ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুলিস জেনেছে, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট টাকা দেওয়ার নাম করে নবনীতা গণেশকে কলকাতা থেকে জয়পুরের খালনায় তার মামাবাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানেই সে ও তার মামা-মামি মিলে খুন করে তাঁকে। খুনের পর দু’দিন মৃতদেহ বাড়ির পাশে খড়িবনে ফেলে রাখে। এরপর রাতে সেটি ত্রিপলে মুড়ে গাইঘাটা খালপাড়ে নিয়ে যায়। পরে বালি-পাথরের বস্তা বেঁধে সেটি গাইঘাটা খালে ফেলে দেয়।
এদিকে, ২৩ আগস্ট সন্ধ্যার পর থেকে গণেশের পরিবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর তারা জয়পুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পুলিস তদন্ত শুরু করে গত শনিবার প্রথমে নবনীতাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার নবনীতার মামা সুকল্যাণ ও মামি মনিকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। এরপরে মঙ্গলবার বিকেলেই জয়পুর থানার পুলিস তিনজনকে ঘটনাস্থল গাইঘাটা খালপাড়ে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করে। যদিও তাতে কিছু মেলেনি। এরপর বুধবার সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে হাড় ও বস্তা উদ্ধার করে।
প্রসঙ্গত, রাজাপুর থানার বাসিন্দা নবনীতার বিয়ে হয়েছিল কলকাতায়। যদিও স্বামীর সঙ্গে তার সর্ম্পকে টানাপোড়েন ছিল। এর মধ্যে নবনীতার সঙ্গে গণেশের সর্ম্পক তৈরি হয়। সেই সুবাদে জমি কিনে দেওয়ার নাম করে নবনীতা গনেশের কাছ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ফলে গণেশ নবনীতার নামে রাজাপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। এরপরেই নবনিতা গণেশকে ডেকে এনে পরিকল্পনা মাফিক খুন করে।