছের জমিতে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। গণধর্ষণ করা হয়। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাইছি।
বধূর স্বামী বলেন, তৃণমূল করি বলে এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা নানাভাবে কটূক্তি করে। পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়ার চেষ্টায় থাকে। বৃহস্পতিবার সামন্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার স্ত্রীর উপর অমানবিক অত্যাচার করা হয়। রাতেই থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। দলীয় নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা খোকন মল্লিক বলেন, খবর পেয়ে রাতে এলাকায় ছুটে যাই। আক্রান্ত ওই দলীয় কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা চাই দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিক। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, আমাদের দলের একের পর এক কর্মী বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে। কখনও ভোজালি দিয়ে কোপ মারা হচ্ছে, কখনও আবার গলায় ব্লেড চালিয়ে দিচ্ছে। এবার তৃণমূল করার অপরাধে দলের এক মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণ করা হল। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, আমাদের তিনজন বিজেপি কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যে চিকিৎসক মহিলার ধর্ষণের রিপোর্ট দিয়েছেন, তা ভুল। নতুন রিপোর্টের জন্য আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।