ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
২০১৮ সাল। যুবক শান্তনু ঠাকুর বিজেপির পরিচিত মুখ ও মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা অরবিন্দ বিশ্বাসের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বিভিন্ন এলাকায়। ‘রাজনীতির পাঁকে নামা তখন তাঁর মোটেও পছন্দ নয়।’ ২০১৯ সালে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর এক দফা বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছিল মতুয়া মানুষদের। কিন্তু সেবার তিনি বলেছিলেন, ভক্তদের সম্মিলিত দাবিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি মতুয়া সমাজের উন্নয়নে ১১ দফা দাবি মেনে নিয়েছে। সেই দাবিগুলির মধ্যে কী ছিল? নিঃশর্ত নাগরিকত্ব, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় ছুটি, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদান, মতুয়া গোঁসাই ও পাগলদের মাসিক আড়াই হাজার টাকা ভাতা। এছাড়া হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ঠাকুরনগরকে মডেল স্টেশন ঘোষণার মতো দাবিও ছিল তালিকায়। এই ১১ দফা ‘ভরসা’র উপর ভর করেই জিতেছিলেন শান্তনুবাবু। পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা শান্তনুবাবুর জেঠিমা মমতাবালা ঠাকুর। সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন শান্তনুবাবু। কিন্তু পাঁচ বছরে সাধারণ মতুয়াদের কী উন্নয়ন হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলে মতুয়াগড়ে প্রচারে ঝড় তুলছেন সুমিতা পোদ্দার। বলছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাই। সাধারণ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের অসহায়তা দেখেছি। সাধ্য মতো তাঁদের পাশে থেকেছি। ঠাকুরবাড়ির সদস্য হিসেবে শান্তনুবাবুর প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু বিজেপির সাংসদ ও মন্ত্রী হিসেবে তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ। ১১ দফা দূবি তিনি পূরণ করেননি। মতুয়া সমাজের উন্নয়নের জন্য কোনও উদ্যোগও নেননি।’
বিজেপি প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের মহা সঙ্ঘাধিপতি সুব্রত ঠাকুর অবশ্য বলেন, ‘নাগরিকত্ব নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে মতুয়াদের মূল দাবি কেন্দ্র মেনে নিয়েছে। ঠাকুরনগর মডেল স্টেশন হচ্ছে। এক দিনে সব দাবি পূরণ হয়না। মন্দির নির্মাণ সহ বাকি দাবিগুলো দ্রুত রূপায়ণের হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওই সমস্ত দাবি বাস্তবায়িত হবে। কারা কী উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার করছেন, জানি না। সাধারণ মানুষ ওঁদের জবাব দেবে।’