অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বৈঠক করা হবে। অন্যদিকে মেলাকে ঘিরে মালদহ জেলা প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে। তারা এবারও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেলা আয়োজন করবে বলে জানিয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ বলেন, এবারও তিনদিন ধরে রামকেলি মেলা হবে। আমরা শীঘ্রই মেলা নিয়ে জেলা পরিষদে আলোচনায় বসব। সেখানে মেলার বাজেট ঠিক হবে। আরও কীভাবে মেলা সাজানো যায়, সেবিষয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
রামকেলি মদন মোহন জিউ মন্দিরের সেবাইত মদন মোহন পাণিগ্রাহী এবং অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সদস্য অমিয়রঞ্জন বর্মন বলেন, মহাপ্রভু এখানে কয়েকদিন অবস্থান করেছিলেন। সেজন্য মেলা হয় প্রতিবছর। জেলাবাসীর কাছে এই মেলা আবেগের ও গর্বের। এবারে মেলা ৫১০ বছরে পড়বে।
আয়োজকরা জানান, উৎসবে গোটা ভারতের অগণিত ভক্ত গুপ্ত বৃন্দাবন ধামে আসেন। ১৫-১৭ জুন পর্যন্ত চলবে কীর্তন। আগের দিন অধিবাস হবে। কীর্তনের কয়েকদিন রোজ দুপুরে মহাপ্রভুর বিশেষ ভোগ দেওয়া হবে। শেষ দিনে মহাপ্রসাদ বিতরণ হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, গৌড়ের রাজা হোসেন শাহর আমলে তাঁর মন্ত্রীসভায় কর্মরত ছিলেন দুই মহাবৈষ্ণব। একজন রূপ গোস্বামী, অন্যজন সনাতন গোস্বামী। তাঁরা দুই ভাই ছিলেন। রাজকর্মের পাশাপাশি রামকেলিতে ভজনসাধন করতেন তাঁরা। রাতভর নামকীর্তন করতেন। সেজন্য ব্রজ বৃন্দাবনের আদলে আটটি সখীর নামে কুণ্ড খনন হয়। এছাড়াও মদন মোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। এই মহাবৈষ্ণবদের টানেই ১৫১৫ সালে শ্রীচৈতন্য নিজে হেঁটে নাম সংকীর্তন গাইতে গাইতে রামকেলিতে ধামে এসেছিলেন। তাঁদের মিলন হয়েছিল মদন মোহন মন্দির সংলগ্ন কেলিকদম্ব ও তমাল গাছের তলায়। এখনও সেই মন্দির রয়েছে। মহাপ্রভুর এই মিলনের জন্য মদন মোহন মন্দিরকে ঘিরেই রামকেলির মেলা হয়ে আসছে। নিজস্ব চিত্র।