Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। পছন্দের নামে কত কিসিমের বক্স যে নামল হাতের কাছে। কিঙ্কির তবু মনে ধরে না। দোকানের যুবকটি বলল, ‘আপনার বাচ্চার বয়স কত? আই মিন, তাদেরও একটা পছন্দের ব্যাপার আছে তো!’
কিঙ্কি সৌম্যর দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল। পরে দোকানির দিকে চশমা-ফোড় চাহনি তুলে বলল, ‘ক্লাস ফাইভের বয়।’ এবার ছেলেটি টুকটুকে লাল, সুন্দর দেখতে একটা বক্স বের করে বলল, ‘তাহলে, এইটা নিন। পছন্দ হবেই।’
নানা সুবিধার চমৎকার বক্সটি লুফে হাতে তুলে নিল কিঙ্কি। দামটাও ভালো। সেটা সানন্দে কিঙ্কিই মেটাল। সৌম্য পার্স হাতে নিয়েও কিঙ্কির অকৃত্রিম খুশির মুখটা তাকে বিরত করল।
ট্যা঩ক্সিতে উঠে সে কিঙ্কিকে বলল, তুমি তো দিব্যি টকটকে লাল পছন্দ করলে, রুকু কী বলে জানো। ওর ঠামিকে একটা ঘুড়ির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলছে। ঘুড়িটা আমাদের ছাদের পাশে সুপুরি গাছে ভোকাট্টা হয়েছিল। রুকু দেখে উত্তেজিত হয়ে ঠামিকে ডাকছে, শিগগির ছাদে  এসো ঠামি— দারুণ একটা ধবধবে লাল ঘুড়ি সুপুরি গাছে আটকেছে—!
মা সেটা পেড়ে এনে আমাকে বলল, ‘এই দেখ— তোর ছেলে এটাকে ধবধবে লাল ঘুড়ি বলছে।’
আমি রুকুকে বললাম, ‘তাহলে সাদাকে কী বলবি?’
সে স্মার্টলি উত্তর দিল, ‘কেন, টকটকে সাদা।’
আমি হাসব কী, চিন্তায় পড়ে গেলাম। ছেলে কালার ব্লাইন্ড নয় তো।’
শুনে কিঙ্কি হেসে অস্থির। চশমার কাচ মুছে বলল, ‘তারপর?’ সৌম্য বলল, ‘পরে জানলাম বন্ধুদের মধ্যে রঙের রকমফের নিয়ে ওটা একটা মজার খেলা ওদের। যেমন, মিশমিশে হলুদ— কুচকুচে সবুজ— ফুটফুটে কালো— ক্যাটকেটে সাদা...। এইসব আর কী।’ কিঙ্কি বলল, ‘বাহ বেশ মজার খেলা তো! এতটুকু মাথায় এদের এত বুদ্ধি আসে কী করে।’
বলতে বলতেই কিঙ্কি ‘আরে, রোকো-রোকো’ করে নিজের গন্তব্য এসে গেছে জানাল।
এই ঘটনাটা ভাবতে ভাবতে কখন এসে পড়ল সদা বিষণ্ণ পিয়ালি। তার প্রতিদিনের হাঁটা চলা-কথা বলা, নানা অসন্তুষ্টির সেইসব বিস্বাদ ভাষা। যেমন, আমার কিছু বলার নেই। তোমার ভালো-মন্দ আমি বলার কে। ওসব তোমার মাকে জানিও। হয়তো ঘটনাচক্রে সেদিন কোনও সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে সৌম্য। পিয়ালির সঙ্গে শেয়ার করতেই এইসব মন্তব্য তার। সৌম্য চুপসে যায়। কথা এগয় না। চুপ করে থাকলেও কোথাও যেন একটা সমস্যা মুখিয়ে আছে মনে হয়। যা এড়ানো যায় না। পিয়ালির এইভাবে সংসারে কোনও মতামতে না-ঢোকা, সৌম্য বুঝে উঠতে পারে না, এটা পিয়ালির স্বভাবের ভালো দিক, না কি উদ্দেশ্যমূলক এড়িয়ে চলা। একসময় বুঝল যখন, সেই বোধ আর পাশ কাটাবার নয়। তাদের মধ্যে অনতিক্রম্য হাইফেন তখন রুকু।
রুকুর একটু একটু বড় হওয়া, এগিয়ে আসা মানে অদ্ভুতভাবে পিয়ালির পিছুহটা। ধীর লয়ে তার মুঠি গুটিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিক থেকে সম্ভবত আড়চোখের জরিপে, অবস্থা বুঝে দু’হাতের বেড়ে ঠাম্মি তার নাতিকে ঠাঁই করে দিচ্ছে নিজের বলয়ে। তবু পিয়ালিময় একটা ছায়া যে আজও অনস্বীকার্য রুকুর জন্য, সেটাই বোধহয় অবচেতনে হুট করে এসে যায় যখন-তখন।
বাস্তবত সৌম্যর দিনগুলো এইভাবে কাটলেও, নিজের মতো করে বেঁচে থাকার উপকরণ কী তার নেই। আছে। ভেবে দেখলে যথেষ্টই আছে। এই তো গত পরশুদিন কিঙ্কির ইচ্ছায় ঢুকতে হল ক্যান্টিনে। পর্দা ফেলা কেবিনে কী শুধুই খাওয়া। কত কথায় যে মুখরিত কিঙ্কি, কত জলতরঙ্গ হাসিতে উপচে-পড়া তার। ঝকঝকে পঁচিশের উচ্ছ্বাস, ছত্রিশের পিতৃত্বপ্রাপ্ত সৌম্যর গাম্ভীর্যে মিলেমিশে একাকার। সৌম্য ভাবে, ভালোলাগার আবেদনে সে কী ক’ধাপ পিছলে নেমে এল! নাকি অনেকটাই উঠল কিঙ্কি স্বয়ং প্রাপ্তমনস্ক হয়ে। তবে যেটাই হোক ভালোলাগার কোনও সময়সীমা নেই, এটা ঠিক।
কিঙ্কির দিক থেকে বোঝা যায়, সৌম্যর সঙ্গে সমতা রাখতে প্রতি কথায় রুকুকে সে টানবেই। খাওয়ার বিল মিটিয়ে বলবে, ‘রুকুর একটা প্যাক নিচ্ছি— মোগলাই ওর খুব পছন্দ।’
‘...আজ থাক না।’ সৌম্য বলে, ‘ও তো ঠামির সঙ্গে সল্টলেক গেছে। খেয়ে ফিরবে।’
কিঙ্কি মৌরি-মুখে চেয়ে থাকল। সৌম্যর প্রসারিত হাতখানা ততক্ষণে গিয়ে উঠল বিছিয়ে থাকা আঙুলগুলিতে। অন্যতর গাঢ় স্বরে বলল সে, ‘কিঙ্কি, তুমি রুকুকে খুব ভালোবাসো, তাই না?’
আচমকা প্রশ্নে কিঙ্কি বলল, ‘এমন বলছ কেন? বাসব না! ওর জন্মদিনে দেখনি সবাইকে ছেড়ে কেমন আমাকে জাপটে ধরল। বাচ্চারা ভালোবাসার গন্ধ পায়।’
সৌম্যর বুকটায় একরাশ বাতাস খেলে গেল। অতর্কিতে বেখাপ্পা এক প্রত্যাশাও। যেন বন্যা তার বিপদসীমা পেরতে যাচ্ছে।
বোধহয় সেই শুরু...। আবারও আধখানা আকাশের আশা। মূলত অফিস কলিগ হিসেবেই তাদের পরিচিতি। খুব বেশিদিনের আলাপও নয়। সৌম্যর চাকরির বহু পরে কিঙ্কির জয়েনিং।
প্রথমস্তরে দাদাসুলভ মান্যতা ও নিজস্ব সহবত দিয়েই কাজকর্ম শিখে নিত। পরে, সম্মানিত আপনি সম্বোধন ক্রমশ মেলামেশার মধুর তুমিতে নামল। মন-পছন্দে উত্তীর্ণ হতে বাকি নেই বুঝল দু’জনেই।
এইরকম— একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জন্যই কি না কে জানে, কিঙ্কিও তার বিভোর কথা বলার সময়ে, বিশেষ আসা ফোনটি সে নির্মম হাতে কেটে দেয়। সে ফোন কার সৌম্য জানে। বরাবরের পরিচিত বন্ধু ভাস্বরের ফোন এভাবে আসে। আসতেই পারে। সৌম্য ভদ্রতাবশত বলে, ‘কাটলে কেন?’
কিঙ্কি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে উত্তর দেয়, ‘ছাড় তো! যা বলার সকালে তো বলেইছি—’
হাসছে সৌম্য— ‘কী বলেছ?’
‘...আজ আমার অফিসে কাজের চাপ আছে। বেরতে দেরি হবে।’
তার মানে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। সৌম্য সেটা বুঝে বলল, ‘আর সত্যি যেদিন কাজের চাপ থাকবে?’
কিঙ্কি কফিতে চুমুক দিয়ে কাঁধ ঝাকাল, ‘একই কথা বলব!’
কিঙ্কির এরকম প্রতিক্রিয়ায় সৌম্য যে অবাক হয় না, তা নয়।
ভাবে, পোড় খাওয়া, বয়সে ওজনদার এমন সংসারি পুরুষই কী আজকাল মেয়েরা পছন্দ করছে নাকি! না হলে অফিস-ফেরত এই মহার্ঘ সময়-যাপন তো তার প্রাপ্য নয়!
তার অবস্থা-বিপাকের অনুকম্পার ধারণাটিও মেলে না তেমন। কিঙ্কি তার খেয়ালখুশির শপিংয়ে, অফ-এর দিনেও ডাক দেয়। গত সপ্তাহে একটি নতুন তৈরি মল-এ বেরতে ডাক এল, একটু এসো না প্লিজ। বাইকটা নিয়ে বেরিয়ে পড়, বেশি সময় লাগবে না। কয়েকটা জিনিস কিনব তুমি থাকলে ভালো হয়।
‘আমাকে শপিং-মাস্টার ভাবলে কী করে?’
কিঙ্কি বলেছে, ‘আমার মতো অন্তত আনাড়ি তো নও।’
সৌম্য বরাবর ছুটির দিনগুলো রুকুর সঙ্গে কাটায়। রুকুও নানা প্ল্যান নিয়ে হা-পিত্যেশ থাকে এটুকুর জন্য। কিন্তু নেহাতই তার সেকেন্ডহ্যান্ড-হদ্দ গেরস্থ তকমাটি সরাতেই তাকে বোধহয় হুট করে বেরিয়ে পড়তে হল কিঙ্কির ডাকে। রুকু এখন ঘরে এক ঘণ্টার ড্রয়িং স্যারের কাছে।
কিঙ্কিও তার মা ও বোন নিয়ে ছোট্ট সংসারের একমাত্র চাকুরে। কেনাকাটা পাশে একজন অভিজ্ঞের মতো সৌম্যকে তার খুব পছন্দ। দু’জনেই তাই কেনাকাটা সেরে ব্রেকফাস্টও সেরেছে একত্রে। কিঙ্কির দাবিতে রুকুর জন্য চিকেন-পাব তো নিতেই হয়েছে। ব্যাগ বোঝাই হয়ে কিঙ্কি ট্যাক্সিতে উঠলেও সৌম্যকে ফিরতে হল বাইকে। বাড়ি ঢুকতেই রুকু জড়িয়ে ধরে বাবাকে। বাবার গায়ে মাথা ঘষে ঘষে ফোঁপায়। কিঙ্কির দেওয়া বড় বল আর খাবার প্যাক সৌম্যর হাতেই থেকে যায়। মা এসে কিছু একটা আন্দাজ করে, কেন যেন কিছু বলে না। সরে যায়। কিন্তু রুকুর জল-ভরা চোখ থমকে থাকে বিস্ময়ে বাবার দিকে।
‘তুমি কোথায় গিয়েছিলে বাবা? কত-কতক্ষণ ধরে আমি যে তোমাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না!’ সৌম্য থতমত অস্পষ্টতায় বলে, ‘এই তো এসেছি, এই তো আমি।’
নাছোড় শিশু গুমরে ওঠা কান্না সৌম্যর পিতৃত্বে ধাক্কা দেয়। কী এক অপরাধবোধের কুণ্ঠা নিয়ে নীরব থাকে। রুকুর যে সমান্তরাল প্রাপ্তির দুইপাল্লার একটা ফাঁকা। বাবাময় জগৎ তাই মুহূর্তের অদর্শনে সংশয়ে ভরে ওঠে। কোন সেই হাঁটি হাঁটি বয়সে— সবটুকু মাতৃত্বের দায় ঝেড়ে ফেলে সরে পড়েছে পিয়ালি তার পুরনো পিছুটানে, পুরনো কিনারে। সে বন্ধু তারই প্রতীক্ষায় ছিল এতদিন অবিবাহিত। এখন তাদের সুদূর লন্ডনের সংসারে— রুকুর কোনও ছায়া নেই। ছায়া নেই রুকুর মনেও। বাবা আর ঠামির ঘেরাটোপে, বাবার পাশে মা দেখা তো তার হয়ে ওঠেনি। সে পরিসরের সবটুকুই তার বাবাময়। বাবার অভাব তাকে মুহূর্তেই অসহায় করে দেবে— এ স্বাভাবিকতা সৌম্যকে মেনে নিতেই হয়। হাতের জিনিসগুলি টেবিলে রেখে, ছেলের মাথায় পিঠে হাত বোলাতে থাকে কৈফিয়তহীন স্নেহাদরে। রুকু মুখ গুঁজে গুমরাল কতক্ষণ। কতকিছু অনুযোগের ভাষাহীন অসহায়ত্বে শুধু বড় বড় কাতর চোখ তুলে চেয়ে থাকে ঠায়। একসময় বলে উঠল, ‘বাবা, তুমি আমাকে ছেড়ে কোত্থাও যাবে না বল! বল যাবে না?’
সৌম্য ছেলের মাথাটি বুকে আঁকড়ে ধরে থাকল। ভাবল, সব যাওয়া একরকম  না হলেও যাওয়া তো যাওয়াই। পিয়ালির স্পষ্টতর পলায়নের পাশে, এ-ও কী এক পলায়নী উদ্যোগ! সবই কী সেই দর্পী জীবনের চাহিদা।
ছেলের মাথায় হাত রেখে যেন অঙ্গীকারের মতো বলল সৌম্য ‘ঠিক আছে। কোত্থাও যাব না আমি। কোত্থাও না।’
এইসঙ্গেই সৌম্যর যাবতীয় ভালোলাগার ভিতর দিয়ে থিতু হয়ে রইল এই কান্না কাতর শিশমুখ।
অফিসের কাজে বরাবর যত্নবান সৌম্য। এখন কিছুটা তৎপর হল সংসারে। অনেকদিন পর ঝুলে থাকা একটি প্রোমোশন তার জুটেছে। মায়ের ইচ্ছায় পুজো দিতে পুরীধামে বেরতে হল নাতি-ঠাম্মাকে নিয়ে হঠাৎ। কিঙ্কি অবাক হল। ফোনে উষ্মা জানাতেও ভুলল না সৌম্যকে কনগ্র্যাচুলেশনের সময় দেওয়া হল না বলে।
সৌম্য বলল, ‘তোমার এত দেওয়ার পাশে, প্রোমোশন তো নেহাত ক্ষুদ্র পাওয়া কিঙ্কি! তো বেশ, আমি তো ফিরছিই, কী দেবে তুমি?’
‘বলো কী চাও।’
সৌম্য একটু চুপ করে থেকে উত্তর দিল, ‘চেয়ে নেওয়ার কোনও চমক নেই যে।’
কিঙ্কি তার জলতরঙ্গের মতো হাসিটি হেসে বলল, ‘ভেবে দেখি তাহলে।’
সপ্তাহের মধ্যেই ফিরে এল সৌম্যরা। কাজপাগল মানুষরা অফিস ছাড়া থাকতে পারে না বোধহয়। মনে মনে হাসল কিঙ্কি, নাকি প্রেমপাগল। প্রবল উৎসাহে কিঙ্কি তার ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ির ঘরদোর সাজিয়ে গুছিয়ে ফেলল। কিন্তু কনগ্র্যাটস-এর জন্য বেছে নিল একান্ত নিভৃতের পরিচিত রেস্টুরেন্টের সেই কেবিনটি। দু’জনের জন্য। বরাবর প্যান্টশার্টে স্বচ্ছন্দ সৌম্যকে কিঙ্কির নির্দেশে বিচিত্র অ্যাজটেক নকশার পাঞ্জাবি পরতে হয়েছে পাজামার সঙ্গে। পাঞ্জাবিটি কিঙ্কিরই কখনও দেওয়া উপহার। লম্বা সুঠাম সৌম্য নাকি কিঙ্কির মতো, পুরুষোচিত হ্যান্ডসাম। আজ নিজেও কিঙ্কি লাল সিল্ক শাড়িতে আগুনের মতো চমকাচ্ছে। সৌম্যর মুগ্ধতা নজর করে— রুকুর রঙের ধাঁধাটি টেনে বলল, ‘কী মনে হচ্ছে, একদম ধবধবে লাল তো?’ বলেই একচোট হেসে কিঙ্কি একটু গুছিয়ে বলল, ‘রঙের রকমফের মানুষের মধ্যেও আছে। রুকু ঠিকই বলে, লাল যদি সাদা হয়, সাদাও কী লাল হয় না!’
সৌম্য অন্যমনস্কের মতো বলল, ‘হবে হয়তো।’  আবার এ-ও বলল, ‘যার মধ্যে সব রঙেরই সমাহার সেই সাদার লাল হওয়ার দরকার কী!’
কিঙ্কির আজ অত ভেদকরণে সময় নেই। খুশির চটুল মেজাজে সাজানো খাবার টেবিলে সৌম্যর মুখোমুখি বসে পড়ে বলল হাত পাতো! সৌম্যর প্রসারিত হাতের পাতায় দামি পারফিউমের শিশিটি গুঁজে দিয়ে বলল ‘কেমন?’
সৌম্য হেসে বলল, ‘সেটা এখন বলব! না মাখার পর!’
কিঙ্কি বলল, ‘যা খুশি।’
এরপর সে চাপা উচ্ছ্বাসের মৃদু গুঞ্জনের মতো স্বর নামিয়ে বলল, ‘তুমি বলেছিলে, কী দেব তোমাকে। আজ শুধু পারফিউম নয়, যদি বলি পুরো আমাকেই তুলে দিচ্ছি তোমার হাতে! তুমি তো নিজে মুখে কথাটা বলতে পারলে না, আমাকেই বলতে হল। কী খুশি নও?’
হকচকিয়ে যায় সৌম্য। ঠিক শুনছে তো! সৌম্যর চিন্তা তো কখনও ভাবনা-বিলাস হয়েও এতদূর পৌঁছতে পারেনি। কিঙ্কির সরাসরি এ প্রস্তাব তা-ও কি না এক মধ্যবয়সের সপুত্র পুরুষের কাছে। প্রাপ্যের অধিক এই প্রাপ্তি তার, কিঙ্কির সঠিক সিদ্ধান্ত থেকেই এল তো। স্পষ্টতই কিঙ্কির দিকে, এতগুলি নীরব প্রশ্ন নিয়ে সৌম্য তাকিয়ে থাকে। কথা সরে না।
কিঙ্কি সৌম্যর অবাক মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে, বলে, ‘রুকু শুনলে খুশিই হবে— তুমি কী বল।’
রুকু। রুকুর কথায় বুকের মধ্যে ঘন হয়ে ওঠে সেই মায়া-মুখ। জাপটে-ধরা তার একক অধিকারের উষ্ণতা। বড়ই আকস্মিক যে, নাহলে তো এতক্ষণ করতলের সুগন্ধির শিশিটিও ঘেমে উঠছিল এক মধুর তপ্ততায়। অনতিক্রম্য এক বোধ তাকে থিতিয়ে দেয় হঠাৎ। শেষ পর্যন্ত যা সে বলব ঠিক করেছিল, যা সঙ্গত ছিল এবং প্রত্যাশিত ছিল কিঙ্কির কাছেও সেসব বলবার আগেই যেন দিক-নির্ণয়ের সঙ্কেতে সৌম্যকে সচেতন করে বেজে উঠল চেনা রিংটোন। হতচকিতের মতো একপলক চেয়ে দেখল সৌম্য কিঙ্কিকে। কিঙ্কির অগ্রাহ্যভাবকে উপেক্ষা করেই বলল বা বলতে হল— ‘ভাস্বরের ফোন। ফোনটা ধর কিঙ্কি।’
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
19th  February, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’ বিশদ

05th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। বিশদ

22nd  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...

তিনদিনের মস্কো সফর সেরে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। পশ্চিমি দুনিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ...

পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...

মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পোস্ট করা একটি ছবি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM