পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
মুকুল দেবের পরিচালনায় ‘দুই বিঘা জমি’, ‘অনুভব’, ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ ও ‘মৃত অমৃত পলাশ’, এই চারটি চিত্রনাট্যকে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের সূচনালগ্ন থেকেই স্বাগতভাষ্যের সঙ্গে মূকাভিনয়ের দক্ষতা প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম নকশাটি ‘দুই বিঘা জমি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাটিকে নাট্যরূপ দিয়ে সেটি মূকাভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানের শিশু-কিশোর অভিনেতারা। উপেন ও জমিদারের চরিত্রের অভিনয় বিশেষ নজর কাড়ে।
এর পরের নকশা ছিল ‘অনুভব’। সেখানে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার গলদ ও শিশুদের সেই শিক্ষায় অংশীদার করতে চাওয়ার মূর্খামিকেই পরিচালক তুলে ধরেছেন। একজন শিশুর রুটিন ও জীবন ঠাসা নানা শিক্ষকের উপস্থিতিতে। একজন পড়িয়ে যেতে না যেতেই শুরু হচ্ছে অন্য বিষয়ের পড়াশোনা। খেলার, হাসার, ছবি আঁকার বা গল্প করার জন্য শিশুটির হাতে কোনও ফুরসত নেই। একসময় রাগে দুঃখে মানসিক স্থিতি হারিয়ে ছেলেটি ঝাঁপিয়ে পড়ছে শিক্ষকদের উপরই। শিশুটির অনুভূতি ও অভিব্যক্তি দর্শকদের মন কাড়ে।
তৃতীয় নকশায় সামাজিক বার্তা দিয়েছেন পরিচালক মুকুল দেব। ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’-এ দর্শক দেখেন একের পর এক গাছ কেটে ফেলার পর মানুষ নির্ভর করছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের উপর। কিন্তু ব্যর্থ সেই প্রয়াস! এই নকশাও ভাবিয়ে তুলবে দর্শকদের।
অন্তিম নকশা ছিল ‘মৃত অমৃত পলাশ’। সম্পন্ন গৃহস্থবাড়িতে সন্তান আগমনের আনন্দ। কিন্তু হঠাৎই ধেয়ে আসে ঝড়। তাদের সন্তান তৃতীয় লিঙ্গের! শুরু হয় সামাজিক ও গার্হস্থ্য পীড়ন। ছেলেবেলাতেই মেরে ফেলতে চায় তার বাবা-কাকারা। মা লুকিয়ে রাখে তাকে। মায়ের মমতায় বড় হয় সেই সন্তান। ভারি গুণের সে। তবু একটা সময়ের পর তার ঠাঁই হয় তৃতীয় লিঙ্গের মানুষনেদের সঙ্গে। সমাজের মূলস্রোতের একটি মেয়ের নাচ সেই হতভাগ্যকে খুব টানে। সে নাচ শিখতে চায় ওই ‘দিদি’-র মতো। তারপর কীভাবে সেই মূলস্রোতের মেয়েটি নানা বাধা পেরিয়ে ওই তৃতীয় লিঙ্গের দলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয় এবং বৃহন্নলাদের সেই দল কীভাবে ভিন্ন সমাজের একটি মেয়েকে তাদের আপনজন করে তোলে এই স্রোতেই গল্প এগয়। বৃহন্নলাদের নেত্রী ও মূল চরিত্র পলাশের ভূমিকা নজর বিশেষ নজর কাড়ে। সামগ্রিক নকশার রূপটান, আলো ও ভাষ্য ছিল যথাযথ।