অমৃতকথা

ভালবাসা

ভালবাসাটা হচ্ছে জীবনের বাদী সুর। দেবস্থানে থাকতে গেলে ভালবাসার প্রয়োজন আরও বেশী। অন্তর থেকে অহংকার বিদ্বেষকে সম্পূর্ণ দূর করলে তবেই ভালবাসা সম্ভব। ধর্মজীবনে, ভগবৎ লাভের পথে, কোনওরকম ক্ষোভ বা কারও প্রতি বিদ্বেষ থাকলে সে পথে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না। ঠাকুর বলতেন—‘মানুষ গড়ার কারখানা কর।’ ঠাকুর আশ্রমকে বলতেন মানুষ গড়ার কারখানা। অর্থাৎ সত্যিকারের মানুষ একমাত্র আশ্রমে এসেই তৈরি হতে পারে। তার চরিত্রের সমস্ত বিশেষত্বগুলি, শুভ দিকগুলি, ফুটে ওঠে এই আশ্রমের পরিবেশের মধ্যে এসে।
বাসনাকামনাই স্থূলত্ব। স্থূলত্ব নিয়ে ভগবান লাভ সম্ভব নয়। স্থূল প্রবৃত্তিগুলির মোড় ঘুরিয়ে দিতে হবে ভগবানের দিকে। ভালবাসায় প্রতিষ্ঠিত হলে সূক্ষ্মত্ব অর্জন আপনিই হবে।
সংসার তো করতে হবেই সকলকে, তবে সেটাকে ঠাকুরের সংসার করে নিতে হবে। রোজ সকালে উঠে বলতে হবে—ভগবান, সংসারের প্রতিটি কাজে তুমি আমার সাথে সাথে থেকো, আমার হাত ধরে থেকো। সারাদিন কাজের মাঝে মাঝে দেখতে হবে ঠাকুরের স্মরণ মনন হচ্ছে কি না। আমার মনে হয় বিশ্বপ্রেম যেখানে, সেখানে ঔদাসীন্য থাকবেই। উদাসীনতা না থাকলে বিশ্বপ্রেম হয় না। সবাইকে ভালবাসতে গেলেই অনাসক্তির প্রয়োজন। আসক্তি থাকলে সবাইকে ভালবাসা যায় না। ভগবানকে যারা ঠিক ঠিক ভালবাসে তাদের অন্য চাহিদা থাকে না। ভগবানের ইচ্ছা বলে সব কিছু মেতে নিতে কষ্ট হয় না।
গুরুর চরণে শিষ্যের সম্পূর্ণভাবে আত্মনিবেদনই শরণাগতি। সকল কাজে সকল সময় তাঁকেই চিন্তা করা, তিনি যা কিছু বলবেন নির্দ্বিধিায় মেনে নেওয়া এবং তিনি যে কোন কাজ বলবেন, সেটাই সম্পাদন করা শরণাগতির লক্ষণ। ভাল পথে এগোতে গেলে দেখা যায়, অনেক রকম জটিল বাধার সৃষ্টি হয়। এর সবটাই জানবে ঠাকুরের পরীক্ষা। তিনিই প্রত্যেক মানুষকে এরকম বিভিন্ন বাধার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা করেন। দেখেন যে, কে কতখানি প্রস্তুত আছে তাঁর দিকে এগিয়ে আসার জন্য। যদি আমাদের প্রত্যেকেরই তাঁকে পাবার জন্য ব্যাকুলতা এবং দৃঢ় ইচ্ছা থাকে তবেই আমরা চলার পথের সব বাধাকেই নিমেষে অতিক্রম করতে সক্ষম হব। পূর্ণ ব্রহ্মচর্য্যটাই আসল। সেটা ঠিক ঠিক হলে পরে গেরুয়া। আগে গেরুয়া নিলে গেরুয়ার কোনও মর্যাদাই থাকে না। অন্তরে শুভবুদ্ধির গৈরিকটি পরলে পরে আর বাইরে গেরুয়ানা পরলেও ঠাকুরের কাজ করা যায়, গৃহে থেকেও কর্মযোগী হওয়া যায়। আধ্যাত্মিক জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে একটি প্রধান গুণ, সহ্যশক্তি। সহ্যশক্তি অর্থাৎ অহংকে নত করে তাঁর চরণে সঁপে দেওয়া। ভগবান পরীক্ষা করেন—আমরা কতখানি তাঁর আপন হতে পেরেছি। সুখ দুঃখ সবই ঈশ্বরের দান বলে ভাবতে চেষ্টা করতে হয়। কোনও সত্য বা আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন প্রথমে নিজে সহ্যশক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া।
প্রত্যেক মানুষ তার নিজের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলে খুশী। কিন্তু ultimate আদর্শ হচ্ছেন ভগবান। আজ হোক কাল হোক হাজার জনম পরে হোক পৌঁছতে হবে সেখানে। আদর্শ বিবিধরূপে ছড়িয়ে আছে, ভগবানই সেই আদর্শের উৎস। সংসারের ভালবাসা স্বার্থের ভালবাসা। ছেলেমেয়ের ঠিক ঠিক কুশল কিসে হবে—মা-বাবা তা বুঝতে চায় না।
‘শ্রীঅর্চনামায়ের বাণী’ থেকে
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা