একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দৌলতে এই বিধানসভা কেন্দ্রে ব্যবধান মুছে দিয়ে লিডের আশা করছে। সকাল থেকে বুথে বুথে মহিলাদের দীর্ঘ লাইন সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩২৫টি বুথ রয়েছে। এই দুই ব্লকে ভোট পড়েছে ৮২.৮৯ শতাংশ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা ও পুরুষ ভোটের শতাংশ এখনও বের করা হয়নি। তবে পুরুষের থেকে মহিলা ভোট বেশি পড়েছে। এছাড়াও শুক্রবার ভোট শুরু হওয়ার পর দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে বিরোধীদের নির্বাচনী ক্যাম্পগুলির বেশির ভাগ ফাঁকাই ছিল। ভোটের দিন সকালে মাটিগাড়া চিড়িয়া মোড় প্রাইমারি স্কুলে একসঙ্গে পাঁচটি বুথ ছিল। কিন্তু সেই পাঁচ বুথে বিজেপির দলীয় ক্যাম্পে মাত্র একজন মহিলাকে দেখা যায়। আবার বিধানপল্লিতে ভোটের মক পোলের সময় বিরোধীদের উপস্থিতি কম ছিল।
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, আগের নির্বাচনগুলির সঙ্গে এই নির্বাচন এক করে দেখলে হবে না। এই নির্বাচনে আমাদের হাতিয়ার ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২০১৯ সালের নির্বাচনের মতো মোদি হাওয়াও নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবাদে মহিলারা সকাল থেকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। যা আমাদের পক্ষেই আসবে। অন্যদিকে কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা রাজ্য দিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পাশাপাশি এটাও ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। তাই আমরা আগের দুই নির্বাচন থেকে এবার বিজেপিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছি। আমরা এই দুই ব্লক থেকে এবার অন্তত ২০ হাজার ভোটের লিড পাব।
মাটিগাড়ার ১৭৪টি বুথেই শুক্রবার সকাল থেকে তৃণমূল কর্মীদের ভিড় দেখা গেলেও বিরোধীদের সেই অর্থে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই চিত্র দেখা গিয়েছে নকশালবাড়ি ব্লকেও। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, যা ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এক লক্ষ ভোটের লিড পাবে।