ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন আর কোনও সমস্যা নয়। রিংরোড এলাকার পাহাড় প্রমাণ ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে আবর্জনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সন্ন্যাসীডাঙায় নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, বিরোধীরা কোনওভাবেই ফায়দা তুলতে পারবে না।
বহরমপুর পুরসভার রিংরোডের পাশেই রয়েছে পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড। দীর্ঘদিনের আবর্জনা জমতে জমতে কার্যত ডাম্পিং গ্রাউন্ড পাহাড়ের চেহারা নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাগাড় সংলগ্ন ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাতাস ভাগাড়ের দুর্গন্ধে ভারী হয়ে থাকে। দুর্গন্ধ আর রোগ জীবাণুর আতঙ্কে ঘরের দরজা জানালা খুলে রাখতে পারেন না বাসিন্দারা। মাঝেমাঝেই জমা আবর্জনায় আগুন ধরে যায়। ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যায়। বর্ষা এলে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। আবর্জনার স্তূপ থেকে ঝরে পড়া পচা জল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষের ক্ষোভ গিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের উপর আছড়ে পড়ে। অভিযোগ, স্থায়ী সমাধানের দাবিতে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ, ডেপুটেশন করে শুধু আশ্বাসই মিলেছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ভাগাড় সমস্যাকে সামনে এনে বহরমপুরের লোকসভার সাংসদ আন্দোলন করেছেন। অধীর চৌধুরী লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্যদের রিংরোডের ভাগাড়ে টেনে এনেছেন। কিন্তু কোন আন্দোলনই সেভাবে কাজে আসেনি।
লোকসভার আগে বহরমপুরে এই ইস্যুই সামনে আনার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। বহরমপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হীরু হালদার বলেন, পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড এখন এই শহরের ক্যান্সার। জনস্বার্থে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আগুন নেভাতে যাওয়ায় চারজনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছেন বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান। হীরু হালদারের অভিযোগ, ভোটের আগে মানুষকে বোকা বানাতে রিংরোডের ভাগাড় থেকে আবর্জনা সরানো হচ্ছে। কিন্তু কোথায় ফেলা হচ্ছে তাঁরা জানেন না। পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড মণীন্দ্রনগর, নতুনগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও অস্বাস্থ্যকর প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড সমস্যা দীর্ঘদিনের। মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের এবার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।