শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারের শ্রীকৃষ্ণপুর বুথ। যা জেলার একমাত্র কাঁটাতারের ওপারে থাকা বুথ। এই বুথে এদিন ভোট দিতে এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী কাটাঁতারের ওপারের গোবিন্দপুর, জামালপুর গ্রামের ভোটাররা। তাঁদের গ্রাম থেকে বের হয়ে বিএসএফের দফায় দফায় তল্লাশি, সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে হয়। বুথে এদিন সকাল থেকেই লম্বা লাইন ছিল। সারা বছর এই ভোটারদের নিজভূমিতে পরবাসীর মতো বসবাস। ভোট এলে উন্নয়ন ভুলে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার দাবি ওঠে ভোটারদের মধ্যে।দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সিএএ। এই আইনে কী আছে না আছে, তা হিলি সীমান্তের বাসিন্দাদের জানা নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে,আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব নিতে, অন্যদিকে তৃণমূল পরামর্শ দিচ্ছে এর কোনও প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিকভাবে ভোটাররা দোটানায় পড়েছেন। এই অবস্থায় আগামীতে কী হবে, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শুক্রবার হিলি থেকে কুমারগঞ্জ, সীমান্তবর্তী এলাকার সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদেরও এই আতঙ্ক নিয়ে ভোট দিতে দেখা দিয়েছে। ভোটারদের একাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
উত্তর জামালপুরের বাসিন্দা পেশায় কৃষক তৈমুর মণ্ডল বলেন,ভয়ে ভয়ে ভোট দিলাম। জানি না এই ভোট শেষ ভোট কি না। আমাদের এখানে জন্ম। সিএএ এবং এনআরসি হলে নাকি আমাদের নাগরিকত্ব চলে যাবে। গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আলমগীর মণ্ডল বলেন, স্বাধীনভাবে তো বসবাস করতে পারি না। নিজভূমে পরবাসীর মতো থাকতে হয়। এবার আতঙ্ক নিয়েই ভোট দিলাম। কপালে যে কী আছে, জানি না। সীমান্ত পেরিয়ে ভোট দিতে আসছেন স্থানীয়রা। - নিজস্ব চিত্র।