পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
গাছপালা, বাগানে ঘেরা কৃষ্ণগঞ্জ থানার শিবনিবাস পঞ্চায়েতের খাটুরা উত্তরপাড়া গ্রামটিতে প্রায় ১০০ ভোটার রয়েছেন। ভোট এলেই নেতারা গ্রামে ঢুকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট মিটতেই বিদ্যুতের খুঁটি পোতার কাজটুকও হয় না। রেশন থেকে যেটুকু কেরোসিন তেল পাওয়া যায়, তা দিয়ে সারা সপ্তাহের লণ্ঠন-হ্যারিকেন জ্বলে না। রাতে আলোর অভাবে গোটা গ্রামটা অন্ধকারে ডুবে থাকে। এ নিয়ে মাঠের কাজ করা নীলু সর্দার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে রয়েছি। গ্রামে ৩০ ঘর মানুষ আছে। গ্রামে বিদ্যুৎ না আসায় প্রত্যেকের খুব সমস্যা হয়। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েও কিছু হয়নি। ভোট এলে নেতারা গ্রামে এসে ভোট চান। আলো এসে যাবে বলে জানান। কিন্তু ভোট মিটতেই সেই একই আঁধারের গল্প। বিদ্যুৎ না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নৃপেন সর্দার, মানিক সর্দার থেকে মাঝবয়সি বুদো সর্দার বা বাসন্তী সর্দাররা।
এ প্রসঙ্গে ওই এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা পত্রলেখা ঘোষ বলেন, আমি ওদের বিদ্যুৎতের লাইন এনে দেবার কথা বলেছিলাম। সেই মতো আনার চেষ্টাও করি। কিন্ত বিদ্যুৎ আনতে পাশের বাড়িগুলো উপর দিয়ে এই তার নিয়ে যেতে হবে। তাতে তাঁদের আপত্তি থাকায় এই লাইন করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, খাটুয়াতে আমাদের বাড়ি রয়েছে। তাই ভালো মতো এই মানুষগুলোর সমস্যার কথা জানি। এই এলাকার আদিবাসীরা ৩ শতক করে জমি পাট্টা পেয়েছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামবাসীদের সমস্যা হয়। ৩০০ মিটার জায়গায় মাটির তলা দিয়ে এই বিদ্যুৎ নিয়ে গেলে সমস্যা মিটে যায়।