গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কাচের নানারকম শিশি বোতল আমাদের সকলের বাড়িতেই আসে। তাতে কখনও ওষুধ থাকে, কখনও বা অন্য কিছু। এমনকী ফিনাইল, ডেটল ইত্যাদিও কাচের বোতলে বিক্রি হয়। সেই বোতলগুলো কাজ ফুরলে আমরা সাধারণত ফেলে দিই। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছ কি, এই শিশি-বোতল দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় নানাধরনের হ্যান্ডিক্রাফ্ট। তোমরা ভাবছ সে আবার কেমন করে সম্ভব? তাই তো? কিন্তু বেশ সহজেই এই বোতল দিয়ে ফুলদানি তৈরি করে ফেলা যায়। শুধু নিজেদের সৃষ্টিশীল মনকে একটু জাগিয়ে তুলতে হবে। বোতল থেকে ফুলদানি বানানোর জন্য অবশ্য কয়েকটা জিনিস হাতের কাছে মজুত রাখতে হবে। শুনে নাও কী কী সেগুলো।
শিশি থেকে ফুলদানি বানানোর জন্য যা লাগবে: একটা কাচের শিশি, অল্প একটু লিকুইড সোপ, আধ বালতি হাল্কা গরম জল, স্প্রে পেন্ট ব্রাশ, তুলি, ফেবিক্রিল কালার।
ফুলদানি বানানোর পদ্ধতি: বালতিতে হাল্কা গরম জলে লিকুইড সাবান গুলে শিশিগুলোকে তাতে সারা রাত ডুবিয়ে রেখে দাও। পরের দিন সকালে শিশিটা জল থেকে তুলে নিয়ে তার গায়ে লাগানো লেবেলটা ঘসে তুলে ফেল। শিশিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবার তা জলে ধুয়ে শুকনো করে মুছে নাও। এবার ওই শিশির একদিকে লাল বা হলুদ বা যেকোনও উজ্জ্বল রং দিয়ে স্প্রে পেন্ট করে নাও। একবেলা রেখে দাও। স্প্রে পেন্ট শুকিয়ে যাবে। এবার শিশির অন্য দিকে ফেবিক্রিল রং আর তুলি ব্যবহার করে যা খুশি এঁকে নিতে পার। যারা আঁকতে ভালো জানো না তারা ফুল বা পাতা বা জ্যামিতিক নকশা আঁকবে শিশির গায়ে। আর যারা আঁকায় পারদর্শী তারা কোনও কার্টুনের চরিত্র বা কোনও প্রাকৃতিক দৃশ্য এঁকে ফেলতে পার। এবার শিশিটা আবারও শুকিয়ে নাও। তারপর তা পড়ার টেবিলে রেখে পেন, পেন্সিল রাখার কাজে ব্যবহার করতে পার। অথবা তাতে অল্প জল ভরে বানিয়ে ফেলতে পার সুন্দর একটা ফুলদানি। রঙিন ছবি আঁকা শিশি ঘরের চেহারাই বদলে দেবে।