Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। টিম ফাইনালেও গেল না। আবার জার্মানি প্রথম রাউন্ডে হার দিয়ে শুরু করে, মাঝে ড্র এবং শেষ দৌড়ে সবাইকে বোকা বানিয়ে কখন হাসতে হাসতে কাপ হাতে শীর্ষে। বর্ণাঢ্য ভিকট্রি স্ট্যান্ডে। ভারতের চলতি অষ্টাদশ সাধারণ নির্বাচনও কি তেমন কোনও অঘটনের অপেক্ষায়? দু’দশক আগের বাজপেয়ি জমানার রিপ্লে না মোদির আগ্রাসী বিভাজনের জয়, শেষ হাসি কে হাসবে? বড্ড আগেই হাইপটা তুলে ভোট মরশুমের মাঝপথে এখন পস্তাচ্ছে গেরুয়া শিবির। ‘আব কি বার ৪০০ পার’ আস্ফালন কিংবা ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’ শেষে না ব্যুমেরাং হয়! বরং দু’শোর আশপাশে থমকে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই বিকাশ ও উন্নয়নকে ঘুম পাড়িয়ে সরাসরি মেরুকরণে শান দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রটা পর্যন্ত কেড়ে নেবে। মুসলমানদের বেশি সন্তান উৎপাদন ও অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যোগ নিয়েও একপেশে অশালীন মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না। দশ বছর দেশ শাসন করা এবং আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখা মহামান্য প্রধানমন্ত্রীর মুখে ওই কদর্য ভাষা ঘৃণাভাষণ শোভা পায়?
হঠাৎ এই ভয় এবং তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর ‘ন্যারেটিভ’ বদল ইতিমধ্যেই নির্বাচনী পণ্ডিতদের ভাবাচ্ছে। প্রথম দফার ভোটের পর গত রবিবার রাজস্থানের সভা থেকেই রাষ্ট্রনেতার মুখে যেন আর কোনও আগল নেই। নির্বাচন কমিশনও দেখেও কিছু দেখছে না, নীরব দর্শক। দায় এড়াতে শুধু নাড্ডাজির কৈফিয়ত তলব করেই দায়িত্ব এড়াচ্ছে। যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাত দাঙ্গা হয়েছে এবং ‘হাম পাঁচ হামারে পচ্চিস’ স্লোগানই যাঁর রাজনৈতিক উত্থানের প্রধান অনুঘটক তাঁর কাছ থেকে এর বেশি আর কী আশা করা যায়। উত্তরপ্রদেশে ২২ জানুয়ারির রামমন্দির উদ্বোধনের রেশ কখন উধাও হয়ে গিয়েছে, তার ঠিক ঠিকানা নেই। উল্টে রাজপুত-জাঠ দ্বন্দ্ব পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বেজায় অস্বস্তিতে ফেলেছে। ফুঁসছে গুজ্জররাও। এর রেশ ছড়াচ্ছে অন্যত্রও। হিন্দি বলয়ে যাদব, কুর্মি, ভূমিহার ভোটের সিংহভাগই যে বিজেপির দখলে থাকবে, তাও হলফ করে বলা যাচ্ছে না। বারবার গিয়েও মোদির পক্ষে দক্ষিণের দ্রাবিড় রাজনীতিতে দাঁত ফোটানো সম্ভব হয়নি। খবর আসছে, কংগ্রেসকে খতম করতে গিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ফল হয়েছে উল্টো। ছোট ছোট দলগুলি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলি এবার ভালো ফল করতে চলেছে বিজেপির ভোট কেটে। সঙ্গে এই প্রচণ্ড গরম এবং আড়াই মাসের ক্লান্তিকর ভোটপর্ব। এতটা দীর্ঘ সময় কারও পক্ষে টেম্পো ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন। বাংলা, মহারাষ্ট্র, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লি এবং অবশ্যই দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপির গ্রাউন্ড রিপোর্ট ও সঙ্ঘের খতিয়ানও মোটেই আশানুরূপ নয়। তামিলনাড়ু, কেরলে এবারও শূন্য হাতেই থামতে হচ্ছে। কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় আসন কমবে। আসন কমতে পারে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশেও। মহারাষ্ট্রের রাজনীতি সম্পূর্ণ ঘেঁটে গিয়েছে গেরুয়া শক্তিরই খামখেয়ালিপনায়। জটিল জাতপাতের সমীকরণ এমন পর্যায়ে যে মহারাষ্ট্রের মানুষ এবার খুব বেশি আশীর্বাদ করবে না কোনও একটি দলকে। মারাঠা ভূমে বত্রিশভাজা ভোটভাগের সুফল কে শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলবে, তার হদিশ কারও কাছেই নেই।
এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ভোটারের নাড়ি টিপে বেড়াচ্ছেন একজনই, নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে রাজ্যে একবার নয়, একাধিকবার নামছে তাঁর ধুলো ওড়ানো বিমান, কপ্টার, অলিগলিতেও ছুটছে কনভয়। জনগণের মন পড়তে পারছেন কি? দল ও সরকারের দু’নম্বর মুখ অমিত শাহ দেরিতে হলেও প্রচারে নেমেছেন বটে, আসরে রাজনাথ, স্মৃতি ইরানি, অনুরাগ ঠাকুররাও আছেন, কিন্তু সূর্যের তেজের পাশে বাকি সবাই বড্ড ম্লান। তিনি কথা দিয়েছেন, সারা দেশে দেড়শোর উপর সভা করবেন। কিন্তু নতুন কথা কী বলবেন? একই কথার ক্লান্তিকর পুনরাবৃত্তিতে তাঁর মুখ, অবয়ব ক্রমেই ক্লিশে। দু’দফার ভোটের পর ইনটেলিজেন্স রিপোর্টেও তাঁর আত্মবিশ্বাস কোথাও যেন ধাক্কা খাচ্ছে। ভোট কম পড়ার কারণ নিয়েও নানা মুনির নানা মত। এক সমীক্ষার সঙ্গে অন্যের হিসেব মিলছে না। দু’দফায় মাত্র ১৯০ আসনে ভোট হয়েছে। আরও পাঁচ দফার মতদান বাকি। প্রথম দফায় ভোটের শতাংশ কমে যাওয়ায় উল্টে একটা ভয় চেপে বসেছে যেন। এটা ঠিক, আমরা কেউ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই। আসলটা জানা যাবে ৪ জুন দুপুরেই। তার আগে শুধুই সম্ভাবনা আর আশঙ্কার দু’শো কাটাকুটি। কিন্তু মোদিজির কদর্য ভাষার সঙ্গে হঠাৎ বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে যাওয়াতেই একটা অজানা ভয় দানা বাঁধছে যেন।
কিন্তু যিনি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর, যিনি স্বঘোষিত ‘বিশ্বগুরু’, বারে বারে বলেন, গত দশ বছরে নাকি বৈদেশিক রাজনীতির মানচিত্রে অতীত জমানার তুলনায় অনেক বেশি সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে নতুন ভারত। সেই তথাকথিত ‘নয়া ভারতের রূপকার’ ভোটের স্বার্থে ঘোমটা খসিয়ে খুলে আম বিভাজনের বিষবৃক্ষ রোপণ করবেন, কে ভেবেছিল! এখানেই তিনি থামেননি। এরপরই সবাইকে চমকে দিয়ে বলেছেন, তাঁর এই আশঙ্কার কারণ মনমোহন সিংয়ের ১৮ বছর আগের একটি আপাত নিরীহ মন্তব্য এবং এবারের কংগ্রেস ইস্তাহারের একটি বাক্যবন্ধ। ইউপিএ জমানাতেও জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ (ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল) নামে একটি সংস্থা ছিল। মোদি জমানায় যোজনা কমিশনের (প্ল্যানিং কমিশন) মতোই তাও একপ্রকার বিলুপ্তই বলা চলে। তারই ৫২তম বার্ষিক সভায় ২০০৬ সালের ৯ ডিসেম্বর  মনমোহন বলেছিলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সব গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে সমানভাবে শামিল করতে হবে। তাঁর অপরাধ ওইটুকুই। ইনক্লুসিভ গ্রোথের পক্ষে সওয়াল। কৃষক, শ্রমিক, সংখ্যালঘু, পিছড়ে বর্গ সবাইকে রাষ্ট্রের উন্নয়নে শামিল করার কথা বলতে গিয়ে শেষে বলেছেন একটি বাক্য। পিছিয়ে পড়াদের এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশের সম্পদে মুসলমানদেরই প্রথম অধিকার। আগের অংশটি না বলে শুধু ওই একটি বাক্যকে তুলে এনে হিন্দু-মুসলিম কার্ড খেলা কোনও পোড়খাওয়া রাষ্ট্রনায়কের কাছে কি আশা করা যায়? মনমোহন কী বলেছিলেন সেদিন: ‘ The component plans for schedule castes and tribes will need to be revitalised. We will have to devise innovative plans to ensure that minorities, particularly muslim minority, are empowered to share equitably in the fruits of development. They must have the first claim on our resources.’ এই গোটা বক্তব্যে কোথাও হিন্দুদের ধনসম্পদ কেড়ে সংখ্যালঘুদের দেওয়ার কথা বলা আছে কি? নাকি মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে? বরং ঠিক উল্টোটাই। আদর্শ নেতার মতোই সংখ্যালঘুসহ সমাজের দুর্বলতর অংশের ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই গোটা বক্তব্যকে ধার করেই তো নরেন্দ্র মোদি আজ ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশের’ বুলি কপচাচ্ছেন। অস্বীকার করার উপায় নেই, মনমোহনজির একশো দিনের কাজই আজ গ্রামীণ ভারতের বেকারত্বের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়োতে সক্ষম হয়েছে।
আসলে বাস্তব কোনও সমস্যাকে না ছুঁয়ে আবারও শুধু একটা কৃত্রিম বাতাবরণ তৈরি করে কুর্সি দখলের কিছু ‘সাইড এফেক্ট’ তো থাকবেই। বিশেষ করে তিনি যখন ঠান্ডাঘরে বসে দেশ চালান না, ঘুরে ঘুরে ভাত কতটা সেদ্ধ হয়েছে নিজেই পরখ করে দেখেন। কিন্তু তিনি এও জানেন  ধর্ম, মন্দির এবং বিভাজনকে স্টেরয়েড হিসেবে ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি অনিবার্য। কোনও ওষুধ আর কাজ করবে না। তা থেকেই একটা অজানা ভয় মোদিজিকে তাড়া করছে। যদি না-হয়, যদি হিসেব উল্টে যায়, যদি রাজ্যপাট হাতছাড়া হয়, এমনই কু ডাকছে মন। আর তা ঢাকতেই সরাসরি হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতির নিরাপদ ঘেরাটোপে আশ্রয় নিতে চাইছেন ভোটের ভরা মরশুমে। কী ভাষার শালীনতা, কী দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতা—সবই আজ ব্রাত্য! এটাই দেশের চরম দুর্ভাগ্য। যিনি তৃতীয়বার দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁর পক্ষে এমন নিম্নরুচির শব্দ ও বিভাজনের খুল্লামখুল্লা বিষ ছড়ানো কি সভ্য নাগরিক সমাজ মেনে নিতে পারে? 
এবং, যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে তিনি এই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, এক মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে তাঁকে ‘জিব ছুট’ হয়ে কোনও অপশব্দ উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি—শত্রু, মিত্র কারও সম্পর্কেই। মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘দুর্বল’, সোনিয়া রাহুলের ‘তল্পিবাহক’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, এমন অনেক অপশব্দ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, তাঁর মন্ত্রিসভার অর্ডিন্যান্স পর্যন্ত তাঁর দলেরই শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে ছিঁড়ে দিয়েছেন বলেও বিতর্ক কম হয়নি। সেদিনও মার্কিন মুলুকে বসে তিনি নির্বিকার ঠান্ডা। সমালোচনা যতই হোক, কেউ বলতে পারবেন না যে ব্যক্তিগত স্তরে তিনি কখনও ভোটের স্বার্থে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের রাজনীতিকে ব্যবহার করেছেন, কিংবা দাঙ্গা বাধিয়ে হানাহানির ফসল ঘরে তুলেছেন, অথবা বুকের ছাতি ফোলানোর মিথ্যে প্রহসনে শামিল হয়েছেন! বলা বাহুল্য, এসব থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন বলেই বহু চেষ্টা করেও তাঁর সফেদ পাঞ্জাবিতে কাদা লেপতে আজও ব্যর্থ মোদির বিজেপি। বরং চারশো আসন জয়ের ‘খোয়াব’ মুখ থুবড়ে পড়তেই সচেতনভাবে তিনি ভয় দেখাচ্ছেন কুৎসিত ভাষায়। লজ্জার মাথা খেয়ে বলছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আপনার জমি, জায়গা, স্থাবর অস্থাবর তো বটেই সোনার মঙ্গলসূত্রটা পর্যন্ত বাঁচবে না। এক ধাক্কায় সব নিয়ে নেবে। কংগ্রেস সরকার সুচতুরভাবে তা কেড়ে নিয়ে নাকি যাদের বেশি সন্তান (ইঙ্গিতটা বুঝুন!), যাঁরা অনুপ্রবেশকারী (ঘুসপেটিও!) তাঁদের মধ্যে ভাগ করে দেবে। তাহলে কংগ্রেস শাসনের ৫৫ বছরে কত মঙ্গলসূত্র হিন্দুর ঘর থেকে মুসলমানের কাছে গিয়েছে, সেই হিসেবটা কি দেবেন গেরুয়া থিঙ্কট্যাঙ্করা?
এমন ভয়ঙ্কর মিথ্যেকে যিনি সত্যিতে পরিণত করতে পারেন, তাঁর সম্পর্কে সাবধান হোন। না-হলে সর্বনাশের আর দেরি নেই। গণতন্ত্র, সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা কিচ্ছু বাঁচবে না। অমৃতকাল শুধু বিদ্বেষ আর গরল বর্ষণেরই নির্মম সাক্ষী হয়ে থেকে যাবে।
28th  April, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
‘সকালে লাইনে দাঁড়ালে দুপুর গড়ায়, দুপুরে দাঁড়ালে সন্ধ্যে বা রাত। তারপর ভাগ্যে থাকলে পেট্রল জোটে, তাও যৎসামান্য। রুটিরুজি ছেড়ে পেট্রলের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে খাব কী!’ ...

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাবহুল আলিপুর। সিপিএম মনোনয়ন দিতে আসার সময় প্রথমে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়, পরে গোপালনগরের কাছে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাদের ঝামেলা ...

কালীগঞ্জের দেবগ্রামে রোড-শো সম্পূর্ণ না করেই বেরিয়ে গেলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি অর্ধেক রাস্তা রোড-শো করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ...

জুলাইয়ে শুরু প্যারিস ওলিম্পিকস। নীরজ চোপড়া কী সোনা জিততে পারবেন? আশায় বুক বাঁধছেন দেশবাসী। চার বছর আগে টোকিওতে দেশকে সোনা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। জ্যাভেলিন থ্রোয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৬- পানিপথের যুদ্ধ জয় করে মোগল সম্রাট বাবর আগ্রায় প্রবেশ করেন
১৬১২- মুঘল সম্রাট  শাহজাহানের  সাথে  মুমতাজের  বিয়ে হয়
১৮২৪- লন্ডনে জাতীয় গ্যালারি জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়
১৮৫৭- দেশজুড়ে শুরু হল সিপাহী বিদ্রোহ
১৮৬৩- সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম
১৮৮২- ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্তের জন্ম
১৯০৫- সঙ্গীতশিল্পী পঙ্কজ মল্লিকের জন্ম
১৯০৮ - বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম
১৯৬২- স্বাধীনতা সংগ্রামী অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৮৩- বিশিষ্ট রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়র মৃত্যু
১৯৮৫- রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও লেখক প্রমথনাথ বিশীর মৃত্যু
১৯৯৪- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা
২০০২- কবি কায়ফি আজমির মৃত্যু
২০২২ - কিংবদন্তী সন্তুর বাদক শিবকুমার শর্মার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭০ টাকা ১০৬.১৩ টাকা
ইউরো ৮৮.২৩ টাকা ৯১.৩৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮২,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮২,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। তৃতীয়া ৫৪/৩০ রাত্রি ২/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ১৪/২০ দিবা ১০/৪৭। সূর্যোদয় ৫/২/৩৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/২২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৪/১৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/০ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
২৭ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪। দ্বিতীয়া প্রাতঃ ৫/৪৫ পরে তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৫১। রোহিণী নক্ষত্র দিবা ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ১০/১২ মধ্যে ও ১২/৪৮ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৯/৩ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
১ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

11:31:59 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:29:20 PM

আইপিএল: ১৮ রানে আউট রবীন্দ্র জাদেজা, চেন্নাই ১৬৯/৭ (১৭.৩ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:28:55 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট শিবম দুবে, চেন্নাই ১৬৫/৬ (১৬.৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:23:11 PM

আইপিএল: ৫৬ রানে আউট মঈন আলি, চেন্নাই ১৩৫/৫ (১৪.২ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:06:29 PM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি মঈন আলির, চেন্নাই ১৩৪/৪ (১৪ ওভার) টার্গেট ২৩২

11:03:13 PM