Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

বিদ্যাসাগরের ছেলেবেলা 

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষদের ছেলেবেলার কথা। এবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।

পৃথিবীতে মাঝে মাঝে এমন এক-একজন মহাপুরুষ জন্মান, যাঁদের জন্য মানুষ যুগ যুগ ধরে গর্ব অনুভব করে থাকে। আজ তেমনি একজন মহাপুরুষের কথা শোনাব তোমাদের, যিনি আজ থেকে প্রায় দুশো বছর আগে ১৮২০ সালে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামের এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মেছিলেন। তাঁর নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা ভগবতীদেবী। এই ছোট্ট ঈশ্বরচন্দ্রই কেমন করে সকলের প্রণম্য, প্রাতঃস্মরণীয় ‘বিদ্যাসাগর’ হয়ে উঠলেন সেই গল্পই আজ শোনাব তোমাদের। মা ভগবতীদেবীর ছিল এক বিরাট পরোপকারী মন। তিনি নিজের শত অসুস্থতার মাঝেও কারও অসুখ-বিসুখ করেছে শুনলে, নিজে হাতে ওষুধ-পথ্য তৈরি করে তার কাছে ছুটে যেতে পিছপা হতেন না। এই জন্য গ্রামের ডোমপাড়া, হাঁড়িপাড়ার গরিব মানুষরা তাঁকে ডাকত ‘ভগবতী-মা’ বলে। ছোটবেলা থেকেই ঈশ্বরচন্দ্রও পেয়েছিলেন মায়ের মতোই এক নরম মন, পরের কষ্ট দেখলে যে মন অস্থির হয়ে উঠত!
তেমনি বাবা ঠাকুরদাসের কাছ থেকে পেয়েছিলেন পড়াশুনোয় বিপুল আগ্রহ। আট বছর বয়স পর্যন্ত গ্রামের পাঠশালাতেই পড়াশুনো করলেন ঈশ্বরচন্দ্র। তারপর, বাবার সঙ্গে চললেন কলকাতায়, সেখানে থেকে পড়াশুনো করবার উদ্দেশ্যে।
কলকাতায় আসার পথে ঘটল একটা মজার ঘটনা। বাটনা-বাটা শীলের মতো মাইল-ফলক লাগানো পাথর ছিল রাস্তার ধারে ধারে। তাতে ইংরেজিতে লেখা ছিল মাইলের সংখ্যা। সেগুলি দেখিয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বাবাকে বারে বারে প্রশ্ন করে জেনে নিলেন ইংরেজি এক থেকে দশ সংখ্যা। ফলে কলকাতা পৌঁছবার আগেই তাঁর ইংরেজি ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত শেখা হয়ে গেল! এমনি ছিল তাঁর শেখার আগ্রহ আর শিখে নেবার মেধা!
ছেলেবেলায় পড়াশুনোয় এমনই মন ছিল ঈশ্বরচন্দ্রের যে পাছে পড়ার সময় ঘুম পায় তাই কখনও ঘুম তাড়াতে চোখে সর্ষের তেল লাগাতেন, আবার কখনও জানলার গরাদের সঙ্গে নিজের টিকি বেঁধে রাখতেন যাতে ঘুমে ঢুলে পড়লেই টিকিতে টান পড়ে, আর তিনি জেগে যান। পড়ার সময় বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য তেলের অভাব হলে তিনি বাইরে রাস্তায় গিয়ে ল্যাম্পপোস্টের তলায় বসে বসে পড়তেন। এমনই ছিল তাঁর পড়াশুনোর প্রতি নিষ্ঠা!
শুধু পড়াশুনোই না, কলকাতার বাসাবাড়িতে তাঁকে রান্নাবান্নাও করতে হতো নিজের হাতে কাঠ কেটে উনুন ধরিয়ে, কুটনো কুটে, বাটনা বেটে! খেলাধুলোতেও ছিল তাঁর খুব আগ্রহ। ভালোবাসতেন বন্ধুদের সঙ্গে লাঠি খেলতে, কবাডি খেলতে, কুস্তি লড়তে। ছোট্টখাট্টো চেহারা কিন্তু মাথাটা বড় বলে বন্ধুরা তাঁকে ‘যশুরে কৈ’ নামে ডাকত। যেহেতু যশোর জেলার কৈ মাছের মুড়ো খুব বড় হতো! কিন্তু এত ঠাট্টা করা সত্ত্বেও ঈশ্বরচন্দ্র যখন পরীক্ষাতে প্রতিবছর বৃত্তি পেতেন, তখন সবার আগে তাঁর মনে পড়ত এই গরিব বন্ধুদের কথাই। তিনি নিজের বৃত্তির টাকায় তাই প্রতি বছর বন্ধুদের কাপড় কিনে দিতেন।
কলকাতায় সংস্কৃত কলেজে পড়াশুনো করবার সময় তাঁর শিক্ষকরা অবাক হয়ে যেতেন তাঁর মেধা দেখে। তিনি পরীক্ষায় প্রথম তো হতেনই, সেই সঙ্গে খুব অল্প বয়সেই ব্যাকরণ, সাহিত্য, দর্শন, অলঙ্কার ইত্যাদি সব শাস্ত্রও ছিল তাঁর কণ্ঠস্থ! তাঁর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে পণ্ডিতসমাজ স্বীকার করলেন যে ঈশ্বরচন্দ্রের মতো এমন মেধাবী ছাত্র পাওয়া সত্যিই বিরল! তাঁরা তাই তাঁকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করলেন।
এবার তোমাদের বলব বিদ্যাসাগরের মাতৃভক্তির কথা। তখন তিনি পড়াশুনো শেষ করে সবে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেছেন, ছোটভাই শম্ভুচন্দ্রের বিয়ে উপলক্ষে মা ভগবতীদেবী চিঠি লিখলেন তাঁকে বীরসিংহ যাবার জন্য। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ মার্শাল সাহেব তাঁর ছুটি মঞ্জুর করলেন না। কিন্তু মা যখন ডেকেছেন তখন তো তাঁকে যেতেই হবে— তাই মাতৃভক্ত বিদ্যাসাগর চাকরি ছেড়ে দেবার জন্য এবার আবেদনপত্র লিখে নিয়ে গেলেন মার্শাল সাহেবের কাছে।
তাঁর মাতৃভক্তি দেখে অবাক হয়ে গেলেন মার্শাল সাহেব, বুঝলেন ছুটি না দিয়ে খুব ভুল করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটি মঞ্জুর করে দিলেন তিনি। কিন্তু দামোদরের তীরে পৌঁছে বিদ্যাসাগর দেখলেন প্রবল ঝড় বৃষ্টির জন্য নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে, ঘাটে একটাও নৌকো নেই। পার হবেন কী করে! কিন্তু মা যে ডেকেছেন, যেতে যে তাঁকে হবেই! একটুও ভয় না পেয়ে ‘মা—আমি আসছি—!’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সেই উত্তাল দামোদরের বুকে! সাঁতরে পার হয়ে অনেক রাত্রে মায়ের কাছে গিয়ে পৌঁছলেন! মা অবাক হয়ে তাঁকে বললেন, ‘আমি ধন্য তোর মতো মাতৃভক্ত ছেলে পেয়ে!’
অসম্ভব নির্ভীক আর তেজী ছিলেন বিদ্যাসাগর। একদিন হিন্দু কলেজের অধ্যক্ষ কার সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন তিনি, দেখেন কার সাহেব টেবিলের উপর তাঁর জুতো সমেত পা তুলে বসে আছেন। বিদ্যাসাগরকে দেখেও সৌজন্যবশত পা নামানোর কোনও আগ্রহই দেখালেন না। ওই ভঙ্গিতেই বসে কথা বলতে লাগলেন। প্রচণ্ড অপমানিত বোধ করলেন বিদ্যাসাগর। এরপর যেদিন কার সাহেব সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের কাছে একটা দরকারে এলেন, সেদিন বিদ্যাসাগরও তাঁর তালতলার চটি সমেত পা টেবিলের ওপর তুলে বসে বসে কার সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন। অপমানিত কার সাহেব বুঝতে পারলেন এই ‘নেটিভ’ বিদ্যাসাগর তাঁকে উচিত শিক্ষা দিতে ছাড়লেন না তিনি ব্রিটিশ হওয়া সত্ত্বেও!
অনেক বই লিখেছিলেন বিদ্যাসাগর—কথামালা, বোধোদয়, আখ্যান মঞ্জরী, বেতাল পঞ্চবিংশতি, সীতার বনবাস, মেঘদূত ইত্যাদি। তবে, যে বইয়ের জন্য আমরা প্রত্যেক বাংলা ভাষাভাষী তাঁর কাছে চিরঋণী, সেটি হল সহজ ভাবে বাংলা ভাষা শেখার উদ্দেশ্যে লেখা ‘বর্ণপরিচয়’ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ, বাংলা ভাষা শিখতে গেলে আজও যে বই অপরিহার্য।
তিনি নিজে কিন্তু খুব সাধারণ ভাবে থাকতেন— মোটা ভাত, মোটা কাপড়- চাদর, পায়ে তালতলার চটি— এই ছিল তাঁর আজীবনের পোশাক, এমনকী বাংলার গভর্নর হ্যালিডে সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও ওই একই পোশাকে তিনি যেতেন। তাঁর রোজগারের প্রায় সব টাকাই তিনি পরোপকারে খরচ করতেন। শিক্ষা বিস্তারের জন্যও অকাতরে খরচ করতে কার্পণ্য করতেন না, বিশেষ করে মেয়েদের মডেল স্কুল খুলবার জন্য নিজেই সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতেন।
একদিন বিদ্যাসাগর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে পাশের বাড়ি থেকে একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনে জানলা দিয়ে তাদের বাড়ি উঁকি দিয়ে দেখেন যে, একটা বছর পাঁচেকের মেয়ে জল খাওয়ার জন্য ছটফট করছে, আর দু’জন মহিলা তাকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখছেন। বিদ্যাসাগর চমকে গেলেন! তিনি বুঝলেন ওই বাচ্চাটি বালবিধবা। একাদশীতে যেহেতু বিধবাদের জল খাওয়া শাস্ত্রে বারণ, তাই মহিলা দুটি ওর হাত-পা বাঁধছে পাছে ছুটে গিয়ে জল খেয়ে ফেলে! কষ্টে বিদ্যাসাগরের চোখে জল এল। তিনি তক্ষুনি মনস্থির করলেন যে বিধবা বিবাহ আইন তিনি পাশ করাবেনই। কিছু দিনের মধ্যেই তা সত্যি সত্যি করে দেখিয়ে সমাজ সংস্কার করলেন।
তাঁর বাদুড়বাগানের বাড়িতে সাহায্যপ্রার্থীদের ভিড় লেগেই থাকত। কার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না, কার বাড়ি নিলামে উঠেছে, কার অন্ন জুটছে না তিনি কিন্তু সবাইকেই সাহায্য করতেন। কাউকে ফেরাতেন না। তাই মানুষ তাঁকে ডাকত ‘করুণার সাগর’ বলে। আবার মানুষকে সঠিক পথ দেখাতেও তিনি জানতেন। একবার এক স্টেশানে এক যুবক একটি স্যুটকেশ হাতে নামলেন। কে বইবে স্যুটকেশ? যুবক হাঁক পাড়ল— ‘কুলি!’ কুলি নেই দেখে বিদ্যাসাগর নিজেই তার স্যুটকেশটা বয়ে দিলেন। যুবক তাঁকে চিনতে না পেরে, কুলি মনে করে টাকা দিতে যেতে বিদ্যাসাগর তাকে বললেন, ‘এই সামান্য কাজের জন্য পয়সা নেব কেন? এ কাজটুকু আপনি নিজেও করতে পারতেন। নিজের জিনিস নিজে বওয়া কি অন্যায়? যুবকটি তাঁর পরিচয় জানতে চেয়ে যখন শুনল যে তিনি স্বয়ং ‘বিদ্যাসাগর’ —তখন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল!
তিনি কোনও বাধাবিপত্তিকে গ্রাহ্য না করে নির্ভীক সৈনিকের মতো লড়াই করে যেতেন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় গরিব মানুষদের অকাতরে হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিলোতেন, কখনও বীরসিংহে অন্নসত্র খুলতেন আবার বেথুন সাহেবের স্কুলের জন্য ছাত্রী জোগাড় করে দিতেন সম্ভ্রান্ত ঘরের অভিভাবকদের রাজি করিয়ে। তিনি এক জীবনে কত কী যে করেছেন ভাবা যায় না। আমরা ধন্য তাঁর মতো যুগপুরুষকে পেয়েছি। আজকের দিনে তাঁর মতো মানবদরদি বন্ধুর অভাব আমরা অনুভব করতে পারছি আর তাই মাইকেল মধুসূদন দত্তের তাঁর সম্বন্ধে করা উক্তির সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমাদেরও বলতে ইচ্ছে করছে—
‘বিদ্যার সাগর তুমি
বিখ্যাত ভারতে
করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে
দীন যে, দীনের বন্ধু!’
ছবি: সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে 
22nd  September, 2019
বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ 

এই মহান মানুষটি তাদের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। সেই বিদ্যাসাগরের জন্মের দুশো বছর উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে লিখল মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন (মেন)-এর ছাত্ররা। 
বিশদ

22nd  September, 2019
শ্যুটিং ফ্লোর ছেড়ে পুজোর প্যান্ডেলে 

অ্যাকশন, কাট শব্দগুলো এখন শুনতে একঘেয়ে লাগছে ছোট্ট অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। মন তাদের উড়ুউড়ু। আকাশ নীল, কাশের বনে দোলা লেগেছে। সব্বার প্ল্যানিং সারা। কে কী করবে জানাল হ য ব র ল’র বন্ধুদের। 
বিশদ

15th  September, 2019
শিউলি কুঁড়ির সকাল 
কার্তিক ঘোষ

দাপুটে কানা নদীর গা ঘেঁষে তখন বোসেদের একটাই বাড়ি। তবু সবাই বলত বোসপাড়া!
আসলে, যত রাজ্যের পড়াশোনা করা ছেলে-মেয়েরা তখন সব ওই বাড়িতেই বেশি।
কেউ কলকাতায় নামী বিজ্ঞানী, তো, কেউ ডাক্তার!
পাশের বাড়িটা বড্ড গরিব! 
বিশদ

15th  September, 2019
 ড.‌ মারিয়া মন্টেসরির জন্মদিনে জে আই এস গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান

ড.‌ মারিয়া মন্টেসরির ১৪৯তম জন্মদিনে জেআইএস গোষ্ঠীর প্রি-স্কুল ‘‌লিটল ব্রাইট স্টারস প্লে স্কুল’‌ পথ চলা শুরু করল। গত ৩১ আগস্ট সংস্থাটি এ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। প্রিস্কুলের পঠনপাঠনের পরিবর্তন নিয়ে একটি আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়।   বিশদ

08th  September, 2019
 পৃথিবীতে বন্দি ভিনগ্রহী?

খোদ আমেরিকার বুকেই নাকি রয়েছে ভিনগ্রহীরা বন্দি হয়ে! এমনই দাবি বেশ কিছু মানুষের। কোথায় বন্দি হয়ে থাকতে পারে তারা? কেনই বা বন্দি করে রাখা হতে পারে তাদের? হ য ব র ল’র পাতায় রইল সেই নিয়ে খোঁজখবর।
বিশদ

08th  September, 2019
 লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে কয়েক ঘণ্টা...

আমেরিকা থেকে ফিরে তোমাদের জন্য লিখেছেন মৃণালকান্তি দাস।
বিশদ

08th  September, 2019
ঘুঘুরাম
বাণীব্রত চক্রবর্তী

লোকটার চোখের দিকে তাকিয়ে কিট্টু ভয় পেয়ে গেল। নৌকোটা নদীর ঘাটের কাছে। ওখানে এক কোমর জল। তবে নৌকো ও ঘাটের মধ্যে পাটাতন পাতা আছে। সে সহজেই নৌকোয় উঠে যেতে পারে। নৌকোটা পাড়ের বটগাছের গুঁড়ির সঙ্গে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা। তবু নৌকো দুলছে। লোকটাও।
বিশদ

08th  September, 2019
গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুলের অনুষ্ঠান 

সাড়ম্বরে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করল গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুল (বয়েজ), টাকী হাউজ। এদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষিকা স্বাগতা বসাক। 
বিশদ

01st  September, 2019
পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী 

দাউ দাউ করে জ্বলছে পৃথিবীর ফুসফুস। ভয়ঙ্কর দাবানলের গ্রাসে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে আমাজন জঙ্গলের অনেকটা অংশ। গাছপালার পাশাপাশি আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছে অসংখ্য জীবজন্তু। হয়তো তাদের মধ্যে কোনও কোনও প্রজাতি চিরদিনের জন্য মুছে গেল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে।  
বিশদ

01st  September, 2019
রসগোল্লার ভূতভোজন 
দেবল দেববর্মা

এই গল্পটা শুনেছিলাম আমার বাবার মুখে, তা সে বহুকাল আগের কথা। তখন এত বাস-ট্রাক বা ছোটখাট লরি যাকে কলকাতার লোকে এখন ছোটহাতি বলে, সে-সবের এমন রমরমা ছিল না। আর গ্রামাঞ্চলের কথা আলাদা। 
বিশদ

01st  September, 2019
স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন  

৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করল দিল্লি পাবলিক স্কুল (জোকা)। এদিন বিদ্যালয় সেজে উঠেছিল শিক্ষার্থীদের আঁকা টি-শার্ট, নিজের তৈরি পতাকা প্রভৃতি দিয়ে। স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রতিটি অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল নজর কাড়ার মতো।  
বিশদ

25th  August, 2019
ন’বছরের জ্যাকের চাকরির আবেদনে অবাক নাসা 

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন পরিচালনা, কক্ষপথে স্যাটেলাইট প্রেরণ, মহাকাশ থেকে আবহাওয়ার নজরদারি, সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের তথ্য উদ্‌ঘাটনে বিভিন্ন মহাকাশ মিশন পরিচালনা, চাঁদ, মঙ্গল বা ইউরোপায় বসবাসের সম্ভাবনা সম্পর্কে গবেষণা প্রভৃতি নানা ধরনের কাজ করে নাসা। 
বিশদ

25th  August, 2019
রেনি ডে 

রেনি ডে মানেই একরাশ মজা। পড়ে পাওয়া একদিনের ছুটি, রাস্তার জমা জলে ইচ্ছেমতো হুটোপুটি আর বাড়িতে গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে দুপুরবেলা গল্পের বই নিয়ে সোজা বিছানায়। সেই রেনি ডে নিয়ে এবার কলম আর রং-তুলি ধরেছে হিন্দু স্কুলের ছোটরা।  
বিশদ

25th  August, 2019
কাগাড়ু
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 কিন্তু নিত্যকে বিজয়মাল্যে ভূষিত করার বদলে স্যার চেয়ার থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সরে যেতে গিয়ে চেয়ারের পায়ায় ঠোক্কর খেয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন। কোনওমতে টেবিলের কোনাটা ধরে সামলে নিলেন। তারপর প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করে বললেন, গেট আউট! আই সে গেট আউট!! স্যারের চিৎকারে আমরা সবাই বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। বিশদ

18th  August, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মশার আঁতুড়ঘর হিসেবে সল্টলেকে নয়া আতঙ্ক থানাগুলি। সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকে সল্টলেক পূর্ব থানায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। তাতেই ধরা পড়েছে, থানার বিল্ডিং এবং ক্যাম্পাসের চারপাশে একাধিক জায়গায় জমা জল রয়েছে। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: কোথাও থিম আলো, আবার কোথাও দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা। কোথাও সবুজ বাঁচানো ও জল সংরক্ষণের বার্তা, আবার কোথাও প্রতিমা নয়, নিজের মায়ের মধ্যেই দুর্গাকে দেখার আহ্বান। এগরা শহরের পুজোয় এবারও বিভিন্ন ক্লাব নানা থিমের ডালি নিয়ে হাজির। শহরে ...

সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত দ্বিতীয় ডিভিশন ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে গেল। স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা বলেন, ক্রীড়াসূচি তৈরি হওয়ার পর তিনটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ। তিনটি ক্লাবকে তারজন্য শোকজও করা হয়েছে।  ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খড়্গপুরে কারখানার সম্প্রসারণ করতে চায় টাটা মেটালিক্স। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে। সোমবার বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। এর ফলে আরও ৬০০ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৭: গায়ক কুমার শানুর জন্ম 

23rd  September, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৪ টাকা ৭১.৮৪ টাকা
পাউন্ড ৮৭.০৪ টাকা ৯০.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৭ টাকা ৭৯.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৩২৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৯০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ২৮/৩ অপঃ ৪/৪২। পুনর্বসু ১২/৩৪ দিবা ১০/৩১। সূ উ ৫/২৯/১৭, অ ৫/২৮/৩৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে।
 ৬ আশ্বিন ১৪২৬, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, দশমী ১৫/৩৮/২২ দিবা ১১/৪৪/৩১। পুনর্বসু ৩/২৭/১৪ দিবা ৬/৫২/৪, সূ উ ৫/২৯/১০, অ ৫/৩০/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে ও ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে, বারবেলা ৬/৫৯/২০ গতে ৮/২৯/৩০ মধ্যে, কালবেলা ১/০/০ গতে ২/৩০/১০ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/০/২০ গতে ৮/৩০/১০ মধ্যে।
২৪ মহরম

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। বৃষ: শেয়ার বাজারে আজ কিছুটা বিনিয়োগ করতে পারেন। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৩২: স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু১৯৪৮: হোন্ডা মোটরস কোম্পানির প্রতিষ্ঠা১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

হাওড়ায় আত্মঘাতী পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া 
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শৌচাগারে আত্মঘাতী হল পঞ্চম শ্রেণীর এক ...বিশদ

08:54:53 PM

দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন 

07:26:05 PM

হরিপালের নন্দকুঠিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ 
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ...বিশদ

06:28:27 PM

চোটের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দল থেকে ছিটকে গেলেন জসপ্রিত বুমরাহ 
অনুশীলনের সময় চোট পেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। চিকিৎসকরা ...বিশদ

05:17:56 PM