পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
খোলা মনে জবাব
‘দ্য রোশনস’ তথ্যচিত্রে নিজের জীবনের কিছু অকথিত কথা তুলে ধরেছেন রাকেশ রোশন। প্রথম থেকে এই প্রস্তাবে স্বচ্ছন্দ ছিলেন? একটু আনমোনা হয়ে রাকেশ বলেন, ‘শুরুতে শশী যখন আমাকে প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল, আমি তখন ‘রাকেশ রোশন’ হয়েই জবাব দিচ্ছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি খোলা খাতা হয়ে যাই। আমার তখন মনে হয়েছিল আমি কারও সন্তান, কারও ভাই, কারও স্বামী, আবার কারও বাবা। তাই তথ্যচিত্রে অনেক সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’
বাঙালিয়ানা
রাকেশ রোশনের মা সঙ্গীতশিল্পী ইরা রোশন ছিলেন বাঙালি। মায়ের থেকে বাঙালিয়ানা কতটা শিখেছেন? হেসে তাঁর জবাব, ‘আমার মা বাঙালি, আর বাবা গুজরাতি ছিলেন। বাড়িতে আমরা হিন্দিতেই কথা বলতাম। বাংলা বলতে না পারলেও বুঝতে পারি। ছুটি পেলেই দিল্লিতে যেতাম মায়ের বাড়িতে। ওখানে তখন চচ্চড়ি, মাছের ঝোল, সরষে মাছ আরও অনেক বাঙালি খাবার খেতাম। আর আমাদের শরীরে যেহেতু বাঙালি রক্ত বইছে, হৃতিকও বাঙালি খাবার খেতে ভালোবাসে। ওর বিশেষ করে চচ্চড়ি দারুণ পছন্দের।’
হৃতিকের শৈশব
রাকেশ ছোটবেলায় দুরন্ত ছিলেন। কিন্তু হৃতিক নাকি একেবারে তাঁর বিপরীত। ছেলের ছোটবেলার কথা উঠতেই আবেগপ্রবণ রাকেশ বলেন, ‘হৃতিক শান্ত ছিল। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। আমি একবারই ওকে মেরেছিলাম। আজও সেজন্য আমার খুব আপশোস হয়।’
গর্বিত বাবা
রাকেশ রোশনের বাবা ছিলেন হিন্দি সিনেমার জগতের খ্যাতনামা সঙ্গীত পরিচালক রোশন লাল। তারকা-পুত্র হয়েও রাকেশের কেরিয়ার শুরুর পথ মসৃণ ছিল না। একইভাবে হৃতিকও স্ট্রাগল করেই নিজের জায়গা তৈরি করেছেন।
রাকেশের কথায়, ‘আমি হৃতিকের মধ্যে নিজেকে দেখতে পাই। ও অভিনেতা হিসেবে খুবই সফল। বাবা হিসেবে আমি ওকে নিয়ে গর্বিত। সবথেকে ভালো লাগে যে, ও সবসময় নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছে। হৃতিক ছেলে হিসেবে যেমন ভালো, বাবা হিসেবেও ততটাই ভালো।’
বাজার মন্দা
একাধিক ব্লক বাস্টার হিন্দি ছবি উপহার দিয়েছেন রাকেশ। ইদানীং দক্ষিণী ছবির জয়জয়কার। বলিউডের বাজার কি মন্দা? রাকেশ স্পষ্ট বলেন, ‘ছবি চলে সাধারণ দর্শকের জন্য। কিন্তু এখন ছবি সাধারণ মানুষের জন্য নয়, উচ্চশ্রেণির দর্শকের জন্য বানানো হয়। তাহলে সিনেমা চলবে কী করে? দক্ষিণী ছবি গল্পের ধারা আগের মতোই রেখেছে। তাই আজও তারা সাফল্য পাচ্ছে।’