ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, বুধবার লালবাজারে রাজারামের স্ত্রী রাজশ্রী রেগেকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। রাজারামের সঙ্গে মুম্বইতে কাদের যোগাযোগ ছিল, বাড়িতে কে কে দেখা করতে আসতেন, এই সমস্ত প্রশ্ন করা হয় রাজশ্রীকে। পুলিস তাঁর সেসব ‘উত্তর’ খোলসা করেনি। তবে লালবাজারের এক সূত্রের দাবি, ধৃতের স্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। অন্যদিকে, বিমানবন্দর থেকে ধর্মতলার হোটেল পর্যন্ত যে অ্যাপ ক্যাবে এসেছিলেন রাজারাম, তার চালককে এদিন লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে প্রায় ঘণ্টা আটেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইনসপেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। তদন্তকারী আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা এসে ওই অ্যাপ ক্যাব চালকের সঙ্গেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি কোথায়, কোন পথে যেতে হয়? তাঁদের মধ্যে কার গ্রহণযোগ্যতা এই রাজ্যে বেশি? এই সমস্ত প্রশ্ন চালককে জিজ্ঞাসা করেন রাজারাম। শুধু তাই নয়, এরাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন বলে পুলিসকে জানিয়েছে ক্যাবচালক। তাঁর গাড়িতে রাজারাম ছাড়া আরও তিনজনকে তোলা হয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। তাঁরা কারা? পুলিস জানিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু, তদন্তের স্বার্থে এখনই তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, এদিন অভিযুক্তের বাজেয়াপ্ত মোবাইল ঘেঁটে নয়া তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের কথায়, হাওড়া ব্রিজ ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের একাধিক ছবি মিলেছে। কেন সেই সব ছবি তোলা হয়েছিল? তাহলে কি শহরে নাশকতার হামলার কোনও পরিকল্পনা করা হচ্ছিল? ধৃতকে এ প্রসঙ্গে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে দাবি করেছেন, রাজারামের টার্গেট ছিল অভিষেক। আদৌ কি তাই? তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এখনও বিশবাঁও জলে লালবাজার।