প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পরিচালক শচীন কৃষ্ণের এই সিরিজের চিত্রনাট্য পার্ট ওয়ানের মতো বলিষ্ঠ নয়। কিন্তু তার জন্য রোমাঞ্চ বা উত্তেজনায় এতটুকু ঘাটতি নেই। গল্পের প্রতিটি পার্ট খুবই ইন্টারেস্টিং জায়গায় শেষ হয়েছে। পার্ট ওয়ানের মতোই দ্বিতীয় সিরিজেও দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন রণিত রায়। মূলত তাঁর কাঁধে ভর করেই গোটা সিরিজের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এটিএসের নয়া চিফ হিসেবে ভালো মানিয়েছে শচীন খুরানাকে। শত বিপদের মধ্যেও বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি কর্তব্যে অবিচল। ‘স্পেশাল অপস’-এ দিব্যা দত্ত অভিনয় করেছিলেন জঙ্গির চরিত্রে। এখানে তিনি পুলিস অফিসার। জঙ্গিদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ‘তাসখন্দ ফাইলস’ ছবিতে দারুণ অভিনয় করার পর এখানেও তার ছাপ রেখেছেন ‘মকড়ি’খ্যাত শ্বেতা বসু প্রসাদ। ইন্টালিজেন্স এজেন্সিতে এই নবাগতাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হয় না। অভব্যতার শিকার হতে হয় তাকে। কিন্তু তারমধ্যেও ডোন্টকেয়ার ভাব নিয়ে লক্ষ্যে অবিচল শিখা। এই চরিত্রে নিজের একশো শতাংশ উজাড় করে দিয়েছেন শ্বেতা। বেশ কয়েক বছর পর রুপোলি জগতে ফিরলেন দিনো মোরিয়া। এক্কেবারে অন্য লুকে। গায়ে স্টাইলিশ কোট, একগাল দাড়ি এবং পনি টেল। মামুলি কথোপকথনের মধ্যেই নৃশংস কাণ্ডকলাপ ঘটিয়ে ফেলছেন এই খলনায়ক। পার্ট ওয়ানের পর এই সিরিজেও দেখা মিলেছে অনংশা বিশ্বাস এবং সূর্য শর্মার। স্বল্প সময়ের মধ্যেও নজর কেড়েছেন তাঁরা।
অবশ্য, হস্টেজেস-২ ত্রুটিমুক্ত নয়। কী কারণে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সব জেনেশুনে চুপ করেছিল, তা খোলসা করা হয়নি। রণিতরা পরিত্যক্ত কোঠিতে বন্দি থাকা অবস্থাতেও খাদ্য, পানীয় সর্বোপরি বিদ্যুতের ব্যবস্থা কী করে করল? শত শত বছরের ধুলো ঝেড়ে মামুলি সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্রোপচার নিতান্তই হাস্যকর। পুরো বাড়ি ঘিরে রয়েছে এটিএস, স্নাইপার। তাদের চোখ এড়িয়ে অনায়াসে বাড়ির বাইরে যাতায়াত মোটেও বাস্তবসম্মত নয়। কিন্তু তারপরেও টানটান উত্তেজনা, রোমাঞ্চে ভরপুর এই সিরিজ টিম ওয়ার্ক এবং দুর্দান্ত অভিনয়ের জোরে উতরে গিয়েছে। বাড়তি পাওনা হিসেবে রয়েছে রণিত-দিনোর দ্বৈরথ।