অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হওয়ার পর কিছুটা রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি বদল করতে দেখা যায় বিহারীবাবুকে। ২০২২সালের লোকসভা উপ নির্বাচনের সময়ে স্বামীর সঙ্গে সবসময় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী পুনম সিনহাকে। যিনি নিজেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোট লড়েছেন। এবার নির্বাচনে সিনহা দম্পত্তিকে একসঙ্গে প্রায় দেখাই যায়নি। শনিবার আশ্রমে প্রসাদ খেতে এসে পুনম বলেন, সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে অনেক পার্থক্য। ওঁ নিজের মতো প্রচার করেছেন। ওঁকে জেতাতে মহিলাদের নিয়ে আমি বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছি। আমার ঈর্ষা হয় কেন বাংলায় জন্মালাম না। দিদি মেয়েদের জন্য এখানে সবকিছু করে দিয়েছেন। শত্রুঘ্ন বলেন, আসানসোলে তো জিতবই। এবার নির্বাচন শেষে পুরো দেশে দিদি সরকার গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন। খাওয়া শেষে বলেন, বহু বছর পর মিষ্টি দই খেলাম, জানি এটা শুধু খাবার নয়, ঠাকুরের আশীর্বাদ। তখন অন্য টেবিলে বসে মুচকি হাসছেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মলয় ঘটক। যাঁকে শত্রুঘ্ন ‘ম্যাজিক ম্যান’ বলে ডাকেন।
এদিন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে মহিশীলার বটতলা, শিমুলতলা, খ্রিস্টানপাড়া এলাকায় বিজেপির প্রভাব দেখা যায়। নিজেদের গড়েই মিঠুনকে এনে প্রচারে ঝড় তুলতে চেয়েছিল বিজেপি। মন্ত্রী মলয় ঘটককে সঙ্গে নিয়ে শত্রুঘ্নর বিশাল রোড-শো বাড়তি অক্সিজেন দেবে শাসকদলকে।
পাণ্ডবেশ্বরে এক লক্ষ ভোটের লিড পেয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। উপনির্বাচনের সেই রেকর্ডের মর্যাদা রাখতে এদিন নিজের বিধানসভা এলাকার সতেরোটি গ্রাম ঘোরেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এদিন শাসকদলের প্রচার হয়েছে কুলটি, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, বারাবনি সর্বত্রই।
সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে জামুড়িয়ার শ্রীপুর এলাকায় একটি মিছিল করেন বামপন্থী খনি শ্রমিকরা। জামুড়িয়ায় কেন্দা এলাকায় প্রচার করেন প্রার্থী। বারাবনির দোমোহানিতে প্রচার করতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া।