পছন্দে প্রেম
অনেকদিন পর প্রেমের ছবিতে মিমি চক্রবর্তী। প্রেমেন্দুবিকাশ চাকির নতুন ছবি ‘আলাপ’-এর অদিতি তিনি। বললেন, ‘রোমান্স আমার প্রিয় ঘরানা। অ্যাকশন, রোমান্টিক কমেডি অবশ্যই পছন্দের, কিন্তু ‘গানের ওপারে’র (প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক) পুপেকে যেমন মানুষ আজও ভুলতে পারেনি, আমিও পারিনি। ‘আলাপ’ও মিষ্টি প্রেমের গল্প।’
সেতুর দুই পার
ভালোলাগা আর ভালোবাসা, মিমির মন বলে ‘সেতুর দুই পার’। ‘আগে ভালোলাগা, তারপর তো ভালোবাসা। ভালো তো অনেক কিছুই লাগতে পারে, তা কি আমি ভালোবাসি? আমার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞা আলাদা’, একটানা বলে থামলেন মিমি। বিকেলের আলোয় গঙ্গার জলে সূর্যের গোধূলি আলাপের দিকে তাকিয়ে আনমনা মিমির উচ্চারণ, ‘আসলে সেতুর এপার আর ওপার। মাঝখানের ওই পথটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
পরিপূর্ণ হল না
প্রতিদিন কত মানুষের সঙ্গেই তো দেখা হয়। কথা হয়। আলাপও হয়। কেউ কেউ আকর্ষণীয়। কিন্তু কোনও কোনও আলাপ অপূর্ণই থেকে যায়। ছোট্ট শ্বাস নিয়ে মিমির মন্তব্য, ‘আপশোস ঠিক বলব না। কিন্তু আমি মনে মনে চেয়েছিলাম, তাও কিছু আলাপ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। এমন অনেক আলাপ আছে, যা সত্যিই এখনও ভুলতে পারিনি।’
অদিতির সঙ্গে আলাপ
‘রোজ অফিসটাইমে যাঁরা অটো, বাসে করে ছোটেন, তাঁদের সবার মধ্যে একটা করে গল্প রয়েছে। অদিতি ওঁদেরই একজন। কেরিয়ার সচেতন মেয়ে। আইটি প্রফেশনাল। রাত জেগে কাজ করা, সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজে ছোটা মানুষদের কথা মিশে আছে অদিতির মধ্যে’, অভিনীত চরিত্র নিয়ে অকপট মিমি।
কাজেই বাঁচতে চাই
রাজনীতি থেকে আপাতত মুখ ফিরিয়েছেন মিমি। অভিনয়ে সময় দিতে চান। বললেন, ‘মন দিয়ে কাজ করতে চাই।’ এবার কি তবে হিন্দির বৃহত্তর বৃত্তে? মুচকি হাসেন মিমি, ‘অফার আছে। চিত্রনাট্য, চরিত্র ভালো হলে অবশ্যই করব।’ তাঁর কথায়, ‘ছোটপর্দা দিয়ে আমার কেরিয়ার শুরু। কিন্তু একবার সিনেমায় মন দিয়ে ফেললে ছোটপর্দায় ফেরা খুব মুশকিল। মানছি ছোটপর্দা অসম্ভব জনপ্রিয় একটা মাধ্যম। নন ফিকশন যদি কিছু করতে পারি, সে ভাবনা আছে।’ পরোক্ষে কি প্রযোজনার ইঙ্গিত দিলেন? মিমির সোজা কথা, ‘কাজ নিয়ে বাঁচতে চাই।’
আপন মানুষ
এখনও পর্যন্ত এমন মানুষের সঙ্গে আলাপ হল না, যিনি আপন, যাঁর সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া যায়? অনেকটা সময় নিয়ে মিমির উত্তর, ‘জীবনটা অনেকটা বড়। তাই সিদ্ধান্তটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আমার মতো আবেগপ্রবণ মানুষের ক্ষেত্রে তো বটেই। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা খুব কঠিন। আমার আশা, যেটা হবে, ভালোই হবে।’
প্রিয়ব্রত দত্ত
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়