শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
ভিনগ্রহীর অস্তিত্ব আছে! এমনটাই দাবি আমেরিকার নেভেদা অঞ্চলের বেশ কিছু বাসিন্দাদের। কেন তাঁরা এমন দাবি করেন? সেই বিষয়ে জানতে হলে আগে ‘এরিয়া ৫১’ সম্পর্কে কয়েকটা কথা বলে নেওয়া দরকার।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেরএকটি অঙ্গ রাজ্য নেভেদা। রুক্ষ মরু পর্বতময় প্রান্তর হিসেবেই বিখ্যাত নেভেদা। তারই দক্ষিণ অংশে রয়েছে এক বিরাট সামরিক ঘাঁটি। এই সামরিক ঘাঁটির নাম এরিয়া ৫১!
এলাকাটি লাস ভেগাস শহর থেকে ৮৩ মাইল উত্তর পশ্চিমে। এরিয়া ৫১-এর আরও অনেক নাম আছে যেমন ড্রিম ল্যান্ড, প্যারাডাইজরেঞ্চ, হোম বেস, গ্রুম লেক ইত্যাদি।
এরিয়া ৫১ –এর আয়তন প্রায় ২৬০০ বর্গমাইল। অথচ এই এলাকায় সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। এমনকী এলাকার আশপাশ দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেখলে তখনই বের করে দেওয়া হয়। ছবি তোলাও নিষেধ। এরিয়া ৫১ ঘেরা রয়েছে কাঁটাতারের দেওয়াল দিয়ে। দিনরাত সেনাবাহিনীর গাড়ি টহল দিয়ে চলেছে গোটা এলাকা। এরিয়া ৫১-এ ঢোকার জন্য কোনও পাকা রাস্তা নেই। মাটির রাস্তা একটা রয়েছে বটে, তবে তা মূল ঘাঁটিতে ঢোকার অন্তত ৩০ মাইল দূরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে সেখানে একটা মাছিও গলতে পারে না।
জানা যায়, ওই এলাকার উপর দিয়ে, আকাশপথে কোনও বিমানও উড়তে পারে না! এতটাই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় এরিয়া ৫১ নিয়ে।
অথচ নেভেদা অঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা মাঝেমধ্যেই এরিয়া ৫১ থেকে ইউএফও (আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট) উড়ে যেতে দেখেছেন! সেই ফ্লাইং সসারের মতো দেখতে যানগুলি প্রায় বিদ্যুৎগতিতে আকাশে উড়ে যায়! পৃথিবীর কোনও বিমানের এত গতিবেগ থাকা অসম্ভব!
অথচ আশ্চর্য ব্যাপার হল, ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত এরিয়া ৫১ বলে কোনও জায়গা আছে স্বীকার করা হতো না মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে। তবে ২০১৩ সালে আমেরিকা স্বীকার করে এরিয়া ৫১ নামে একটি জায়গা রয়েছে নেভেদায়। তবে সেখানে কী কাজ হয় বা কেমন গবেষণা হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। শুধু বলা হয়েছে, সেখানে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান বানানো হয়! এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
অথচ বেশ কিছু মানুষের দাবি, ওই এলাকায় আসলে ভিনগ্রহীদের নিয়ে গবেষণা চলে! ১৮৮৯ সালে বব লাজার নামে এক পদার্থবিজ্ঞানী বলেন, তিনি এরিয়া ৫১-এ বেশ কিছুদিন কাজ করেছিলেন। সেই সময় তিনি সেখানে বেশ কিছু ফ্লাইং সসার দেখেন। সসার থেকে এমনই তরঙ্গ বেরচ্ছিল যে, কোনও বস্তু তার দিকে ছুঁড়ে মারলে সেটি পুনরায় ফেরত আসছিল! ফ্লাইং সসার গুলির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো ‘এলিমেন্ট ১১৫’ নামে একধরনের জ্বালানি! লাজার আরও দাবি করেন, তিনি সেখানে বেশকিছু ভিনগ্রহী প্রাণীকেও দেখেছেন বন্দি অবস্থায়। বন্দি এলিয়েনদের প্রতিদিন জিজ্ঞাসাবাদ করতেন মার্কিন সেনাবাহিনীর অফিসাররা। প্রাণীগুলি দেখতেও ভারী অদ্ভুত। উচ্চতা চার ফুটের মতো। গায়ের রং ধূসর। এমনকী বেশ কিছু লোক দাবি করেন, তাঁরা সেখানে এলিয়েনদের ময়নাতদন্ত হতেও দেখেছেন! তাঁদের আরও দাবি, এরিয়া ৫১-এ একসময় একটি ফ্লাইং সসার ভেঙে পড়ে। সেখান থেকেই এলিয়েনকে ধরা হয় ও অন্য এলিয়েনের ময়না তদন্ত করা হয়! অথচ মার্কিন সরকার সেই সম্পর্কে জনসাধারণকে কিছু জানতে দিতে চায় না। এমনকী স্যাটেলাইটের সাহায্যে কোনও ছবি তোলাও নিষেধ। গুগল ম্যাপেও যে ছবি আছে তা অস্পষ্ট! তবে ১৯৮৮ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার গুপ্তচর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেশ কিছু ছবি তোলা হয় এরিয়া ৫১-এর। সেই ছবিতে দেখা যায়, এরিয়া ৫১-এ রয়েছে বিশাল রানওয়ে! বড় বড় প্লেন! খেলার মাঠ। হেলিকপ্টার! এছাড়া সেখানে বড় বড় অ্যান্টেনাও রাখা আছে বলে দাবি করেন কেউ কেউ। সেই অ্যান্টেনার সাহায্যে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হয়। কারণ সেখানে ভিনগ্রহীদের সাহায্যে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ফ্লাইং সসার। গবেষণা চলছে টাইম মেশিন নিয়েও। কেউ কেউ আবার এও বলেন, এরিয়া ৫১-এর মাটির তলায় রয়েছে ৪০তলা বাড়ি। সেখানে রয়েছে অসংখ্য পরীক্ষাগার। সেইসব ল্যাবরেটরিতে হচ্ছে টাইম মেশিন, মৌলিক পদার্থ নিয়ে গবেষণা। আর সবই নাকি হচ্ছে এলিয়েন বা ভিনগ্রহীদের সাহায্যে!