পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকালে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দিনহাটা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচার করেন মন্ত্রী স্বয়ং। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে দলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্রকে জয়ী করতে তাঁর উপর যে অনেকটাই চাপ রয়েছে সেকথা কিছুদিন আগে প্রকাশ্য সভা থেকে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন উদয়ন গুহ। দিনহাটা-১ ব্লকের গীতালদহে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে কর্মিসভা থেকে ভোটারদের কাছে উদয়ন নিজেই আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন— এবারের লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থী হারলে আমার মন্ত্রিত্ব চলে যাবে। তাই জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে জিতিয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী থাকার সুযোগ করে দিন আমাকে। আরও দু’বছর মন্ত্রী থাকলে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে কোনও অসুবিধা হবে না বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন ওই সভা থেকে।
উনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা দু’টি ভোটেই উদয়নের নিজের বিধানসভা দিনহাটাতে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও দিনহাটা বিধানসভা উপনির্বাচন ও পঞ্চায়েত ভোটে সেই ঘাটতি মিটিয়ে উল্টো কয়েক হাজার ভোট নিজেদের শিবিরে নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবারের লোকসভা ভোটে বিরোধী শিবির থেকে ফিরে আসা ভোট ধরে রাখা কার্যত চ্যালেঞ্জ মন্ত্রী উদয়নের কাছে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, উনি যতই মানুষের বাড়ি বাড়ি যান, কোনও লাভ হবে না। দিনহাটাজুড়ে যে সন্ত্রাস করেছেন তা মানুষ ভুলে যায়নি। পঞ্চায়েত ভোটেও সন্ত্রাস হয়েছে। ওদের প্রার্থী হারলে উদয়নের মন্ত্রিত্ব চলে যাবে। তাই তিনি মন্ত্রিত্ব বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। তাই মানুষও আমাদের পাশেই আছে। বাড়ি বাড়ি প্রচার করলে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। তাদের কোনও সমস্যা আছে কি না জানা যায়। বিজেপির এমপিকে ভোটে জেতার পর এলাকায় দেখেনি সাধারণ মানুষ। তার জবাব এবার জনগণ ভোটবাক্সে দেবে। আমাদের দলের প্রার্থীর জয় নিয়ে আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত।