পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূলের দুর্গাপুরের মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা ভোট মিটলেই পুরসভা নির্বাচন। শহরে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে সিপিএম নিজেদের ভোট ফেরাতে চাইছে। আমরা তা লক্ষ্য করছি। এতেই বিজেপির রাতের ঘুম উড়েছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, তৃণমূল ও বিজেপি দুটো দলের বিরুদ্ধে আমরা ক্রমাগত আন্দোলন গড়ে তুলেছি। দুর্গাপুরের মানুষ আমাদের উপরই আস্থা রাখবে।
শুধু বাম ভোটারদের কাছে সমর্থনের আর্জি জানানোই নয়, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে গলার কাঁটার মতো বিঁধছে তা বিজেপির কথা থেকেই স্পষ্ট। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে একথা ফের একবার শোনা গিয়েছে দিলীপবাবুর কথায়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আগে ক্লাবগুলোকে টাকা দিতেন। তারা আমাদের ভোট দিল। এখন বলছেন টাকা নেই, ক্লাবকে দেব না। দিদিমণি রোজই অবস্থান বদল করেন। আমার মনে হয় নির্বাচনের পরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও বদল হয়ে যাবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়বে? এবিষয়ে ঢোক গিলে দিলীপবাবুর দাবি, দেখা যাক, আমরা ক্ষমতায় আসি।
এদিনই দুর্গাপুরে রোড শো করেন দিলীপ ঘোষ। পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেইসময়ে অবশ্য দিলীপবাবু ছিলেন না। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ছিলেন। তৃণমূল ও বিজেপি দু’পক্ষই স্লোগান ও তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিজেপির প্রচার কর্মসূচি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখাতেও দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকদের। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলার দেবব্রত সাঁই বলেন, আমরা মিটিং করছিলাম। হঠাৎই বিজেপি কর্মীরা রোড শো থেকে আমাদের উদ্দেশ করে কটূক্তি করে। আমরাও তো হাতে চুড়ি পরে নেই। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এনিয়ে দিলীপবাবু বলেন, রোদে ওদের প্রার্থী বের হতে পারছে না। ঘরের ভিতর থেকে ওরা কালো পতাকা দেখাচ্ছে। শুয়োরের মতো চর্বি জমেছে। দিলীপ ঘোষের শরীরে চর্বি নেই, সবই পেশি।