গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
অভিষেক বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি যে যেখানে শক্তিশালী, তারা সেখানে লড়াই করুক। আমরা চেয়েছিলাম এখানে কংগ্রেস লড়াই করুক বিজেপির বিরুদ্ধে। যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির লড়াই, সেখানে তৃণমূলের হাত শক্ত করা হোক। ভারতবর্ষে বিভিন্ন রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে। যদি বাংলায় না হয়ে থাকে তার একমাত্র কারণ অধীরবাবু। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে পাঁচবারের কংগ্রেস সাংসদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন অভিষেক। এই নির্বাচনে মানুষ যাতে যোগ্য জবাব দেন, তার আবেদন জানান। তিনি বলেন, এই লোকটাকে এমনভাবে জবাব দিতে হবে যে মিথ্যা কথা বলার আগে, আর মানুষকে ঠকানোর আগে যেন ১০ বছর তিনি ভাবেন। তাঁকে বোঝাতে হবে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করলে কী পরিণতি হয়। বিজেপি প্রার্থীকে এখানে অধীর চৌধুরী ভোট দিতে বলছেন। মুর্শিদাবাদের সভা থেকে উনি বলছেন, তৃণমূলের থেকে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভালো।
এদিন জোটভঙ্গের কারণ নিয়ে ‘অধীর চৌধুরীর ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করা’র কথা তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বাম-কংগ্রেস লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে কীভাবে বিজেপির হাত শক্ত করেছে সেব্যাপারে মানুষের সামনে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক করছে, তখন সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাপ-বাপান্ত করছেন। আমরা চেয়েছিলাম এখানে ইন্ডিয়া জোটের আসন সমঝোতা হোক। যাতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে পারি। একাধিকবার কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছি, কিন্তু হয়নি। অধীরবাবু যে বাক্য প্রয়োগ করেছেন, বিজেপির হাত শক্তিশালী করতে যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, আমি প্রত্যেকটা তথ্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি।
নাম না করে কংগ্রেসের এক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে অভিষেকের কী কথা হয়েছিল, এদিন প্রকাশ্যে সেকথা বলেন তিনি। অভিষেক বলেন, আমি নাম বলব না। কংগ্রেস নেতৃত্ব অধীরবাবুকে বলেছিল, একসঙ্গে লড়তে হবে। অবশ্যই ওঁর কোনও অন্য ব্যাপার আছে। এই ব্যাপারটা আসলে কী? এদিন সেটাও স্পস্ট করেছেন অভিষেক। কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীকে যখন ইডি-সিবিআই ডেকে পাঠায়, তখন সারদাকাণ্ডে নাম থাকা সত্ত্বেও অধীর চৌধুরীকে একবারও সমন পাঠায় না। এই ভদ্রলোক বিজেপির এজেন্ট ছাড়া আর কিছু না।