কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
হিলির বিডিও চিরঞ্জিত সরকার বলেন, আমাদের ব্লকের পড়ুয়াদের এই সাফল্য সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতো। আগামীতে তাঁরা যাতে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছয় সেই কামনা করি। প্রশাসনের তরফে তাঁদেরকে আমরা যাবতীয় সাহায্য করব।
মুরালিপুর সোনাউল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন ঘোষ বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বরাবর উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করে। তবে এবারে সত্যি অবিশ্বাস্য ফলাফল হয়েছে। তাদের পাশে আমরা যেভাবে ছিলাম আগামীতেও সেভাবে থাকব। তাদের এই সাফল্যে বাকি পড়ুয়াদের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে। তাদের সাফল্যে স্কুল গর্বিত।
জেলার প্রথম স্থানাধীকারী সোনাউল্লা উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়া নন্দন মাহাত বলেন, ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান পাইনি। এজন্য একটু খারাপ তো লাগছেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা সর্বদা আমাদের পাশে থেকে সাহায্য করেছেন। আগামীতে কী নিয়ে পড়াশুনা করব কিছুই ভাবিনি। শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেব।
জেলা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার মধ্যে প্রথম ১০ জন স্থানাধীকারী দের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রথম হয়েছেন হিলির মুরালিপুরের ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা নন্দন মাহাত। মুরালিপুর সোনাউল্লা উচ্চবিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে তিনি ৪৮৫ নম্বর পেয়েছেন। কাঁটাতার লাগোয়া হিলির বালুপাড়ার বাসিন্দা ফতেপুর হাইস্কুলের ছাত্রী বিন্দু দাস ৪৮৩ পেয়ে জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তিনি আগামীতে পুলিসে যোগদান করতে চান। মুরালিপুর বিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়া রনি ঘোষ ও শুভ্র সরকার যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছেন। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮২। বৃষ্টি মাহাত একই বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তিনি ৪৮০ পেয়ে জেলায় চতুর্থ এবং একই স্কুলের অপূর্ব সরকার ৪৭৯ পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন। বাপ্পা সরকার ৪৭৪ পেয়ে দশম হয়েছেন। সকলেই কলা বিভাগের ছাত্র।