শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
কুণ্ডুবাড়ির মুণ্ডু পুজো/পাতে পড়েছে দই
সব কুণ্ডু খেতে বসেছে/নিত্য কুণ্ডু কই?
ছড়া হিট। মুহূর্তে সে ছড়া ছড়িয়ে পড়েছিল সবার মুখে মুখে। ছাত্ররা তো বটেই, শেষ পর্যন্ত আমাদের পি টি টিচারও যখন সে ছড়া শুনিয়ে গেল ক্লাসে তখন নিত্য আর নিজেকে বশে রাখতে পারেনি। চরম তুতলে বৈদ্যনাথের উদ্দেশে বলেছিল, তো.. তো.. তোকে আ.. আ.. আমি দেখে নেব। দেখে সে নিয়েছিল। সবার অগোচরে এক টিউব ফেভি কুইক
নিয়ে উজাড় করে দিয়েছিল বৈদ্যনাথের কোঁকড়া চুল ভর্তি মাথাতে। পরদিন বেচারা বৈদ্যনাথকে নেড়া হয়ে স্কুলে ঢুকতে হয়েছিল।
এহেন নিত্যকে সবাই একটু সমঝেই চলত। কে জানে বাবা কখন কী করে বসে! তা সেদিন ছিল ক্যুইন্টাল স্যারের ক্লাস। ক্যুইন্টাল
স্যার আমাদের অঙ্ক আর ফিজিক্যাল সায়েন্স ক্লাস নিতেন। আসলে ওনার নাম কুন্তল। আমাদের হেডস্যারের বাঙাল উচ্চারণে সেটা হয়ে যেত কুইন্তল। আর কুইন্তল থেকে ক্যুইন্টাল হতে কতক্ষণ! বর্ণ বিপর্যয়ের অসাধারণ উদাহরণ। যাই হোক সেদিন ক্যুইন্টাল স্যার এসে কে সি নাগের
বই থেকে একটা খটমট ত্রৈরাশিকের অঙ্ক কষতে দিলেন সবাইকে। নিত্য বেশ খানিকক্ষণ পাশের ছেলের সঙ্গে কাটাকুটি খেলার পর উঠে দাঁড়িয়ে বলল, স্যার একটু বাথরুমে যাব? ক্যুইন্টাল স্যার কড়া চোখে তাকিয়ে বললেন, দু’ মিনিটের বেশি যেন সময় না লাগে, যা। খুশি মনে মাথা নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে গেল নিত্য। কিন্তু দু’ মিনিট তো নয়ই, কুড়ি মিনিট বাদেও নিত্যর ফেরার নাম নেই! ক্যুইন্টাল স্যারের সেটা নজরে এল খাতা জমা নেওয়ার সময়। রেগে চিৎকার করে উঠলেন, অ্যাই নিত্যটাকে কান ধরে বাথরুম থেকে নিয়ে আয় কেউ! বৈদ্যনাথ আগ্রহ ভরে বলে উঠল, আমি যাব স্যার? স্যারের অনুমতি নিয়ে বৈদ্যনাথ বেরতে যাচ্ছিল, এমন সময়ে নিত্যর প্রবেশ। কিন্তু এ কী! নিত্যর হাতে ধরা এটা কী? আমরা অবাক বিস্ময়ে চেয়ে দেখলাম একটা আস্ত কাক ধরে নিয়ে ক্লাসে ঢুকছে নিত্য। কাকটা তার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আশায় ডানা ঝাপটাচ্ছে আর কা কা রবে ক্লাস মাথায় করে তুলছে। কাক হাতে নিত্যকে ক্লাসে ঢুকতে দেখে ক্যুইন্টাল স্যারের মুখটা প্রথমে কেমন যেন ভেবলে গেল। তারপর কেমন যেন ভয় পেয়ে গেলেন। বোধহয় ভাবলেন কাকটা যদি উড়ে এসে ঠুকরে দেয়! নিত্য অবশ্য অকুতোভয়। সে কাক হাতে করে বীরদর্পে হাসতে হাসতে স্যারের টেবিলের কাছে এগিয়ে গেল। ভাবখানা এমন যে, সে বিশ্বজয় করে ফেলেছে এবং ক্যুইন্টাল স্যার তাকে বিজয়মাল্য দিয়ে ভূষিত করবেন!
কিন্তু নিত্যকে বিজয়মাল্যে ভূষিত করার বদলে স্যার চেয়ার থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সরে যেতে গিয়ে চেয়ারের পায়ায় ঠোক্কর খেয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন। কোনওমতে টেবিলের কোনাটা ধরে সামলে নিলেন। তারপর প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করে বললেন, গেট আউট! আই সে গেট আউট!! স্যারের চিৎকারে আমরা সবাই বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু নিত্যর মধ্যে কোনও ভাবান্তর নেই। সে দাঁত বের করে স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে রইল। স্যার আবারও চিৎকার করে বললেন, হতভাগা তুই অঙ্ক না কষে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কাক ধরছিস! কাক একটা ধরার মতো জানোয়ার হল? নিত্য বলল, কাক তো স্যার জানোয়ার নয়, কাক তো পক্ষী!
—পক্ষী! দাঁড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি লক্ষ্মীছাড়া। বলে হাতটা লম্বা করে স্যার নিত্যর কানটা ধরে হ্যাঁচকা টান মারলেন। নিত্য টাল সামলাতে না পেরে একটু কাত হয়ে গেল আর হাতটা ঢিলে হয়ে যাওয়ায় কাকটা ডানা ঝটপটিয়ে জানালা দিয়ে উড়ে চলে গেল। তবে যাওয়ার আগে বোধহয় ভয়ে বা রাগে স্যারের টেবিলের ওপর হাগু করে দিয়ে গেল। নিত্যর মুখটা কেমন যেন পাংশু হয়ে গেল। অবশ্য সেটা কানের ব্যথায় নয়, কাকটা উড়ে যাওয়ার দুঃখে। সে বলেই ফেলল, স্যার এত কষ্ট করে কাকটা ধরলাম, আর আপনি উড়িয়ে দিলেন! স্যার তেড়ে উঠে বললেন, ব্যাটা গর্দভ! লোকে টিয়া ধরে, ময়না ধরে, কোথাও শুনেছিস যে কেউ কাক ধরেছে? আজ থেকে তোর নাম আমি দিলাম কাগাড়ু। আর তোর শাস্তি হল, এই টেবিলটা প্রথমে পরিষ্কার করবি তারপর প্রশ্নমালার সবকটা অঙ্ক করে তবে কাল স্কুলে ঢুকবি।
নিত্যর একটা কান তখনও স্যারের হাতে। সেইভাবেই ঘাড় বেঁকিয়ে নিত্য বলে উঠল, স্যার নামটা কাগাড়ুর বদলে বাঘাড়ু রাখলে ভালো হতো না?
—বাঘাড়ু! কেন তুই কি বাঘ ধরেছিস নাকি?
— স্যার আসলে কাগাড়ু নামটা শুনতে ভালো নয়। আর তাছাড়া ভালো করে ভেবে দেখুন, বাঘ ধরার চাইতে কাক ধরাটা কোনও অংশেই সহজ কাজ নয়। বাঘাড়ু নামটার মধ্যে একটা বেশ ভারিক্কি ব্যাপারও আছে, যেটা কাগাড়ুতে নেই।
ক্লাসের অন্যরা বেশ হাসি হাসি মুখ করে এই কথোপকথন শুনছিল। এমন সময় ক্লাস শেষের ঘণ্টা পড়ে যাওয়াতে স্যার রণে ভঙ্গ দিয়ে বেরিয়ে গেলেন।
২
তখনকার মতো এই ঘটনায় ইতি পড়লেও স্কুলময় বিষয়টা ছড়িয়ে পড়ল। বিশেষ করে স্যারের দেওয়া নিত্যর ‘কাগাড়ু’ নামটা। সবাই নিত্যকে কাগাড়ু বলেই ডাকতে শুরু করে দিল। এমনকী স্কুলের বাইরে যে বিহারীটা আচার আর কুল বিক্রি করে সেও নিত্যর নতুন নাম জেনে গেল। পরদিন টিফিনের সময় নিত্য কুলের আচার কিনতে গেলে বিহারীটা তাকে দেখে মশকরা করে বলে উঠল, আও আও কাগাড়ু বাবু!
এই অপমানটা নিত্য ঠিক হজম করতে পারল না। পাশেই আমি ছিলাম। আমাকে বলল, ক্যুইন্টাল স্যারের কাণ্ডজ্ঞানটা দেখলি! দেশময় লোকের কাছে আমাকে কীভাবে হেয় করল!
তবে অনেকের কাছে নিত্য আবার হিরো হয়েও উঠল। সত্যিই তো কাক ধরাটা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! নিচু ক্লাসের ছেলেরা এসে যখন নিত্যকে জিজ্ঞেস করে, নিত্যদা কাকটা কীভাবে ধরলে? তখন নিত্যর বুকের ছাতি বেড়ে যায় আর সে সাতকাহন করে বলতে থাকে তার কাক ধরার গল্প। এতে তার ‘কাগাড়ু’ নামের ক্ষতে খানিকটা মলমও পড়ে।
তবে এরপর থেকে কাক ধরাটা নিত্যর বাতিকের পর্যায়ে পৌঁছে গেল। যেখানেই সে কাক বসে থাকতে দেখে স্থান, কালের পরোয়া না করে সেখানেই চেষ্টা করে কাকটাকে ধরার। সবসময় পারে না, আবার কখনও কখনও পেরেও যায়। এই করতে
গিয়ে একাধিকবার সে মাথায়
কাকের ঠোক্করও খেয়েছে। কিন্তু
নিত্য ‘লা পরোয়া’। ধীরে ধীরে
কাকের আচার ব্যবহার সম্পর্কে
নিত্য একজন অথরিটি হয়ে উঠল। টিফিনের সময়ে সে আমাদের একেকটা কাক দেখিয়ে বলত,
দেখ এই কাকটা কিন্তু এখন বসে ঝিমোচ্ছে, এখন এটাকে ধরা খুব সহজ। আবার কখনও বলত, এখন কাকটা খাবার খুঁজছে, এসময়ে
ধরতে যাওয়াটা বোকামো। আবার কোনও কাককে দেখিয়ে বলত, এই কাকটা এ অঞ্চলের কাকেদের সর্দার। একেক সময়ে মনে হতো প্রতিটা কাককে যেন ও আলাদা আলাদা
ভাবে চেনে। তখন যদি নিত্যকে ‘আমার জীবনের লক্ষ্য’ রচনা লিখতে বলা হতো তাহলে নির্ঘাত ও লিখত,
‘আমি একজন দক্ষ কাক শিকারি
হতে চাই’।
তিন
এই গল্পের যবনিকা পড়ল টিচার্স ডে-র দিন। সেদিন ছাত্রদের তরফে স্কুলে স্যারদের জন্য খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল। এলাহি মানে অবশ্য চিকেন বিরিয়ানি। নিত্যর বাবার ফাস্ট ফুডের দোকান।
সেখান থেকেই হেভি ডিসকাউন্টে স্যারেদের জন্য আমরা বিরিয়ানি আনিয়েছিলাম। বিরিয়ানি খেয়ে টিচার্স রুমের বেসিনে সাবান দিয়ে কচলে কচলে হাত ধুচ্ছিলেন ক্যুইন্টাল স্যার। বিরিয়ানিতে দেওয়া সস্তার ডালডা হাত চটচটে করে দিয়েছিল কিনা! যাই হোক হাত ধোয়ার সময়ে বেসিনের সামনের খোলা জানলায় ডান হাতের মধ্যমার দামি পাথর বসানো সোনার আঙটিটা খুলে রেখেছিলেন তিনি। হাত ধুয়ে সেটা আবার পরে নেবেন এমনটাই ইচ্ছে ছিল স্যারের। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়! একটা কাক এসে হঠাৎ আঙটিটা মুখে করে নিয়ে উড়ে চলে গেল। স্যার বোকার মতো জানলা দিয়ে ফ্যালফ্যাল করে দেখলেন সামনের মাঠের কোনায় দারোয়ানদের থাকার ঘরের মাথায় টিনের চালটায় উড়ে গিয়ে বসল কাকটা। ক্যুইন্টাল স্যার মাথা চাপড়ে ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠলেন, আমার দশ হাজার টাকা দামের আঙটিটা গেল! ওরে নিত্য, বাবা আমার, কাকটাকে ধর শিগগিরি। কাক ধরায় তোর বিশ্বজোড়া নামডাক! এবার সত্যিকারের প্রয়োজনে তুই এগিয়ে আয় বাবা, বীরের মতো ঝাঁপিয়ে পড় তোর স্যারকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে!
নিত্য মাঠে বসে একটা ডাঁসা পেয়ারা চিবোচ্ছিল। স্যারের হাহাকার শুনে জানলার সামনে এসে বলল, আপনি চিন্তা করবেন না স্যার ব্যাপারটা আমি দেখছি। তবে একটা প্রমিস করুন, আপনি আমার কাগাড়ু নামটা উইথড্র করে নেবেন! তখন স্যার পারলে নিত্যর পায়ে ধরেন, নাম উইথড্র তো সামান্য ব্যাপার। স্যার নব্বই ডিগ্রি মাথা কাত করে বললেন, কাগাড়ু নাম উইথড্র করে তোকে আমি বাঘাড়ু নাম দেব। তুই শুধু আমার আঙটিটা উদ্ধার করে দে বাবা!
নিত্য স্যারের কথা শুনে এক মুহূর্ত দেরি না করে ছুটল দারোয়ানদের ঘরের দিকে। ওদিকে কাকটা ততক্ষণে টিনের চাল থেকে স্কুল কমপাউন্ডের পাঁচিলের ওপর গিয়ে বসেছে। স্কুলের তাবৎ ছাত্র স্যারের আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিল টিচার্স রুমে। তারা এবার মাঠে গিয়ে ভিড় করেছে। নিত্য পা টিপে টিপে পাঁচিলের ওপর বসে থাকা কাকটার দিকে এগচ্ছে, আর সমবেত ছাত্রের দল চাপাস্বরে নিত্যকে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। স্যাররাও এসে ভিড় করেছেন টিচার্স রুমের জানলায়। এমনকী বাইরের সেই বিহারী আচারওয়ালাটাও কীভাবে যেন জানতে পেরে এসে জুটেছে খেলার মাঠে। সেও ‘জিও কাগাড়ু বাবু’, ‘সামনে বাড়ো’ এসব বলে টলে নিত্যকে উৎসাহ দিতে শুরু করে দিয়েছে। নিত্য পা টিপে টিপে এগচ্ছে আর তার প্রতিটি পদক্ষেপের তালে তালে আমাদের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে। ঠিক যেন ওয়ান ডে ম্যাচের লাস্ট বল। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি। জিততে গেলে ইন্ডিয়াকে শেষ বলে ছ’ রান করতেই হবে। বোলার’স এন্ড থেকে রান আপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স। ঠিক সেই রকম সিচুয়েশন।
পা টিপে টিপে কাকটার নীচে এসে একটু থমকাল নিত্য। তারপর গোলকিপারের ক্ষিপ্রতায় লাফিয়ে উঠে নিখুঁত নিশানায় কাকটার লেজ পাকড়ে ধরল। কাকটার মুখে তখনও চকচক করছিল স্যারের সোনার আঙটি। কিন্তু সম্ভবত লেজে টান পড়াতে কাকটা যেই ঠোঁটটা ফাঁক করল অমনি আঙটিটা টপ করে তার গলায় ঢুকে গেল। আবার হাহাকার করে উঠলেন ক্যুইন্টাল স্যার। ছাত্ররা অবশ্য ততক্ষণে নিত্যকে বিজয়ী বীরের মতো কাঁধে তুলে নিয়েছে। যেন বিরাট কোহলি শেষ বলে ছয় মেরে ইন্ডিয়াকে জিতিয়ে দিয়েছে। নিত্যর হাতের মুঠোয় ট্রফির মতো ধরা রয়েছে কাকটা। ছাত্রদের কাঁধে চেপেই টিচার্স রুমে প্রবেশ করল নিত্য। হাতে কাক। কিন্তু কুইন্ট্যাল স্যার কাঁদোকাঁদো। তিনি ককিয়ে উঠে বললেন, হ্যাঁরে আঙটিটা তো গিলে ফেলল, এবার কী হবে?
বায়োলজি স্যার শশধরবাবু বললেন, আপনার কোনও চিন্তা নেই। আমি ল্যাবরেটারিতে নিয়ে গিয়ে ওটাকে কেটে আঙটি বের করে দেব। বলেই হাঁক দিলেন, অ্যাই কেউ একটা ডিসেকশন বক্স নিয়ে আয় তো!
নিত্য দেখল তার ক্রেডিট অর্ধেক হয়ে যেতে বসেছে। সে তাড়াতাড়ি বলে উঠল, দরকার নেই স্যার, আমি কাক কাটতে পারি। আমি একাই এটা কেটে ফেলব।
শুনে হেডস্যার বললেন, তুই কাক ধইরতে পারস শুনছিলাম, আজ স্বচক্ষে দেখলাম। কিন্তু তুই কাক কাটতেও পারস তা তো কুনওদিন শুনি নাই! হেডস্যারের কথা শুনে ঘরে সাময়িক নৈঃশব্দ নেমে এল!
এরপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিত্য বলল, স্যার আমাদের দোকানে মুরগি কম পড়লে তো কাক দিয়েই কাজ চালানো হয়, তাই!
শুনেই হেডস্যার মুখে হাত চাপা দিয়ে ছুটলেন বেসিনের দিকে। আর তার পিছন পিছন আরও কয়েকজন স্যার!