ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: বিজেপির জাঁকজমকপূর্ণ মিছিলের জেরে দেরি হল বামেদের মনোনয়ন পেশে। একাধিক জায়গায় আটকানো হল বামেদের মিছিল। তা নিয়েই উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। বামেদের তাতাতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বামেদের মিছিল থেকে পাল্টা উঠল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান। শুক্রবার বিজেপি ও বাম, দুই দলের প্রার্থীদেরই মনোনয়ন জমা ছিল। বিজেপির মনোনয়ন জমার সময় ছিল সকাল ১১টা, বামেদের বেলা ১২টা। যদিও বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসেন বেলা সাড়ে বারোটায়। মনোনয়ন উপলক্ষ্যে বিজেপির মিছিলের জেরে একাধিক জায়গায় বামেদের মিছিল আটকাতে হয় পুলিসকে। যার জেরে দেরি হয় বাম প্রার্থীদের। এদিন মনোনয়ন উপলক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরের টিভি টাওয়ার মাঠ থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি। ঘাটালের প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় ও মেদিনীপুরের অগ্নিমিত্রা পাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা। মিছিলে জাঁকজমকের খামতি ছিল না বিজেপির। মোদির কাটআউট, একাধিক ব্যান্ড পার্টি, দেব দেবীর গান, গেরুয়া আবির, রামের ছোঁয়া, সবকিছুই ছিল। বিজেপির দাবি, এদিনের মিছিলে প্রায় দশ হাজারের বেশি লোক সমাগম হয়েছিল। অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছিল বিজয় মিছিল বেরিয়েছে। মানুষের উত্সাহই বলে দিচ্ছে, জয় আমাদের নিশ্চিত। মানুষ মোদিকে দেখেই ভোট দেবেন।’ অন্যদিকে, এদিন বিদ্যাসাগর হল থেকে প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল শুরু করে বামেরা। মিছিলে মেদিনীপুর লোকসভার বাম প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট ও ঘাটালের তপন গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ, কংগ্রেস নেতা শম্ভু চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বিজেপির মিছিলের জন্য একাধিক জায়গায় বামেদের মিছিল আটকানো হয়। এরপর বামেদের প্রার্থীরা কালেক্টরেটের প্রবেশের সময় কার্যত বিজেপি ও বামেদের মিছিল মিশে যায়। জয় শ্রীরামের পাল্টা ওঠে ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
