অমৃতকথা

জহর

শ্রীঅর্চনা মার ছোট ভাই কমলেশ মিত্র। ওর ডাক নাম হ’ল জহর। আমরা জহরদা বলেই ডাকি। যাই হোক। কমলেশের খুব বাল্যকালের একটি আশ্চর্য্য ঘটনার বিবরণ শুনেছি শ্রীঅর্চনা মা’র কাছে। কমলেশ তখন খুবই ছোট। খুব রুগ্ন ছিল এমনিতেই, তার ওপর হ’ল টাইফয়েড। সে যুগে টাইফয়েডের কোনও চিকিৎসা ছিল না। টাইফয়েড মানেই ধরা হ’ত মৃত্যুর দরজা। তার সঙ্গে আবার এসে জুটেছিল আরও নানা রকম উপসর্গ। হার্টটাও খুব বড় হয়ে গিয়েছিল। বিকার বা ডিলিরিয়ামের ঘোরও হচ্ছিল প্রায়ই। শ্রীঠাকুরের অশেষ কৃপায় জ্বর কিছুটা কম হলেও কিছুতেই পুরো ছাড়ছিল না। সকলেই ছিলেন চরম উগ্বিগ্ন। এমন সময় একদিন হঠাৎ শ্রীঠাকুর অর্চনা মাকে ডেকে বললেন—“তোর মাকে বলবি, আজ প্রভাকর মহারাজ তোদের বাড়ি যাবে সারা রাত হোম করতে। কারণ, জহরের অসুখের ব্যাপারে আমার একটা কিছু উপলব্ধি হচ্ছে। ঘরটরগুলো পরিষ্কার করে রাখিস। আর এমন একটা ঘরে হোমের আয়োজন করিস যাতে সেখান থেকে রোগীকে দেখা যায়।” শ্রীঠাকুরের এই নির্দেশ মত কৃষ্ণাবাসে ন’মাদের ঘরের সঙ্গে লাগোয়া ঠাকুরঘরে হোমের ব্যবস্থা করা হ’ল। ঠাকুরঘর থেকে বড় দরজা দিয়ে ন’মার ঘর পুরোটাই দেখা যায়। রোগী সেখানেই ছিল খাটে শোওয়া। ঠিক হ’ল রাত্রি ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্য্যন্ত হোম হবে। সেই মত ঘি কাঠ বেলপাতা ইত্যাদি সব জোগাড় করে রাখা হ’ল।
প্রভাকর মহারাজ যথাসময়ে এসে হোমে বসলেন। ন’মা এবং দিদিমণি রাত্রি জাগরণ করলেন। অর্চনা মাও হোমের কাছে বসে কাঠ ইত্যাদি জুগিয়ে যেতে লাগলেন। ন’মা অবশ্য ছিলেন কমলেশের কাছে। দিদিমণি বসলেন তেতলায় ওঠার যে সিঁড়িটা ঘরের ভেতর দিকে রয়েছে তারই দরজার কাছে। প্রভাকর মহারাজ হোমে বসে ধীরে ধীরে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়লেন। এমন গভীর ভাবে ধ্যানস্থ হয়েছেন যে, হোমের দিকে নজর দিতে পারছেন না। অর্চনা মা ওঁর ধ্যানমগ্ন অবস্থা দেখে হোমে প্রয়োজন মত কাঠ বেলপাতা দিতে থাকলেন। অনেকটা রাত পার হয়ে গেছে। থম থম করছে সমস্ত পরিবেশ। কমলেশ মাঝে মাঝে দুর্বল চাউনি মেলে তাকাচ্ছে হোমের দিকে। হঠাৎ দিদিমণি বড় বড় চোখ করে ন’মার ঘরের দরজার দিকে কি যেন দেখছেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তে কমলেশ ঠিক ঐ দিকেই তাকিয়ে খুব জোরে চীৎকার করে উঠলো—‘বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, পালাও, পালাও বলছি।’ ন’মা ছুটে গিয়ে কমলেশের বুকে হাত বুলোতে লাগলেন। বললেন—‘কি হয়েছে, কি হয়েছে? এখানে তো কেউ নেই। এই আমিই তো রয়েছি তোর কাছে।’ কমলেশ জোর দিয়ে বলে ওঠে, ‘না, না, একজন দাঁড়িয়েছিল, আমি বকাতে ছুটে পালিয়ে গেল।’ ঘটনাটি ঘটেছিল হোমের শেষের দিকে। দিদিমণিও উঠে এলেন তাড়াতাড়ি। ন’মাকে চুপিচুপি বললেন, ‘ওরে ও ঠিকই দেখেছে। আমিও তাকে ঠিক ঐখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।’ দিদিমণি দেখেছিলেন একটি অশরীরী নারীমূর্তি, কমলেশও ঠিক তাই দেখেছিল।কিন্তু কমলেশের ঐ তীব্র চীৎকার প্রভাকর মহরাজের কানেই যায়নি। 
স্বামী মৃগানন্দের ‘অলৌকিক কৃপাময় সত্যানন্দ’ থেকে
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১০ টাকা৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৪ টাকা১১২.১৯ টাকা
ইউরো৯১.৫৩ টাকা৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
14th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা