একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। জেলার আটটি ব্লকের মহিলারা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা ব্যবহার করে নানা কাজ করছেন মহিলারা। আজকে জঙ্গলমহলের মহিলাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। যা প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছেন আগে কী অবস্থায় ছিলেন। আর এখন কী অবস্থায় আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখেছিল ঝাড়গ্রামের মানুষ। মাত্র ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। তবে এরপর আর কোনও নির্বাচনেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি। একদিকে বিজেপি নেতৃত্ব চাইছে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র তাঁদের দখলেই রাখতে। অপরদিকে তৃণমূল চাইছে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র দখল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরও শক্তিশালী করতে। তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, মহিলাদের সাফল্যের কাহিনি ভোটের প্রচারে তুলে ধরতে।
জানা গিয়েছে, শুধু নয়াগ্রাম ব্লকে প্রায় ৩০ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ী, বিনপুর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার ৯০ হাজার মহিলা এই প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন। এই টাকা পেয়ে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁরা সংসার চালানোর জন্য এই টাকা নানা ভাবে ব্যবহার করছেন।
বেলপাহাড়ী ব্লকের শিমূলপাল এলাকার বাসিন্দা স্বপ্না সিং বলেন, গ্যাস কিনতে এই টাকা ব্যবহার করি। খুব উপকার হয়। এই টাকা জমিয়ে অনেক কিছু কিনেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, মানুষ ভাতা চায় না। মানুষ চায় চাকরি। সেটা দিতে পারেনি তৃণমূল। তাই এবারের ভোটে মানুষ ভোট দেবেন না। বিজেপি জিতবে একশো শতাংশ।