পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি কর্মে ব্যস্ততা। ব্যবসা সম্প্রসারণে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা। ... বিশদ
বর্তমান সমাজ আদর্শবান মানুষের বড়ই অভাব। মনুষ্য সমাজ নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আদর্শবোধকে গুলিয়ে ফেলে। সে চেতনে হোক বা অবচেতনে। সেদিক থেকে প্যারাবোলা স্যর তথা সত্যবান চক্রবর্তী সচেতন এক ব্যক্তি। নিজের আদর্শের প্রতি অবিচল মানুষটি পেশায় শিক্ষক। দায়িত্ব ও কর্তব্যের দিক থেকে শৃঙ্খলা মেনে চলায় বিশ্বাসী। সেই বিশ্বাস ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও তৈরি করার প্রয়াসী সে। আপনভোলা ছাত্রদরদী এই শিক্ষক আপসকে দূরে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনেই অভ্যস্ত।
এক আদর্শ শিক্ষক তথা মানুষের জীবন চরিত এই নাটক। প্রতি পদক্ষেপে লোভ, আপসের হাতছানিকে উপেক্ষা করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে সমাজে মাথা তুলে থাকা আজ আশ্চর্য মনে হতে পারে। সত্যবান চক্রবর্তী সেই সব হাতছানিকে অবলীলায় সরিয়ে আপন আদর্শে অবিচল থাকার উদাহরণ। এই চরিত্রে শুভ গুপ্ত ভায়া অনবদ্য। দ্বারিকা (শাহিদুল ইসলাম), রামশুভগের (নিমাই চক্রবর্তী) অভিনয় পরিসরে ছোট হলেও বেশ ভালো লাগে। অবাঙালি আদবকায়দা ভালোই রপ্ত করেছেন তাঁরা। সাবিত্রী (পাপড়ি বসু) সত্যবানের সহধর্মিণীর ভূমিকায় ও টনির (শেখর সরকার) মায়ের চরিত্রে উত্তীর্ণ। তবে শেখর সরকারের অভিনয়ে একাত্ম হওয়ার অভাব বোধ হল। নাটকে সূত্রধরের কাজ করে তারাপ্রসন্ন (তাপস ঘোষ)। এ ছাড়াও প্রেমাংশু দাশগুপ্ত, অনুব্রত চক্রবর্তী, ছত্রধর দাস সহ অন্যান্য অভিনেতাদের অভিনয় মূল চরিত্র গুলির সঙ্গে ছিল সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাশাপাশি সন্দীপ সুমন ভট্টাচার্যের মঞ্চ পরিকল্পনা, সুদীপ সান্যালের আলোক ভাবনা ও সুশান্ত অধিকারীর শব্দ প্রক্ষেপণ নাটকের মূল ভাবনাকে একত্রিত করে দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে।