পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বিরোধী দুই প্রার্থীর এভাবে ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তুণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, আমরা তো আগেই বলেছি তাঁরা ট্যুরিস্ট। ভোটের মরশুমে তাঁরা আসেন। মানুষ আগেই তা বুঝেছে। তাই ভোটে সবাই ট্যুরিস্ট প্রার্থীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে।
বিজেপি প্রার্থীর দিল্লি যাওয়ার ঘটনায় দলের নেতা-কর্মীদের অনেকেই হতাশার ছাপ। নিচুতলার কর্মীরাও মনে করেন, ভোটের পর দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, কার কী অবস্থা, কোথায় কী সমস্যা হয়েছে, এবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল প্রার্থীর। ভোটের পর ভোটারদের কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেটা দেখাও প্রার্থীদের কর্তব্য। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোট শেষ হতেই রাজু বিস্তা মাটিগাড়ায় তাঁর নিজের আবাসনে ঢুকে পড়েন। এদিন সকালেও তিনি সেখানে ছিলেন। দুপুরের পর দিল্লির বিমান ধরতে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। জেলার শীর্ষনেতাদের সঙ্গে ফোনে প্রয়োজনীয় কথা বলেন। একই ভাবে এদিন দিল্লি উড়ে যান কংগ্রেস প্রার্থী মুণীশ তামাংও।
বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, খুব জরুরি কাজ থাকার জন্যই এদিন দিল্লি যেতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন শিলিগুড়িতে ভোটের প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। দলের ও নিজের কিছু কাজ জমে রয়েছে। সেকারণেই দলের সঙ্গে আলোচনা করে দিল্লি যাচ্ছি। কয়েক দিন পরই ফিরে আসব। কংগ্রেসের মুণীশ তামাং বলেন, জরুরি কাজ থাকার জন্য এদিন আমাকে দিল্লি যেতে হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই আবার ফিরে আসব।
এখানে ব্যতিক্রম তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা। পারিবারিক কাজে এদিন সকালে তিনি জলপাইগুড়ির বাগরাকোটে গিয়েছেন। যাওয়ার সময় তিনি বলেন, আমি এদিন বিকেলেই ফিরে আসব। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কার কোথায় কী সমস্যা হয়েছে শুনতে হবে। ভোট শেষ হয়ে যাওয়া মানে আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়া নয়। ভোট হয়ে গিয়েছে বলে সাধারণ মানুষের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না।
এদিকে, প্রায় দেড় মাস ধরে টানা প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তাই শনিবার সকাল থেকে কার্যত সকলেই বিশ্রামে কাটালেন। বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, সকাল থেকে বাড়িতেই রয়েছি। এবার আস্তে আস্তে গণনার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তবে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব এদিন পুরসভায় যান। কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাপিয়া ঘোষ সকাল থেকে ব্যস্ত ছিলেন পরিচিত দু’জনের মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।