Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’
কার আদেশ তা লেখা নেই। কিন্তু সবাই জানে ওটা পাঁচু বোসের ভদ্রাসন।  লঞ্চঘাটের জেটিতে যাওয়ার কাঠের পুলের শেষপ্রান্তে এই তিন-চারখানা কাঠের তক্তা লাগানো ছিল, তাতে যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এরকম সাবধানবাণী লেখা হয়েছিল। জেটি রিপেয়ারিংয়ের সময়ে তক্তাগুলো ঝেড়ে নিয়ে এসে নিজের ভদ্রাসন বানিয়েছে পাঁচু বোস।  একেবারে সাবধানবাণী সমেত। 
ক’দিন আগে বেপাড়ার এক প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি তাতে বসে গভীর ও গম্ভীর প্রেমালাপে ব্যস্ত ছিল। ব্যাচেলার পাঁচু বোস জীবনে প্রেম করেনি। সে কিছুটা রাগে, খানিক লোভে তাদের বার্তালাপ শোনার জন্য গাছটার আড়ালে বিড়ি টানছিল।
সে শুনল প্রেমিকটি বলছে, ‘এখন কী আর সে ভূত আছে! বাজারে উৎকৃষ্ট পেতনিই নেই, তাই ভূতের ভিত খুব নড়বড়ে, আজ এখানে তো কাল অন্য জায়গায়!’
প্রেমিকা বলল, ‘তা বলে আমি কোনও অ্যাকশন নেব না, ভয়ে চুপ করে থাকব!’
প্রেমিক বলল,  ‘তোমাদের ছাদে মাঝ রাত্তিরে ধুপ ধুপ শব্দ হচ্ছে, যখন তখন দরজায় কড়া নাড়ছে, মানে এগুলো ক্যারেকটারলেস ভূত। না, ভূত ঠিক নয়, এরা হল অতৃপ্ত আতমা। বাড়িতে সুন্দরী কেউ থাকলে এর উপদ্রব বাড়ে।’
প্রেমিকা ভীষণ উদ্বেগ নিয়ে বলল, ‘ভূতই বটে তো? তুমি নয়তো? মা কিন্তু তোমায় সন্দেহ করছে। সেদিন বলছিল, পাশের বাড়ির ছেলেটার ডাবল রোল—ভূতের মতো দেখতে ওঁচাটে ছেলে...।’
ছেলেটা কেবল বলতে পারল, ‘যাঃ বাবা!’
প্রেমিকা ফিসফিস করে বলল, ‘শুধু ছাদে নয় গো, ভূতেরা এইসব নদী-টদীর ধারে গাছতলাতেও থাকে! ঘন ঘন বিড়ি টানে, অকারণে আড়ি পাতে...।’
পাঁচু বোস হাঁ। একেই কী বলে প্রেমালাপ! সে আর দাঁড়ায়নি। 
ওই তক্তাপোষের পাঁচজন অংশীদার। পাঁচু ছাড়া কালো মানিক, সাদা মানিক, সত্য মাস্টার এবং প্রায় আশি ছুঁই ছুঁই বেচা ঘোষ। পুরো সিনিয়র সিটিজেন ব্যাচ। তবে, সাদা মানিকের বিশ্বাস, সে এখনও সিনিয়র সিটিজেন হয়নি। তার অফিসিয়াল বয়স পিতৃদেবের অসাবধানতার কারণে দু’বছর বেড়ে গিয়েছে। স্কুলে ভর্তির দিন মা গিয়েছিল মন্দিরে পুজো দিতে। বাবা ঠাকুরমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘মানকেটা কবে যেন হয়েছিল?’
ঠাকুরমা একটুও না ভেবে জবাব দিয়েছিল, ‘ছিঃ ছিঃ, নিজের ছেলের জন্মদিন মনে নেই...একুশে শ্রাবণ।’
বাবা বিরক্ত হয়ে বলল, ‘ওঃ, সে তো ডেট হল। ইয়ার, মানে কোন বছর?’
ঠাকুরমা বলল, ‘এই তো সেদিন... যেবার তেরাত্রি টানা বৃষ্টি হল, আমাদের দোরের সামনে এক হাঁটু জল...।’
বাবা স্কুল যেতে যেতে রাস্তায় অন্তত তিনজনকে জিজ্ঞেস করেছিল ঠিক কোন বছরে বৃষ্টিটা হয়েছিল।  প্রথমজন দিনু মিত্তির বদ্ধ কালা। কী শুনেছিল কে জানে,  বলল, ‘তা সে বছর দশেক হবে।’ পাড়ার মুদির দোকানদার কার্তিক খানিক ভেবে জবাব দিল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, মনে পড়েছে... সেবারই নতুন ওজনদারিখানা কিনেছিলাম, তা প্রায় সাত বছর হল।’
এবং শেষ জন অঙ্কের কড়া মাস্টার রেবতীবাবু বললেন, ‘নাঃ, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেইনি!’
বাবা বলল, ‘সে কী, মানকে জন্মায়নি!’
রেবতীবাবু একবার মানিকের দিকে তাকিয়ে নাকি বিড়বিড় করে বলেছিলেন, ‘তার মানে বৃষ্টি ও জন্মানোর প্রক্রিয়া দুটি অসমান ও অসমান্তরাল সরলরেখা, যে কোন টাইমে একে অপরকে ক্র্যাস করে...কে জানে হতেও পারে!’
বাবা স্কুলে কার্তিকমুদির বলে দেওয়া বয়সই লিখিয়ে এল। 
পরের সপ্তাহে মানিক হজমিগুলি কিনতে গিয়েছিল। কার্তিক বলল, ‘তোর বয়স সাত নয়, পাঁচ। ওজনদারির রসিদখানা খুঁজে পেয়েছি। বাবাকে বলে দিবি।’
মানিকও বাড়ি ফিরে সটান বলে বসল, ‘বাবা, আমার জন্মের রসিদ কার্তিককাকুর কাছে আছে।’ 
এখন দুপুর যাই যাই, ঘড়িতে সাড়ে তিনটে। মাঝগঙ্গায় বালি ভর্তি সারি সারি অন্তত গোটা পাঁচেক নৌকো নোঙর করা। একটু পরেই জোয়ার আসবে। নোঙর তুলে দিলেই জোয়ারের এক ধাক্কায় নৌকাগুলো ফ্রিতে চলে যাবে অনেকটা দূর। পাঁচু বোসও নিজের তক্তাপোষে বসে আছে, বাকি চারজন এলে গুলতানির যে ঢেউ উঠবে তাতে পাঁচ সিনিয়র সিটিজেনও এক ধাক্কায় পিছিয়ে যাবে নিজেদের যৌবনে। কেবল দরকার একখানা জুতের সাবজেক্ট। সেখানেও অনেক রেস্ট্রিকশন, যে কেউ একটা বিষয় উত্থাপন করলেই হবে না, হতে হবে অ্যাজ পার সিরিয়াল। এ আড্ডার এই নিয়ম। আজ বিষয় বলবে পাঁচু বোস। গতকাল বেচা ঘোষ বলেছিল, ‘যে যার যৌবনের হিরোইজমের গপ্পো বলুন।’
তারপর আর কাউকে কিছু বলতে দেওয়া হয়নি। ঘণ্টা খানেক টাইম ধরে তিনি নিজেই সাতচল্লিশের স্বাধীনতা, ছেষট্টির খাদ্য আন্দোলন, একাত্তরের নকশাল পিরিয়ড নিয়ে বলে গিয়েছেন। সবেতেই তিনি নাকি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছিলেন ফোরফ্রন্টে। কালো মানিক কেবল একবার প্রশ্ন করেছিল, ‘এখন তো আপনার আশি, মানে সাতচল্লিশে ছিলেন পাঁচ কী ছয়। মানে বেচাদা, আপনি  নিশ্চয়ই কারওর কোলে চেপে ফোরফ্রন্টে ছিলেন, কে সেই হিরো?’
সেদিন আড্ডার যেটুকু টাইম বেঁচেছিল তাতে বাকি কেবল সত্য মাস্টারই একমাত্র বলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার যৌবনের সবচেয়ে হিরোগিরির ঘটনা ভাবলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। সে বিবাহের পর পর, একবার তোমাদের বউদি পিত্রালয়ে গিয়েছে তো গিয়েছেই, ফেরার নাম নেই। আমি ট্রাঙ্ককল করে হুমকি দিলুম। তিন দিনের মধ্যে ফিরতে হবে, না হলে তোমার একদিন কী আমার একদিন...।’
পাঁচু বলল, ‘বাপ রে, বলতে পারলেন!  তারপর?’
সত্য মাস্টার বললেন, ‘তারপর আবার কী, ফিরে এল সুরসুর করে। তবে ওই তিনদিন খুব টেনশনে ছিলুম, যদি না ফেরে!’
সাদা মানিক ফুট কাটল, ‘সে বউদি নেহাত আপনাকে স্নেহ করেন তাই...’
আজ বিষয় নির্বাচনের দায়িত্ব পাঁচু বোসের, তাই সে ভদ্রাসনে ধ্যানস্থ। সবাই এসে গিয়েছে। ধ্যানস্থ পাঁচু চোখ খুললেই সাবজেক্ট পাওয়া যাবে। এ যেন এগজামিনেশন সেন্টার, ঘণ্টা বেজেছে, এবার কোশ্চেন পেপার দেওয়া হবে। 
পাঁচু বোস চোখ খুলে বলল, ‘পেয়েছি। যে যার নিজের প্রথম অভিজ্ঞতা বলুন। এনি ফিল্ডে। তবে সংক্ষেপে।’
কালো মানিক তাড়াহুড়ো করে বলে উঠল, ‘সে আমার প্রথম বিয়ে...।’
তাকে থামিয়ে পাঁচু বোস বলল, ‘প্রথম মানে, আপনার তো একখানাই বিয়ে!’
কালো মানিক মাথা নেড়ে বলল, ‘ওই হল...  বলতে চাইছি বিয়ের প্রথম অনুভূতি। আমার হাতের উপর ওর হাত রেখে পুরোহিত বলল বলুন, যদিদ্বং হৃদয়ং তব, তদস্তু..। আমি সংস্কৃতে পাঁচের বেশি কখনও পাইনি। ভাবলাম কী দরকার রিস্ক নিয়ে। মন্তরখানা বাংলায় বললাম, হৃদয় যদি দিই, তোমাকেই দেব।’
পুরোহিত বাকরুদ্ধ। পাশ থেকে কনে বিড়বিড় করে বলেছিল, ‘যদি মানে! দেখাচ্চি।’
এবার সত্য মাস্টার। তিনি খানিক ভেবে বললেন, ‘সে হল গিয়ে স্কুলে আমার প্রথম দিন।  ফার্স্ট পিরিয়ড। ক্লাস থ্রি। আমি চেয়ারে বসতেই লাস্ট বেঞ্চ থেকে একটি ছাত্র বলল, ছার,  পেচ্ছাপ করতে যাব—।
বললুম, এখন নয়, আগে রোল কল।
সে চুপ করে গেল, আমি নাম ডাকতে লাগলুম। রোল নম্বর পনেরো কী ষোলো পর্যন্ত ডেকেছি, ছেলেটি ফের বলে উঠল, খুব জোরে পেয়ে গেছে ছার—।
আমি ভাবলুম কড়া হতে হলে প্রথম দিনেই হওয়া দরকার। কড়া গলায় বললুম, চুপ করে বোস।
 পঁয়ত্রিশ জন ছাত্র, ছেলেটার রোল পঁয়ত্রিশ। মানে একেবারে অপদার্থ। দেখলুম আগের তিনদিন সে অ্যাবসেন্ট। বোঝাই যাচ্ছে, এই জন্যই তার বাথরুমের তাড়া। বললাম, গার্জেনের চিঠি এনেছিস?'
সে চুপ করে রইল। 
বললুম, তার মানে স্কুল পালিয়েছিলি?
সে মাথা চুলকোচ্ছে।  ভাবলুম প্রথম দিন, যাক গে, মাপ করে দিই। বললুম, কী যেন বলছিলি?
 —আজ্ঞে, পেচ্ছাপ...।
বললুম, ছিঃ, সর্বসমক্ষে পেচ্ছাব বলতে নেই। 
অন্য বেঞ্চ থেকে একজন বলে উঠল, কী বলতে হয় আমি জানি ছার, ওটা ইয়ে পেয়েচে বলতে হয়।
বললুম, না, বলবে ছোট বাইরে যাব। যাও—। 
ছেলেটি বলল,  দেরি হয়ে গেল ছার... ছোট বাইরে, ছোট করে ভেতরেই হয়ে গেল যে!’
এতক্ষণ সাদা মানিক বলার জন্য উসখুস করছিল। সুযোগ পেয়েই বলল, ‘স্কুলের ক্রিকেট টিমের হয়ে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেছিলুম।’
পাঁচু বোস জিজ্ঞেস করল, ‘তাই নাকি! পেশ না স্পিন বোলার ছিলেন আপনি?’
সাদা মানিক সবিস্তারে বলতে আরম্ভ করল একেবারে টস থেকে। দু’-চার মিনিট শুনে অধৈর্য সত্য মাস্টার অভ্যেস বশে বললেন, ‘হয়েচে, হয়েচে,  কেবল হ্যাটট্রিক সম্পর্কে যাহা জান বল।’  
 সাদা মানিক থমকে গিয়ে বলল, ‘অ, শুধু ওটুকু! 
তা বেশ। শুনুন... ফার্স্ট ম্যাচে পর পর তিন বলে তিনখানা ক্যাচ মিস করেছিলুম। ক্যাচ মিসের হ্যাটট্রিক। প্রথম দুটো মিস হবার পরে থার্ড ক্যাচখানা প্রায় ধরে ফেলেছিলুম, তারপর ভাবলুম ব্যাটে রান করেছি শূন্য, বল করতে জানি না। একটা হ্যাটট্রিক অন্তত থাক, তাই ওই ক্যাচখানাও ছেড়ে দিলুম।’
সে থামতেই আশি ছুঁই ছুঁই  বেচা ঘোষ এবার বললেন, ‘শোন বাপু, আমি যা বলব, সেটা কিন্তু পাঁচ কান করা যাবে না। একখানা গোপন ব্যাপার... জীবনে ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট, এই একখানাই প্রেমপত্র পেয়েচি!’
কালো মানিক বলল, ‘বলেন কী! কে দিল? বেয়ান?’
বেচাবাবু বললেন, ‘ধুস! এ পাড়ার ওই নতুন ফ্ল্যাটবাড়ির একজন।’
সাদা মানিক বলল, ‘একেবারে ডায়েরেক্ট প্রেম নিবেদন করে লেখা?’
বেচা ঘোষ বললেন, ‘ভয়ে এ কাগজখানা বাড়িতেও রাখতে পারিনি, সঙ্গে নিয়ে ঘুরচি।’
তারপর পকেট থেকে একখানা কাগজ বের করে গলাখাঁকারি দিয়ে পড়তে শুরু করলেন— 
‘মাই ডিয়ার বেচাবাবু, আমি আপনার নাতি বিল্টুর বান্ধবী বুঁচির ঠাকুমা। অনেকদিন ধরে দূর থেকে ভাবি আপনার হাসিখানা কী সুন্দর। এত চমৎকার বাঁধানো দাঁত আমি দেখিনি। পান খেয়ে খেয়ে আমার দাঁতগুলো গেচে। আপনি কোথায় বাঁধিয়েচেন, একটু ঠিকানাটা দেবেন? আমি রোজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় মনিং ওয়াকে বের হই। আপনিও যদি আসেন গঙ্গার ধারে বকুল গাছের নীচে দেখা করেন, ঠিকানাটা নিতাম। আর হ্যাঁ, দয়া করে দাঁতগুলো পরবেন না, পকেটে করে নিয়ে আসবেন। আমি একবার হাত দিয়ে পরখ করতুম। ভবদীয়, বুঁচির ঠাকুমা।’
বিকেল প্রায় শেষ। এবার লাস্ট ম্যান পাঁচু বোস। অথচ তার মুখে কোনও কথা নেই। সত্য মাস্টার অধৈর্য হয়ে বললেন, ‘কই পাঁচু কিছু বল, এবার উঠতে হবে যে—।’
পাঁচু বলল, ‘আমি ছিলুম রিকশ ইউনিয়নের দুঁদে নেতা।’
এতটুকু বলে সে থেমে গেল। 
বেচা ঘোষ বললেন, ‘তা তো ছিলেন, সে আমরা দেকেচি।’
পাঁচু বোস বলে চলল, ‘আপনারা জানেন আমি অকৃতদার। সেটা ঠিক আবার বেঠিকও। 
আমার প্রেম বিয়ে সব ওই রিকশর সঙ্গেই। রিকশ উঠে গিয়ে এখন টোটো হয়েচে। তাই আমি এখন বিধবা। এবং ইউনিয়নও বন্ধ। কর্মীরা কাজ হারায়, নেতা কখনও কাজ হারিয়েচে শুনেচেন! আমি হলুম ওয়ার্ল্ডে ফার্স্ট বেকার নেতা! এ অভিজ্ঞতা দুনিয়ায় কারওর নেই, তাই শেয়ার করালেও বুঝবেন না...।
যাক গে,  চলুন, সন্ধে হচ্চে।’ 
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল
05th  February, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। বিশদ

22nd  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...

বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ঘোর অনিশ্চিত যশপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আয়ারের খেলা। ...

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনকাণ্ডে ধৃত ‘জামাই’ মনোজ রায়ের ফাঁসির দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলার সময় এই দাবি তোলেন মৃত নাবালিকার প্রতিবেশীরা। ...

উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন তনয় মান্না। বাবাকে বলেছিলেন, পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে। পরীক্ষার দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করতে। রাত আটটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একটি মালবাহী গাড়ি সটান এসে ধাক্কা মারে তনয়ের স্কুটিতে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM