উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ওয়ার্ম বল
ওয়ার্ম বল একটি বিস্ময়কর প্রাণী। তোমাদের হয়তো জানা নেই, অদ্ভুত চেহারার এই ওয়ার্ম বল গোলাকৃতি বল আকার ধারণ করে মাঝেমধ্যে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিরল দৃশ্য টেক্সাসের ব্যস্ত হাইওয়েতে কখনও সখনও দেখা যায়। এই ওয়ার্ম বলগুলি রাতের বেলায় রাস্তার মাঝখানে সার দিয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, সূর্যের আলোয় তাদের অসুবিধা হয় বলে এরা বল আকার ধারণ করে থাকে। বৃষ্টি-বাদলার দিনে যখন রাস্তা ভিজে থাকে তখন এরা জড়ো হয়ে আরও বড় বল তৈরি করে যা এদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে।
ব্যাটস
নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূলীয় শহর ব্যাটম্যানদের উপকূল হিসেবে বেশ পরিচিত। পর্যটকদের জন্যও এই এলাকাটি খুব জনপ্রিয়। ২০১৬ সালে এই উপসাগরীয় অঞ্চলে হঠাৎ করে এক বিশেষ প্রজাতির বিস্ময়কর প্রাণীকে ঢুকতে দেখা যায়। একে বলা হয় ‘ফ্লাইং ফক্স’। এদের মাথা ধুসর রঙের। আশ্চর্যজনক কেন? কারণ, এরা ওখানে ফলের ও ফুলের সন্ধানে এসেছিল। এই উপসাগরীয় এলাকার আশপাশে অনেক বন-জঙ্গল আছে। সেসব জায়গায় প্রচুর ইউক্যালিপটাস গাছও আছে। এইসব গাছে সুস্বাদু ফুলের মধু পাওয়া যায়। এই ফুলের মধু ফ্লাইং ফক্সকে চুম্বকের মতো আকৃষ্ট করে।
রোবট
তোমরা কি জানো প্রযুক্তি ও প্রকৃতি একসঙ্গে মিলিত হলে কী হতে পারে? এসো এবার আমরা দেখি, রোবট কীভাবে পৃথিবীর কিছু প্রাকৃতিক ঘটনাকে প্রভাবিত করে। রোবট ‘দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ’ কে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করছে। সমুদ্রের অন্যতম বাসিন্দা থর্ন স্টারফিশ ভয়ঙ্কর শিকারি প্রাণী হিসেবে পরিচিত। এরা প্রবাল খাবার মেশিন হিসেবে পরিচিত। এই সমস্যার সমাধানে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি একটি বিশেষ ধরনের রোবট তৈরি করে। এই রোবটটি স্টারফিশকে খুঁজে বের করে ভয় দেখায় বা প্রয়োজনে মেরে ফেলে। এভাবে প্রবালকে রক্ষা করা হয়।
দৈত্যাকার ঢেউ
এটি ২০১৫ সালের ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে একটি মনোরম সমুদ্র উপকূল আছে। যেদিন ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। সমুদ্রের জল ছিল উষ্ম এবং স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, শান্ত। এদিন হঠাৎ করে বিশালাকার ঢেউ উপকূলে সজোরে ধাক্কা মারতে থাকে। সাধারণ ঢেউয়ের থেকে প্রায় দু’ থেকে তিন গুণ বড়। এরকম বড় ঢেউ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমুদ্রের পৃষ্ঠে বাতাসের দ্বারা সৃষ্টি হয়। সমুদ্রের তরঙ্গ যত বেশি হবে ঢেউ ততই শক্তিশালী ও বড় হবে। যখন সমুদ্রের কাছাকাছি বা তার নীচে ভূমিকম্প হয়, তখন সুনামি আছড়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘণ্টায় প্রায় ৬০০ মাইল গতিবেগে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে। এজন্যই নাকি সেদিন ওই সমুদ্র উপকূলে দানবীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল।