Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। চুমকির কথায় জালে জড়িয়েই অবশ্য এই অবস্থা তার। সে যাই হোক। কথা আর বন্দুকের গুলি একবার বেরিয়ে গেলে, তাদের ফেরায় এমন সাধ্য কার আছে!  চুমকি কথাটা শুনেই তড়াক করে লাফিয়ে উঠল। সাত বছরের তুতুলের সবে ঘুমটা এসেছিল। মায়ের অমন লাফ দেখে সে উঠে বসে রইল কিছুক্ষণ। তারপর পুরো কথাটা শুনে গুটিগুটি পায়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। ঠাম্মার খুব ভালো নেটওয়ার্ক হিসেবে বছর দুয়েক ধরে কাজ করছে সে, বিনায়ক জানে। অন্য সময় হলে তুতুলের টুঁটি চেপে ধরে ঘুম পাড়াত চুমকি। কিন্তু হাজার পাঁচেক টাকা এরিয়ার হিসেবে পাওয়ার খবরটা শোনা ইস্তক উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে সে। তাই এ যাত্রায় তুতুল বেঁচে গেল। চুমকি সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনটা তুলে নিয়ে কী একটা খুঁজতে শুরু করল। বিনায়ক ভেবেছিল নির্ঘাত কুর্তি টুর্তি হবে। এরিয়ারের টাকাটা মাস ছয়েক ধরে আটকে ছিল। দিচ্ছি দেব করে দিচ্ছিল না কোম্পানি। পাঁচজনের সংসারের একমাত্র আর্নিং মেম্বার বিনায়ক। খাওয়া-পরা বা ওষুধ পথ্য ছাড়া কাউকে খুব বেশি কিছু দেবার ক্ষমতা সত্যিই তার নেই। তাই এই এরিয়ার টেরিয়ার হাতে পেলে সবার জন্য দু-পাঁচশো টাকার কোনও না কোনও উপহার নিয়ে আসে হাতে করে। এই মুহূর্তটুকু দারুণ উপভোগ করে সে। সামান্য জিনিস পেয়েও সবাই কী ভীষণ খুশি হয়! মাকে বছরের শুরুতে একটা ঘিয়ে রঙের চাদর এনে দিয়েছিল।  মা আনন্দে কেঁদেই ফেলেছিল। বলেছিল, এমন একটা চাদরের বড় সাধ ছিল আমার বাবু।
বাবাকে সস্তা ফ্রেমের একটা চশমা বানিয়ে দিয়েছিল সেবার। তুতুলকে একটা বার্বি এনে দিয়েছিল। সেটা পেয়ে তুতুলের সে কি আনন্দ! আর চুমকির জন্য এনেছিল সিটি গোল্ডের একটা মালা কানের দুলের সেট। চুমকিও খুব খুশি হয়েছিল। সেটা সবার জন্যেই ছিল সারপ্রাইজ গিফট। কিন্তু এবারে এরিয়ার পাওয়ার খবরটা বেঁফাস বলে ফেলে সারপ্রাইজ দেবার সু্যোগটা বেমালুম উধাও করে দিয়ে নিজের ওপরই বেশ রাগ হচ্ছিল বিনায়কের। এতক্ষণ চুমকি উল্টো দিকে ফিরে ফোনে খুটখুট করছিল। হঠাৎ সে বিনায়কের গা ঘেঁষে বসল।
—এই শোনো না...
বিনায়ক প্রমাদ গুনল। না চাইতেই এতটা ঘনিষ্ঠ হয়ে আসা আর তার সঙ্গে আদুরে গলার স্বর— এই দুটো ঘটনা একসঙ্গে ঘটা মানেই বিনায়কের জন্যে তা নিতান্তই অশুভ ইঙ্গিত। নির্ঘাত দামি কোনও জামাকাপড় চাইবে! কিন্তু বিনায়ককে যারপরনাই অবাক করে দিয়ে চুমকি ঘোষণা করল-
—এই দেখো, এই নাইট ক্রিমটার কথা তোমায় বলেছিলাম।  
—নাইট ক্রিম!
শুকিয়ে আসা গলায় একটু আর্দ্রতা মাখানোর ব্যর্থ চেষ্টা করল বিনায়ক। নাইট ক্রিম খায় না মাথায় দেয়, যেন সেটাই সে ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছে না। 
—কবে? কবে বলেছিলে?
বিনায়কের গলায় একটু স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা। 
—উফ! তোমায় নিয়ে আর পারি না! যেদিন তানিয়ার বিবাহবার্ষিকীতে গেলাম, মনে পড়ছে না? ওর ড্রেসিং টেবিলে সাজিয়ে রাখা ছিল! তোমায় দেখিয়ে বললাম, আমাকেও একটা কিনে দিতে! তুমিই তো তখন আমায় প্রমিস করেছিলে সামনে কোনও এরিয়ার পেলে কিনে দেবে। কি গো! মনে পড়েছে এবার! বাব্বা! যা ভুলোমন হয়েছ না!
নাহ! বিনায়ক কিছুই মনে করতে পারল না। গত মাসে চুমকির অন্তরঙ্গ বন্ধু তানিয়ার অ্যানিভার্সারিতে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কোনও নাইট ক্রিম সম্পর্কে কোনও কথা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না তার। যা হোক। সেকথা বলে চুমকির ভেতর থেকে বেরতে থাকা ভালোবাসার, আবেগের লাভা স্রোতের বেগকে রুদ্ধ করতে ইচ্ছে হচ্ছে না তার। সে চুপ করে আছে দেখে চুমকি বলল, ‘তাহলে অর্ডার করে দিচ্ছি। কেমন!’
বিনায়ক জানে তার হ্যাঁ বা নাতে আসলে কিছুই যায় আসে না চুমকির। ও যখন ডিসাইড করেই ফেলেছে,  তখন ও নেবেই।
বিনায়ক আমতা আমতা করে বলল, ‘তা দাম কত? বাবা, মা, তুতুল...’
তার পুরো কথা শেষ করার প্রয়োজন রইল না আর। কারণ তার আগেই চুমকি বলে উঠল, ‘দাম! না মানে দামটা একটু বেশিই পড়বে বুঝলে! আসলে হবে নাই বা কেন! পঁয়ত্রিশের পরে মেয়েদের স্কিনে যেসব প্রবলেম আসে সেগুলোকে দূর করে দেয় এই ক্রিম। দাম তো একটু বেশি হওয়াই উচিত!  দেখছ না তানিয়া তিন মাসের বড় হয়েও আমার চেয়ে কত বেশি ইয়াং!  কী গ্লো করে!’
বিনায়ক মনে মনে গজরাল। —তা কী শুধু ওইসব ছাইপাঁশ নাইট ক্রিমের গুণে? ও রীতিমতো জিম করে, ডায়েটিং করে। শরীরে এক ফোঁটা মেদ নেই। যদিও মুখে সেসব বলার সাহস দেখাল না।
আবারও একটু মিনমিন করল বিনায়ক।
—কই দামটা কত বললে না তো?  
—তেমন কিছুই না। তোমার বাজেটে কুলিয়ে যাবে। চার হাজার তিনশো টাকা।
—কী!
না চাইতেও আঁতকে ওঠার আওয়াজটা ছিটকে বেরিয়ে এল বিনায়কের মুখ থেকে। সাড়ে চার হাজার টাকার একটা ক্রিম কিনবে! তাও কি না যা মেখে দিনের বেলা বেরবে না! ভাবতেই পারছে না সে! নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে এসব বিলাসিতা মানায়! কিন্তু মুখে এসব কথা বলতে গেলেই গোঁসা হবে চুমকির। সামনের দু’-একমাস হয়তো ঠিকঠাক কথাও বলবে না। নিম পাতা খাওয়া মুখে বিনায়ক বলল, ‘একটু কম দামের মধ্যে নিলে হয় না গো! বুঝতেই পারছ তুতুলটা আশা করে রয়েছে একটা ব্যাগের জন্যে। সেই কবে বলে রেখেছিল মেয়েটা! মা একটা গরদের শাড়ি চেয়েছে সেই কবে! আজও দিয়ে উঠতে পারিনি। আর বাবার জুতোটাও...!’
কপাল কুঁচকাল চুমকি।
—আমার ক্রিম কেনার পরেও কড়কড়ে সাতশো টাকা থাকবে।  ওই দিয়ে যা করার কোরো।
—সাতশো টাকা দিয়ে এতজনকে উপহার দেব!
মনে মনে বিড়বিড় করল বিনায়ক।  
চুমকির অবশ্য সেসব দিকে কোনও লক্ষই নেই। সে কয়েক মিনিট পরে ফোনটা খাটে শুইয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, ‘যাক বাবা! আমিই পেলাম শেষ পর্যন্ত! স্টকে একটাই পড়ে ছিল বুঝলে! পুরো দুধে ঠাসা ক্রিম! উফ! কালই ডেলিভারি দেবে।’ 
—দুধে ঠাসা মানে? তুমি কী কন্ডেনসড মিল্ক কিনছ নাকি?
ভ্রুর ভাঁজ গভীর হল চুমকির।
—কী যে বল তুমি! এটা হল মিল্ক ক্রিম। খাঁটি দুধ দিয়ে তৈরি।
—দুধ দিয়ে তৈরি! তা দুধের জিনিসের জন্যে কেউ শুধুমুধু এতগুলো টাকা নষ্ট করে! কুড়ি টাকার দুধের প্যাকেট আনলেই তো কতদিন খাঁটি দুধ লাগাতে পারতে মুখে!
—হা হা হা। এ কি শুধুই দুধ গো! তারমধ্যে জাফরান সহ বহু জানা অজানা জিনিস মেশানো রয়েছে। তবু দেখ না আমার লাকটা কী ভালো। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার ক্রিমটা এত সস্তায় পেয়ে গেলাম।
সস্তায় পেয়ে গেল! মাই গড! বলে কী মহিলা! এই যদি সস্তা হয়, তবে দামি ক্রিম কাকে বলে! যদিও মুখে কিছুই না বলে তুতুলকে পাশের ঘর থেকে আনতে চলে গেল বিনায়ক। গিয়েই শুনল, তুতুল বকম বকম করে ঠাম্মা দাদুকে তার পাঁচ হাজার টাকা এরিয়ার পাওয়ার গল্প বলছে। তুতুলকে বাইরে থেকে ডেকে এনে তখনকার মতো বাঁচল সে।
সকালে ভাত বাড়তে বাড়তে মা প্রথম কথাটা তুলল।
—বাবু, আমার গরদের শাড়িটার পাড় বেশি চওড়া নিস না কেমন! একটু সরু পাড়ই আমার ভালো লাগে। আর তোর বাবাকে জুতোর জন্য গড়িয়াহাটে একবার নিয়ে যাস। মানুষটা আজ কত দিন ধরে জুতোর অভাবে হাঁটতে পারছে না।
বিনায়ক অন্য দিনের মতো খেতে পারল না আজ। অর্ধেক খেয়েই দেরি হয়ে যাওয়ার অজুহাতে উঠে পড়ল। মাকে কোনও উত্তরই দিতে পারেনি সে।
ওদিকে সকাল থেকেই চুমকি হাওয়ায় ভাসছে। আজই তার নাইট ক্রিম ডেলিভারি হবে। মনের ভেতরে একটা কষ্ট দলা পাকিয়ে উঠছে বিনায়কের। সারাটা দিন চোঁয়া ঢেকুর আর অস্বস্তি নিয়েই কাটাল। মা যখন জানবে চুমকির নাইট ক্রিমের জন্যে এবারেও তাকে গরদের শাড়ি দেওয়া হল না, কতটা কষ্ট পাবে! আর বাবা! নরম জুতো না পরলে বাবার পায়ের গোড়ালিতে যে ব্যথা হয়! আজ কতদিন হাঁটতে পারছে না ভালো করে। না হাঁটলে ওদিকে সুগার বাড়বে চড়চড় করে!
সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরেই বিনায়ক বুঝল এতক্ষণে তুতুলের কাছ থেকে সব সত্যি জেনে ফেলেছে মা-বাবা! মা মুখে কিছুই প্রকাশ করল না। বাবা বেশি সোজাসাপ্টা মানুষ হওয়ায় বলেই ফেললেন, ‘বাবু, আজও হাঁটতে যেতে পারলাম না রে! গোড়ালিতে বড় ব্যথা!’ বিনায়কের চোখ দুটো জ্বালা করছে কেন জানি!
রাতে শুতে এসে বিনায়ক দেখল ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে অনেকক্ষণ ধরে ঘষে ঘষে একটা বেগুনি রঙের চকচকে কৌটো থেকে ক্রিম মাখছে চুমকি। চোখমুখ দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, ওর স্থির বিশ্বাস এই ক্রিম মাখলে  ম্যাজিক করেই হঠাৎ এক আশ্চর্য সুন্দরী হয়ে উঠবে সে।
মিনিট পনেরো পরেও আয়নার সামনে থেকে উঠছে না দেখে তুতুলই ফুট কাটল।
—ও মা! আজ সারারাত তুমি কি মুখ দেখেই চলবে? শোবে না?
এবারে বোধহয় চুমকি একটু লজ্জাই পেল। সে তৎক্ষণাৎ উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। তুতুল তৈরি হয়েই ছিল। মা উঠতেই সেও তড়িৎগতিতে বড় লাইটটা নিভিয়ে জিরো ওয়াটের আলো জ্বেলে দিয়ে চুমকির ক্রিমটা হাতের মুঠোয় লুকিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেল। ঠাম্মা এই মহার্ঘ ক্রিমটা একবার ছুঁয়ে দেখতে চেয়েছে। কয়েক মুহূর্ত পরেই নাচতে নাচতে নিষ্পাপ মুখে তুতুল ফিরে এসে শুয়ে পড়ল। যেন কিছুই করেনি সে!

নীলা দেবীর হাতে তুতুলের দিয়ে যাওয়া সেই ক্রিমটা রয়েছে। অন্ধকারে হাতের মুঠোয় নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। বেশ মসৃণ কৌটোটা। তার স্বামী অর্থাৎ বিনায়কের বাবা ঘুমিয়ে পড়তেই সে গুটিগুটি পায়ে ডাইনিংয়ে এসে একটা চেয়ারে নিঃশব্দে বসল। এবারে চোখ বড় বড় করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে লাগলেন কৌটোটা। তাদের যৌবনেও কী এমন ক্রিম ছিল! এত দামি ক্রিম! কী জানি! হয়তো ছিল! সামান্য কেরানির বউ বলেই হয়তো তার এই ক্রিম চোখে দেখারও সৌভাগ্য হয়নি! কী সুন্দর রং কৌটোটার! দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এবারে আস্তে আস্তে কৌটোর মুখটা খুলে ফেলল। ভেতরে থাকা ক্রিম সাদা রঙের। কী সুন্দর একটা গন্ধ! দুধের একটা অদ্ভুত মিষ্টি গন্ধ। নাহ! এত ভালো গন্ধ সে জীবনেও পায়নি। 
চোখ বন্ধ করে নাকের সামনে কৌটোটা ধরে বসে রইল বেশ কিছুক্ষণ। তারপরই হঠাৎ বিনায়কদের ঘরের দরজায় খুট করে আওয়াজ হতেই ক্রিমের কৌটোটা ডাইনিং টেবিলের ওপর ফেলে রেখেই ঘরে ঢুকে গেল। বউমার হাতে ধরা পড়ে গেলে সে এক লজ্জার বিষয় হবে!
সকালে মৃন্ময়বাবু অর্থাৎ বিনায়কের বাবাই প্রথম ওঠেন ঘুম থেকে। উঠেই চা করে খাওয়া তার বরাবরের অভ্যেস। তিনি উঠে ডাইনিংয়ে আসতেই দেখলেন এক অদ্ভুত দৃশ্য। একটা বেগুনি রঙের কৌটোর মধ্যে একটা হুলো জিভ ঢুকিয়ে কী যেন খাচ্ছে। তাকে দেখেই হুলোটা পালিয়ে গেল।
 মৃন্ময়বাবু কৌটোটা তুলে দেখলেন কৌটো ফাঁকা। চেটেপুটে বিড়ালটা খেয়ে নিয়েছে ভেতরের মাল-মশলা। তিনি নীচে গড়াতে থাকা ঢাকনা দিয়ে কৌটোটা বন্ধ করে সেটা টেবিলের উপর রেখে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
12th  February, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’ বিশদ

05th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি।
বিশদ

29th  January, 2023
বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। বিশদ

22nd  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন তনয় মান্না। বাবাকে বলেছিলেন, পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে। পরীক্ষার দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করতে। রাত আটটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একটি মালবাহী গাড়ি সটান এসে ধাক্কা মারে তনয়ের স্কুটিতে। ...

তিনদিনের মস্কো সফর সেরে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরে গিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। পশ্চিমি দুনিয়ার শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। ...

আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...

পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM