কলকাতা

১৬ হাজার ক্যাম্প, গড়ে হাজির মাত্র ৫৮ জন,  মমতার ধাঁচে ‘দুয়ারে সরকার’! ফ্লপ মোদি

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি অফিসের চৌহদ্দির বাইরে এসে পরিষেবা দেওয়া হবে। আর সেটাও রীতিমতো ক্যাম্প করে। নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর প্রশাসনের এই ঘোষণায় নিন্দুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে সরকারে’র ছায়া দেখতে পেয়েছিল। তাতে অবশ্য একেবারেই পরোয়া করেনি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খানিক স্টান্ট পছন্দ করেন। সেই মাফিক তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই ‘কর্মকাণ্ডের জন্য’ ১০০ দিনের ডেডলাইন দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁর সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কাজ। তারই প্রধান অঙ্গ ছিল ‘দুয়ারে সরকার’। থুড়ি, একটু ভুল হয়ে গেল। ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিট কর্মসূচি। আর এটা নরেন্দ্র মোদির। নাম, ‘জন চৌপাল’। ডাহা ফ্লপ।
তৃতীয়বারের জন্য রাজপাটে এসে প্রতিটি মন্ত্রককে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১০০ দিনে মন্ত্রকগুলি কোন কোন কাজ করবে, তার ফর্দ চাই। সেই প্রেক্ষিতেই ক্যাম্প করে এই পরিষেবা প্রধানের উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। লক্ষ্য ছিল, দেশে পাঁচ হাজার এমন শিবির হবে। আর সবটাই কমবেশি প্রান্তিক এলাকায়। দেশের নানা প্রান্তে কেন্দ্রীয় সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত প্রচার চালাবে এই শিবিরগুলি। এছাড়া, সাধারণ মানুষের যদি কোনও পরিষেবার প্রয়োজন থাকে, এই ক্যাম্প থেকেই তাঁরা সেসব পেয়ে যাবেন। মূলত পোস্ট অফিসে মানুষ যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন, তার উপরই জোর দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাঁচ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চৌপাল হয়েছে তার তিন গুণেরও বেশি। অন্তত তেমনই দাবি কেন্দ্রের। এই চৌপালে সাফল্য কতটা? ডাক বিভাগ সূত্রে খবর, ১৬ হাজার ১৪টি ক্যাম্পে সব মিলিয়ে হাজিরার সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৪১ জন। অর্থাৎ, পাকাপোক্ত হিসেব কষলে, শিবির পিছু গড়ে ৬০ জন মানুষও আসেননি! ডাক বিভাগের কর্তাদের একাংশের কথায়, প্রতিদিন পোস্ট অফিসের কাউন্টারগুলিতে এর চেয়ে ঢের বেশি গ্রাহক আসেন পরিষেবা নিতে। অথচ ওই ক্যাম্পের সাফল্যের লক্ষ্যে ডাক বিভাগের কর্মী-অফিসারদের ফরমান দেওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রের ‘জন চৌপাল’ উদ্যোগ সম্পর্কে প্রত্যেককে তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল, ইনস্টাগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো ব্যক্তিগত পরিসরে সেই প্রচার চালাতে হবে। কেন ব্যক্তিগতভাবে সরকারের মাহাত্ম্য তাঁদের প্রচার করতে হবে? উঠেছিল সেই প্রশ্নও। কিন্তু দিনের শেষে গোটা উদ্যোগটাই যে মাঠে মারা গিয়েছে, তা বলছে পরিসংখ্যানই। অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সামাজিক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিজেপির হর্তাকর্তারা লাগাতার কটাক্ষ করে থাকেন, তার নিরিখে কেন্দ্রের এই কর্মসূচি ডাহা ফ্লপ বললেও কম বলা হয়। 
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ১৬ হাজার শিবির কোথায় হয়েছে, কারা কারা তাতে অংশ নিয়েছেন, তেমন তথ্য খুঁজে পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে প্রত্যেক শিবিরে এত কম ‘ফুটফল’ নিয়ে। সেক্ষেত্রে একটা বিষয় নিশ্চিত, ‘জন চৌপাল’ নিয়ে প্রচারই সঠিকভাবে করেনি কেন্দ্র। এই উদ্যোগ যদি সত্যিই নরেন্দ্র মোদির কর্মকাণ্ড এবং সাফল্যের ঢাক পেটানোর জন্য হয়ে থাকে, তাহলে তার প্রচার হবে না কেন? নাকি সবটাই খাতায় কলমে দেখানোর জন্য? 
ডাক বিভাগ কেন্দ্রের অধীন হলেও এখানে এজেন্ট নিয়োগ করে রাজ্য অর্থদপ্তরের স্বল্প সঞ্চয় বিভাগ। তারা কিন্তু গ্রামে গ্রামে গিয়ে পোস্ট অফিসের নানা প্রকল্পের সুবিধার কথা পৌঁছে দিয়েছেন মানুষের কাছে। বুঝিয়েছেন, কোথায় টাকা জমা রাখলে নিরাপদ। অর্থাৎ, যে কারণে কেন্দ্র জন চৌপাল করতে চেয়েছিল, সেই কাজ করেছে রাজ্যই। মানুষের স্বার্থে। আর মোদি সরকার? ফ্লপের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে ১০০ দিনে পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিকে। ঠিক ১০০ দিনের কাজের মতো।
1d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৬ টাকা৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৮ টাকা১০৮.৫৯ টাকা
ইউরো৮৬.৮৭ টাকা৯০.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা