বিনোদন

ভালো থাকুক ভালোবাসারা

• শুধু একটা মানুষকে ভালোবেসে, তার সঙ্গে ঘর বেঁধে গোটা জীবনটা কি আদৌ কাটিয়ে দেওয়া যায়? মানে ধরুন, একসময়ে যার প্রেমে মশগুল হয়ে ভেবেছিলেন, তাঁকে ছাড়া বাকি জীবন বৃথা— কয়েক বছর পরে সেই মানুষটার সঙ্গে সব কথা, সব দেওয়া-নেওয়া, হাসি, হুল্লোড় ফুরিয়ে যায় কি?
অনেকেরই যায় হয় তো, কারণ কোনও সম্পর্কই তো আর সরলরেখায় চলে না। সেরকমই কাগজে-কলমে বিয়েটুকু থাকলেও বিবাহিত সম্পর্কের আর বিশেষ কিছু বাকি ছিল না কাব্যা (বিদ্যা বালান) আর অনির (প্রতীক গান্ধী) জীবনে। কথা তো ছিলই না, কথা কাটাকাটিও ছিল না বহুদিন। শুধু অভ্যেসের তাগিদে এক ছাদের তলায় থাকা, এক খাটে পাশাপাশি ঘুমনো। অথচ বাড়ির অমতে তামিল কাব্যা গণেশন পালিয়ে বিয়ে করেছিল বাঙালি ছেলে অনি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই প্রেমের জোয়ারেই ভাঁটা পড়তে বিশেষ দেরি হল না। 
তবে বিয়েতে প্রেম না থাকলেও, বিয়ের বাইরে প্রেম রয়েছে দু’জনেরই। অনি ভালোবাসে উঠতি অভিনেত্রী নোরাকে (ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ)। আর কাব্যার প্রেম চিত্রগ্রাহক বিক্রমের (সেন্ডিল রামামূর্তি) সঙ্গে। কিন্তু আজ পর্যন্ত একে-অপরকে সে কথা বলে উঠতে পারেনি তারা। বলা, না বলার দোলাচলে থাকতে থাকতেই এক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কাব্যাকে ফিরতে হয় উটি, নিজের বাড়িতে। অনিও তাকে সঙ্গ দেয়। সেখানে পা দিতেই স্মৃতির ঝাঁপি উপুড়। পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে বাঁকে কাব্যা আর অনির প্রেমের গল্পের ফিসফিসানি। পুরনো সবুজ প্রেম আবার স্বমহিমায় উঁকি দেয় দু’জনের জীবনে। মুম্বই ফিরে এসে, এবার নতুন সম্পর্কের খেলা। কাব্যা আর অনি একে অপরের প্রেমিক-প্রেমিকাকে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকে একসঙ্গে সময় কাটাবে বলে। 
শীর্ষা গুহ ঠাকুরতার প্রথম ছবি ‘দো অর দো প্যায়ার’ আসলে সম্পর্কের কোনও সরল সমীকরণের ধার ধারে না। মানুষের প্রেম, মন বদলের বিচার বিশ্লেষণ করে না এই ছবি। সেখানেই এই ছবি স্টিরিওটাইপের বাধা কাটিয়ে ওঠে। রিমেক নয়, এই ছবি বরং আজাজেল জ্যাকবের ছবি ‘দা লাভার্স’ থেকে অনুপ্রাণিত। ছবির লেখকরা (অমৃতা বাগচী, সুপ্রতিম সেনগুপ্ত ও এষা চোপড়া) তাঁদের চারপাশের বাস্তব জীবন থেকেই বেছে বেছে মুহূর্তগুলো তুলে নিয়েছেন। তাই কোনও অংশে এই ছবির সম্পর্কগুলো সাজানো মনে হয় না। তাদের প্রেম, নির্ভরতা, কাঁধে মাথা রেখে চা খাওয়া, স্টিলের বাসন, বেগুন পোস্ত— কোথাও প্রতারণার প্রলেপ নেই।  
বিদ্যা বালন আর প্রতীক গান্ধীর রসায়ন এতই সহজ যে, পর্দায় দেখলেও সবটা সত্যি বলে মনে হবে। তাঁরাই এই ছবির আসল সম্পদ। ইলিয়ানার অভিনয় ভালো লাগলেও, সেন্ডিলকে বড় পর্দায় বেশ আড়ষ্ট লেগেছে। চিত্রপরিচালক কার্তিক বিজয়ের ক্যামেরায় উটির শ্যাওলা সবুজ চোখে আরাম দেয়। পরিচালক যে দক্ষতার সঙ্গে সম্পর্কের গল্প বলতে চেয়েছেন, তাতে তাঁর অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য। তবে ছবির দৈর্ঘ্য খানিক কমাতেই পারতেন।
ঠিক যেমন সব সম্পর্কের কোনও নির্দিষ্ট পরিণাম হয় না, তেমনই এই ছবিও তার গল্পের সুতো খোলা রেখেই ইতি টানে। কারণ সম্পর্ক-মাত্রই তো সম্ভাবনাময়। তাকে জোর করে টেনেটুনে পরিণামের বাক্সে বন্দি করে লাভ কী! 
দেবত্রী ঘোষ
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা