কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
তীব্র উৎসাহে রামনগর গ্রামে কয়েকজন ছাদ থেকে ঝুঁকে অভিষেকের ছবি তুলতে যান। তৃণমূলের সেনাপতি হাতের ইশারায় তাঁদের নিরাপদ দূরত্বে যেতে বলেন। পথ যত এগিয়েছে ভিড় ততই বেড়েছে। রাস্তায় ভিড়ের চাপে তাঁর গাড়ির চাকা গড়াতে বেশ কিছুটা দেরি করে। অনেকেই ফুলের তোড়া নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েছিলেন। তা হাতে তুলে নেন তৃণমূলের সেনাপতি। জনগণের উদ্দেশে তিনি গোলাপের পাপড়ি ছড়াতে থাকেন। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল বড় কাটআউট। ‘আই লাভ এবি’ জাতীয় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে যুবকরা জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রামনগর থেকে তিনি জনপ্লাবন নিয়েই পৌঁছন হাটগোবিন্দপুর। ভিড় দেখে তৃণমূলের সেনাপতি বলেন, প্রচারের শেষ দিনে যে উৎসাহ দেখলাম তাতে বোঝা যায় বিজেপির বিদায় নিশ্চিত। চার তারিখের পর বিজয় মিছিল করতে আবার আসব।
এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ, দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। রোড-শো শেষে অভিষেক হাটগোবিন্দপুরে পথসভা করেন। কৃষিপ্রধান বর্ধমান উত্তরে এসে তিনি বলেন, বিজেপি সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। ওরা সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষকদের জন্য কিছুই করেনি। ওরা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি বোঝে না। বলছে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। এই স্বপ্ন ওদের কোনওদিন পূরণ হবে না। কারণ বিজেপি আর জিতবে না। ওদের পরাজয় নিশ্চিত।
বক্তব্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তার উপর থেকে ভিড় সরেনি। রাস্তা অবরুদ্ধ হওয়ায় গাড়ি চলাচল কার্যত অসম্ভব ছিল। সেই সময় দূরে আম্বুলেন্স দেখে অভিষেক বক্তব্য থামিয়ে দেন। পুলিসকে অ্যাম্বুলেন্স পার করে দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেটি বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে অভিষেক বক্তব্য শুরু করেন। ভিড় তখনও কমেনি। কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস এবং উন্মাদনা দেখে অভিভূত হয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। বক্তব্য শেষে তাঁকে গাড়ির উপর নাচতেও দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, প্রচারের শেষ লগ্নে অভিষেকের রোড-শো দলকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে গেল।