যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
পাঞ্জাবের অমৃতসরে অস্ত্রধারী সমর্থকদের নিয়ে থানায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অমৃতপালের বিরুদ্ধে। এক মাসের বেশি পুলিসের চোখে ধুলো দেওয়ার পর তাঁকে মোগার একটি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন অমৃতপাল।
তবে ভারতের ইতিহাসে জেল থেকে নির্বাচনে লড়াই করার উদাহরণ আগেও রয়েছে। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অবস্থায় মাধেপুরা আসন থেকে লড়ে জিতেছিলেন। এছাড়া গত মাসে প্রয়াত মুখতার আনসারিও একাধিকবার জেল থেকে ভোটে লড়েছেন, জয়ও পেয়েছেন।
জেলবন্দি থাকাকালীন কোনও ব্যক্তি তার প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও প্রতিনিধিত্ব আইনে কারও ভোট অন্য কেউ দিতে পারে না। আর সেখানেই আটকে গিয়েছেন কেজরিওয়াল। জেলবন্দিদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিয়ে মামলাও হয়েছে। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে জানায়, দোষী সাব্যস্ত না হলেও কোনও বন্দি ভোট দিতে পারবে না। আবার জেলবন্দি অমৃতপাল যদি জিতে যান, তাহলে শপথ নেওয়ার জন্য তাঁকে জেলের বাইরেও নিয়ে আসতে হবে। একসময় অমৃতপাল দাবি করেছিলেন যে, ভারতীয় সংবিধান মানেন না। অথচ যদি ভোটে জেতেন, সেই সংবিধানের নামেই শপথ নিতে হবে তাঁকে।
তবে লোকসভা নির্বাচনের আবহে ফের জেলবন্দিদের ভোটাধিকার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জেলবন্দিরা ভোটে লড়তে পারলেও কেন ভোট দিতে পারবেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।