যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত ভোটের হার বেশিই থাকে। তবে এবার গোটা দেশে ভোটের হার কমতির দিকে। তা হলে কি সেই ঝোঁক পশ্চিমবঙ্গেও? তেমনটা হলে কিন্তু এরাজ্যে সমস্যায় পড়েতে পারে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অন্তত তেমনটাই মত। ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৮৩.৬০ শতাংশ। এবার সেই হার কমে হয়েছে ৭৯.০৯ শতাংশ। অর্থাৎ এই আসনে ভোটদানে ৪ শতাংশেরও বেশি ঘাটতি এবার। রায়গঞ্জে এবার ভোট পড়েছে ৭৬.১৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৭৯.৫৪ শতাংশ। অর্থাৎ এই কেন্দ্রেও প্রায় সাড়ে তিন শতাংশের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের মতো আসনেও, যেখানে তুলনামূলক মনোরম পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছেন, সেখানেও একই চিত্র। দার্জিলিংয়েও ২০১৯ সালের নিরিখে ভোটদানের হারে ঘাটতি ৪ শতাংশ।
প্রথম দু’টি দফায় ভোটদানের ঘাটতিতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে দেশের শাসকদল বিজেপি। কারণ উত্তরবঙ্গ বরাবরই তাদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। সেক্ষেত্রে এই কম ভোটদানের হার স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় রাখছে পদ্ম শিবিরকে।
২০১৯ সালে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জয় পান রাজু বিস্তা। এবারও পদ্মশিবির তাঁকেই প্রার্থী করেছে। তবে তৃণমূল অমর সিংহ রাইয়ের পরিবর্তে এবার গোপাল লামাকে প্রার্থী করেছে। দ্বিতীয় দফায় তিন কেন্দ্রের মধ্যে দার্জিলিংয়েই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বালুরঘাটে। বালুরঘাট কেন্দ্রে এবারও সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের টিকিটে লড়েন বিপ্লব মিত্র। রায়গঞ্জে বিজেপির প্রার্থী কার্তিক পাল।
২০১৯ সালে এই আসনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। তবে এবার বিজেপি দেবশ্রীকে কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে। রায়গঞ্জে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ভোট মিটতেই পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।