গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
আর সৌরজগতের প্রায় সব গ্রহই নিজের অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুক্র আর ইউরেনাস। এই দু’টি গ্রহ নিজের অক্ষে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে ঘোরে। আর এজন্য শুক্র গ্রহে সূর্য ওঠে পশ্চিমে। আর অস্ত যায় পূর্ব আকাশে। শুক্রের এমন উল্টো গতি কেন। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রথমে হয়তো শুক্র অন্যান্য গ্রহের মতোই আবর্তিত হতো। কিন্তু তার নিজের আকারের কোনও সুবিশাল মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এই গ্রহ উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। আমাদের যেমন উপগ্রহ চাঁদ রয়েছে, শুক্রের কিন্তু এমন কিছু নেই।
শুক্রের সব মজার মজার কথা জানার পর মনে হতেই পারে, যদি সেখানে টুক করে ঘুরে আসা যেত! কিন্তু প্রাণীদের বসবাসের ক্ষেত্রে মোটেই উপযুক্ত নয় শুক্র। সেখানে প্রাণের কোনও অস্তিত্বও নেই। সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণতম শুক্র। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, এখানকার তাপমাত্রা ৪৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই গ্রহ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের তৈরি একটা মৃত্যুফাঁদ। বায়ুমণ্ডলের ৯৬ শতাংশই কার্বন-ডাই-অক্সাইড। নাইট্রোজেন ৩.৫ শতাংশ। আর আছে সালফার-ডাই- অক্সাইডের মতো অন্যান্য গ্যাস। শুক্রের ঘন মেঘের স্তর ভেদ করে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে ঠিকই। কিন্তু বের হয়ে আসতে পারে না। তাই বায়ুমণ্ডলের চাদরে ঢাকা রয়েছে তীব্র গরম। আর রয়েছে প্রবল বায়ুর চাপ। পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৯০ গুণ বেশি। এই প্রবল বায়ুর চাপে শুক্রের পৃষ্ঠে দাঁড়ানোই সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ও অভিযানে শুক্র সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানা যাবে বলেই আশা করা যায়।