একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
রানাঘাট শহর সংলগ্ন আইশতলা, আড়ংঘাটা, হিজুলি, নোকারি, পূর্ণনগর, আইশমালি, দেবগ্রাম সহ বহু গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ সমস্যা নিত্যদিনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতের বেলায় ঘরের আলো জ্বললেও তা টিমটিম করে জ্বলে। মাথার উপর ফ্যান ঘুরলেও গতি একেবারেই কম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সবথেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে সন্ধ্যের পর থেকেই। গ্রামীণ এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই সন্ধের পর টিভি চলে। আর তখনই লো ভোল্টেজের সমস্যা শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ কম আলোয় থাকতে থাকতে মাথার যন্ত্রণা শুরু হচ্ছে অনেকের। সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারাও। তীব্র গরমে পঞ্চায়েত এলাকাতেও এখন অনেক বাসিন্দাই এসি ব্যবহার করছেন। কিন্তু লো ভোল্টেজের কারণে হাই স্পিডের ফ্যান কিংবা এসি কোনওটাই চালাতে পারছেন না বাসিন্দারা।
লো ভোল্টেজের কারণে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনেকেই বলছেন, গরমে প্রচুর পরিমাণে দুধ, দই, মিষ্টি, পনির ফ্রিজে রাখি। সে কারণেই সব সময় ফ্রিজ চালিয়ে রাখতে হয়। ভোল্টেজ কম থাকার কারণে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে চাষের মাঠে পাম্প চালাতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। ধানতলা এলাকার ফুলচাষি প্রবাল সরকার, বিশু সরকার, নারায়ণ বিশ্বাসরা বলেন, সন্ধ্যের পর গোটা গ্রাম লো ভোল্টেজের কারণে প্রায় অন্ধকার হয়ে থাকছে। বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বহুবার সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল মিলছে না। আড়ংঘাটার গ্রিল কারখানাগুলির মালিকদের অভিযোগ, বিদ্যুতের এই অবস্থার কারণে মেশিন ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। হলে সময়মতো অর্ডারের সামগ্রী তৈরি করাও সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ভোল্টেজ বাড়াতে ব্যবসায়ীদের অনেকেই স্টেবিলাইজার ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, অনেকেই দেদার হাই স্পিড ফ্যান, এসি, কুলার কিনে ব্যবহার করছেন। গ্রামেও এখন একই এলাকায় এসি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে সেখানকার ট্রান্সফর্মারের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ছে। সে কারণেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি দপ্তরের। যদিও দপ্তরেরই আধিকারিকদের একাংশ বলেন, তৃতীয় দফার ভোট শেষ হলেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার ও জনসভা আরও বাড়বে। অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে তখন। এই কেন্দ্রের ডিসি আরসি সেন্টারেও নির্বাচনের কাজের জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হবে। তাই সমস্যা এখনই না মেটানো গেলে শহর এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।