কলকাতা

সমবায় ব্যাঙ্কেও কালো টাকা! বড়  অঙ্কের লেনদেন সরকারের নজরে

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ‘কালো টাকা’ উদ্ধারে কোমর বেঁধে নামল নবান্ন। গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্টে হিসেব বহির্ভূত টাকা রয়েছে। তদন্ত করে সেই টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। রাজ্যের ছোট-বড় প্রতিটি সমবায় ব্যাঙ্কে গত ২২ মাসে একলপ্তে বড়সড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য চেয়ে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারই সবক’টি সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ‘রেজিস্ট্রার অব কোঅপারেটিভ সোসাইটিস’-এর স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারের সমবায় ডাইরেক্টরেট। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ এবং চলতি অর্থবর্ষের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এককালীন বড়সড় লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে। বড়সড় লেনদেন বলতে কত, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। রাজ্য এবং স্থানীয় স্তরের কৃষি ও গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এককালীন ২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি তোলা বা জমা দেওয়া হলে সেই তথ্য জানাতে হবে। রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক, ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক এবং আরবান কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তার বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এভাবে মোট কত টাকার লেনদেন হয়েছে, জানাতে হবে সেই তথ্যও। এখানেই শেষ নয়, যেসব অ্যাকাউন্টে এমন লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কেওয়াইসি আছে কি না, সেই তথ্যও এক্সেল ফরম্যাটে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পাঠানো বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, নোটবাতিল পরবর্তী সময়ে ‘ডেফ’ বা ‘ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ একাধিক রাজ্যে ‘কালো টাকা’ সাদা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই সূত্রে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে মোদি সরকারকে। নোটবাতিল আসলে কালো টাকা সাদা করার ভালো উপায় বলে মন্তব্য করেছিল খোদ সর্বোচ্চ আদালত। এই আবহে সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বড় অঙ্কের লেনদেনের উপর নজরদারি নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী রাজ্য সরকার। তাই সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন না হওয়া কতগুলি ‘ডরম্যান্ট অ্যাকাউন্ট’ রয়েছে, তা চিহ্নিত করে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে ওই একই চিঠিতে। শুধু তাই নয়, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সব অ্যাকাউন্টে কত টাকা পড়ে রয়েছে, তাও জানাতে হবে। বর্তমানে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কেওয়াইসি বাধ্যতামূলক। সমবায় ব্যাঙ্কগুলির গ্রাহকদের মধ্যে কত জনের কেওয়াইসি নেই, তা জানাতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে। যাঁদের কেওয়াইসি নেই, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের আধার যাচাই সহ কেওয়াইসি সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত তথ্য মিলিয়ে দেখলে সহজেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে থাকা হিসেব বহির্ভূত বা ‘কালো’ টাকার ছবিটা স্পষ্ট হবে। গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে আগামী মঙ্গলবার দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে পারেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
1d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৯৬ টাকা৮৬.৭০ টাকা
পাউন্ড১০৪.৮৮ টাকা১০৮.৫৯ টাকা
ইউরো৮৬.৮৭ টাকা৯০.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা