ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
চিকোড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সবচেয়ে সফল সাংসদ ছিলেন বি শঙ্করানন্দ। কংগ্রেসের টিকিটে ১৯৬৭ থেকে প্রায় ৩০ বছর এই আসনে এমপি ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে এই আসনে জয় পান কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ হুকেরি। ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হন আন্নাসাহেব। তিন লক্ষের বেশি ভোটে প্রকাশকে হারিয়ে দেন তিনি। এবারও রেকর্ড মার্জিনে জেতা আন্নাতেই আস্থা রেখেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।
চিকোড়ি লোকসভার অধীনস্থ আটটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিই এখন রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। ফলে পাটিগণিতের হিসেবে খানিকটা চাপে আন্না। এর উপর দলীয় কোন্দল সামাল দেওয়া তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে মোদিসর্বস্ব প্রচারকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি। মিটিং-মিছিলে মোদি সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি রামমন্দির, আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রধানমন্ত্রীর ইমেজের মতো বিষয়কে তুলে ধরছেন আন্না। অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার হয়ে প্রচারের ব্যাটন তুলে নিয়েছেন তাঁর বাবা। হাত শিবিরের বক্তব্য, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, আর্থিক সাহায্য, বিনামূল্যে বিদ্যুত্ সহ পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে সিদ্ধারামাইয়া সরকার। লোকসভা নির্বাচনের ইস্তাহারেও পাঁচটি ন্যায়ের কথা বলেছে দল। কংগ্রেস জিতলেই তা পূরণ করা হবে।
বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন প্রাক্তন সাংসদ রমেশ কাট্টি, প্রভাকর কোরের মতো প্রভাবশালী নেতারা। জানা গিয়েছে, কাট্টি এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সাড়া দেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব। গেরুয়া পার্টির কপালের চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে প্রচারে প্রভাকর ও বিধায়ক রমেশ জারকিহোলির অনুপস্থিতি। প্রভাকরকে এবার আর রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয়নি দল। এনিয়ে মনকষাকষি চলছিলই। তিনি ভেবেছিলেন, ছেলে অমিতকে হয়তো চিকোড়ি থেকে টিকিট দেবে দল। কিন্তু, তা হয়নি। ফলে নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন প্রভাকর। পাশাপাশি, স্থানীয় বিধায়ক রমেশ আবার কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার জেঠু। তাই আন্নার হয়ে প্রচারে নেমে ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’ হতে চাননি তিনি। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা প্রার্থীর হয়ে ময়দানে না নামায় প্রবল চাপে বিজেপি শিবির। রাতে পোহালেই ভোট কর্ণাটকের এই কেন্দ্রে। তাতে কংগ্রেসের হয়ে ‘লেডি লাক’ কাজ করবে, না কি আন্নাতেই আস্থা রাখবেন মানুষ—তা জানতে নজর থাকবে ৪ জুনের ভোট গণনায়।