সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
‘সিটিজেনস ইউনাইটেড—নিজেদের মতে নিজেদের গান’ নামক একটি পেজ খোলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পেজ থেকেই বুধবার একটি মিউজিক ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। গানের কথা লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শুভদীপ গুহ। গানটি গেয়েছেন অর্ক মুখোপাধ্যায়, শুভদীপ গুহ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অনুপম রায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচী, দেবরাজ ভট্টাচার্য, শম্পা বিশ্বাস, উজান চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গমা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋদ্ধি ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। যাঁরা প্রত্যক্ষভাবে এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা তো ভিডিওতে রয়েছেনই। এছাড়াও রয়েছেন অরুণ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, সুমন মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, রেশমি সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, পিয়া চক্রবর্তী প্রমুখ।
৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির তুলোধনা করা হয়েছে। নাগরিকত্ব বিল, পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি, কৃষি বিল, দলিতদের উপর অত্যাচার, আরএসএসের ক্রিয়াকলাপ প্রভৃতি নানা ইস্যুতে কথা বলা হয়েছে। ফইজ আহমেদ ফইজের ‘হাম দেখেঙ্গে’ কবিতাটির ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলায় নির্বাচনের প্রাক্কালে এই গানের প্রকাশে বিশেষ তাত্পর্য তো রয়েছেই। কিন্তু এই মিউজিক ভিডিওর কোথাও কাকে ভোট দেবেন না বা কাকে ভোট দেবেন, সেই বিষয়ে একটিও বাক্য ব্যয় করা হয়নি। কেন? তাহলে কি সরাসরি পক্ষ নিতে অনীহা? ঋতব্রত বলছেন, ‘এটা একটা সৃষ্টিশীল কাজ। এটা তো কোনও প্রতিবেদন বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে না। গানের কথা এবং দৃশ্যায়নই যা বলার বলবে। আমরা যখন কাউকে বলব, কাকে ভোট দেবেন আর দেবেন না, তার মধ্যে একটা নির্দেশ রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে নো ভোট টু বিজেপির সমর্থক। কিন্তু সংঘবদ্ধভাবে আমি যদি নির্দেশ দিই কাকে ভোট দেবেন আর দেবেন না, তাহলে সেই ওদের মতোই হয়ে যাচ্ছি।’ এই ভিডিওতেই দেখা গিয়েছে কৌশিক সেনকে। তিনি বলছেন, ‘কাকে ভোট দেবেন, এখানে সরাসরি সেটা বলার কথা নয়। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিষ্কার অবস্থান, বিজেপিকে ভোট দেবেন না। এটা নিয়ে আমার, ঋদ্ধি ও রেশমির কোনও সংশয় নেই। আমরা নাগরিক হিসেবে যে ইস্যুতে বিপন্ন বোধ করছি, সেগুলো রয়েছে। এই ইস্যুগুলো তো বাংলার ভোটের পরেও থাকবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেও থাকবে, না এলেও থাকবে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো এই ভিডিও ব্যবহার করতে পারে। বিজেপি গাল-মন্দ করতে পারে, তৃণমূল প্রশংসা করতে পারে, সিপিএম খানিকটা ভালো, খানিকটা খারাপ বলতে পারে।’ গানটি লেখা হয়েছিল ২০১৯ সালে।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের ঘটনার পরে বাংলার বুদ্ধিজীবী মহল তত্কালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল এবং সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ নিয়েছিল। সেই তালিকাতে ছিলেন কৌশিক সেনও। সেই প্রসঙ্গে কৌশিকের যুক্তি, ‘এই জায়গাতে সকলকে এক ব্র্যাকেটে রাখা ঠিক নয়। ২০০৭-এ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যে সিপিএম বিরোধিতা করেছিলাম, এখনও মনে করি সেটা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু একটা পার্থক্য ছিল। আমি, অপর্ণা সেন, শঙ্খ ঘোষের মতো মানুষ ওই প্ল্যাটফর্মটাকে অরাজনৈতিক রাখতে চেয়েছিলাম। ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ, শাঁওলী মিত্র, শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরীদের সঙ্গে তখন দীর্ঘ কথা হতো। কিন্তু সেটা হয়নি। তারপর কেউ কেউ মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন। বাকিরা কমিটিতে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আমি কোনও কমিটিতে যাইনি, কোনও জমায়েতে যাইনি।’