Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

স্কুলছুট
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সকাল আটটা সাড়ে আটটা থেকেই আকাশে মেঘ জমছিল। বেলা বাড়তে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হল টিপটিপ বৃষ্টি। চড়াইদিঘি স্কুলের পাশে এতক্ষণ ব্যাজার মুখে দাঁড়িয়েছিল সুখেন বাউড়ি। বৃষ্টির তেজ বাড়লে ছুটে এসে স্কুলবাড়িটার বারান্দায় উঠে মাথা বাঁচায় সে। সুখুর শরীরটা বিশেষ ভালো যাচ্ছে না ক’দিন। বর্ষার জল মাথায় পড়লে জ্বর আসতে পারে। এসময় ভুগলেই কাজের ক্ষতি! কোমরে জড়ানো গামছাখানা খুলে ভালো করে গা-হাত-মাথা মুছে নেয় সুখু। ধুলোমাটি মাখা পায়জামা গুটিয়ে তোলে হাঁটুর কাছে। চোখের সামনে শুকনো আগাছা ভরা জমিটা তার পৈতৃক সম্পত্তি। মাটি তো নয়, যেন আগুনে ঝলসে যাওয়া পাথর আজন্মের পিপাসা বুকে নিয়ে শুয়ে রয়েছে। ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে নিমেষেই ধোঁয়ার মতো উবে যাচ্ছে। সেইদিকে তাকিয়ে একরাশ বিরক্তি নিয়ে স্বগতোক্তি করে সুখু, ‘ইখানটায় সব্জি উগায় কাহার বাপের সাধ্য!’ 
তারপর আঙুলের টানে কপাল থেকে ঘামটুকু মুছে উবু হয়ে বসে পড়ে বারান্দার কোণে। সাদা-নীল জামা পরা বাচ্চাগুলো ছোট ছোট থালা হাতে অঙ্গনে ভিড় করেছিল। পেটমোটা হাঁড়ি থেকে সকলের পাতে পাতলা গরম খিচুড়ি তুলে দিচ্ছিল স্কুলের ‘ভোজনমাতা’ রাধামণি। বৃষ্টিটা এসেই সব আয়োজন ভেস্তে দিল। খাওয়া মাথায় উঠেছে ওদের। থালা নিয়ে যে যেদিকে পারছে ছুটছে। সুখেনের বড় মায়া হল। নিজে বারান্দা থেকে নেমে দু-তিনজনকে জায়গা করে দিল সে। বাচ্চাগুলো গায়েগায়ে দাঁড়িয়ে হাপুসহুপুস শব্দে পাত্রের খাবার মুখে তুলছে। পরম স্নেহে অভাবী ঘরের রোগা, কালো ছেলেমেয়ে কটাকে দেখছে সুখু। দীর্ঘক্ষণের জমা বিতৃষ্ণার বোঝা সরে গিয়ে তার মনটা এখন পেঁজা তুলোর মতন হালকা। সুখু বুঝতে পেরেছে, জমিটা চাষের যোগ্য নয় বটে, তবে স্কুলের কাজে লাগতে পারে। পায়ে পায়ে সে এগিয়ে গেল প্রধান শিক্ষকের ঘরের দিকে।

মঙ্গলে ঊষা বুধে পা
যথা খুশি তথা যা।
কথাখানা শোনা। সুখু তাই বেছে বেছে বুধের ভোরেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছে। যাবে গোপীনাথপুর, জমি রেজিস্ট্রি অফিস। পরনে ধোয়াকাচা ধপধপে শার্ট-ধুতি, গলায় টুকটুকে লাল গামছায় চোখে লাগা সবজে চেক, পায়ে ময়লা চপ্পল। মাটির কুঁড়েগুলোর মাঝ বরাবর বিছানো ভাঙাচোরা পথ বেয়ে পাকা রাস্তায় উঠে প্রথমে টেম্পো, তারপর খানিক হেঁটে গেলে সরকারি দপ্তর। সেইখানেই লেখাপড়া করে সুখু জমি দান করবে আজ। খুব দূরের পথ নয়, যানজট থাকলে বড়জোর চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট লাগতে পারে, তবুও সাত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়েছে সে। 
শাওনের আকাশ আজ কিছুটা ফর্সা। আপন খেয়ালেই প্রকৃতি জানান দিচ্ছে ক’টা দিন পর থেকে ভাদরের রোদ্দুর আদিগন্তে ছড়িয়ে পড়বে। মাটির দাওয়া নিকিয়ে আলপনা আঁকা হবে। রঙিন কাপড়চোপড় পরে মেয়েরা মাতবে নাচে-গানে, পুজোআচ্চায়। ঘরে-ঘরে আসবেন পয়মন্তী ভাদুরানি। সুখু একবার ফিরে তাকায় আজন্মের ঠাঁই ঘুপচি বাসাটার দিকে। বাউড়িদের তিন পুরুষকে পরম স্নেহে নিজের অন্দরে আশ্রয় দিয়েছে এই একচিলতে ঘর। চাল থেকে মাটির দেওয়াল খানিক মেরামতের জন্য আজ হাহাকার করছে। একটানা জল খেয়ে অভিমানে মুখ ফুলিয়েছে খড়ের ছাউনি, এই বুঝি খসে পড়বে সব দায় ভুলে! সুখু নিরুপায়। চালে হাত দিলেই গাদাখানেক খরচা। টাকার অঙ্ক ঠিক কতটা হতে পারে ভাবতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সুখু চোখ মেলে দেয় দূর আসমানে। প্রভাতী স্নিগ্ধতার পোশাক ত্যাগ করে দিনের প্রথম ভাগেই সূর্যের তাপ গনগনে হয়ে উঠেছে, যদিও গোটা বেলা পড়ে! খর তাপে ভেজা খড় যদি খানিক শুকোয়! রোদের ঝলকানি শুষে নিয়ে সুখু চোখ বুজে ফেলে। আলোকোজ্জ্বল গোলোকটি অবিলম্বে তার বন্ধ চোখের পাতায় স্থিরচিত্রের মতো বন্দি হয়। মানুষটা দেখে, আলোর চাকতির চারধারে পাক খাচ্ছে ছেলেবেলার স্বপ্নগুলো। তড়িঘড়ি পা বাড়ায় সে। দৈনন্দিন চিন্তাগুলো ভেসে উঠতে গিয়েও থিতিয়ে পড়ে অতলে, আঁধারে। 
 সেদিন শেষ বিকালে বুড়ো বটের চাতালে বসে জিরোবার সময় আমতা আমতা করে কথাখানা পাড়ে সুখু।
—চড়াইদিঘির জমিডা ইস্কুলের নামে লিইখ্যা দুব। রুখা মাটিতে ফসল হবেক লাই। তার চেইয়ে উহাদের কামে আসুক কেনে!
হাতেগোনা যে ক’জন ছেলেবুড়োর সঙ্গে সে সুখ-দুঃখের কথা ভাগ করে নিত্য, তারা ‘রে রে’ করে ওঠে। যেন সুখু নেহাতই বেকুব। হরিলাল আঙুল তুলে আজব স্বরে বলে, ‘কও কী বুড়া? জমিনডার ভাও কি মন্দ বটে? দান কইরল্যে উহারা তুমায় পূজবে কত!’ 
সুখুর কপালে ভাঁজ পড়ে। মানসম্মান বহু দূরের কথা, জমিটুকুর বদলে কোনও প্রত্যাশাই যে তার নেই। সে সংসারী মানুষ। ছেলে-মেয়ের বাপ। বউটা ছিল সাক্ষাৎ লক্ষ্মী প্রতিমা। বছর পাঁচেক আগে মাথাভরা সিঁদুর নিয়ে সগ্গে গিয়েছে সে। বউ বেঁচে থাকতে ‘খোলার জল মালায় মালার জল খোলায়’ করে দিব্যি কেটেছে। কাজ থেকে ফিরে মুড়ির বাটি হাতে দাওয়ায় বসে সুখ-দুঃখের দু’টি কথাতেই পরান জুড়াত সুখুর। মনের মাঝে অভাব এতখানি ঘাই মারত না। ইদানীং ঘরদোর আর টানে না। তবে মাতৃমুখী মেয়েটাকে দেখলে ততক্ষণাৎ নিজের কর্তব্যের কথা মনে পড়ে যায়। বুঁচি মায়ের মতোই লক্ষ্মীমন্ত। মাত্র উনিশেই যৎসামান্য জোগানে ঘর চালিয়ে নিতে পারে। চালেডালে, নুনে-ভাতে কখনও পান্তা-পেঁয়াজে বাপ-বেটির দিন গুজরান। থেকে থেকে সুখুর মনে হয়, মেয়েটাকে এবার পাত্রস্থ করতেই হবে। কিন্তু ঘরের অশান্তি মিটলে তবে না ঠান্ডা মাথায় একটা ছেলে খুঁজবে! অভাবের থেকে অশান্তি বড় বালাই। সুখু বাউড়ির ছেলে কাত্তিক বিয়ে করে ঘর ছেড়েছে আগেই। চার চারটে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা বাপ-বোনের খোঁজ নেয়নি। হালে তার নজর পড়েছে বাপের সম্পত্তির উপর। জমির টুকরোটার টানে দিনে-দুপুরে শকুনের মতো গ্রামে চক্কর কাটে ব্যাটা। এলোপাথাড়ি হাওয়া বওয়া উদাস বিকালে, ভর সন্ধ্যায় আকণ্ঠ পান করে এসে দাওয়ায় বসে দুলতে-দুলতে ঝিমধরা গলায় বলে, ‘কাজের কথা কান খুইল্যা শুন রে বাপ। জমিডা বেইচ্যা দে। উ পয়সা লিয়া শহরে চল লা কেনে! আছেডা কী গাঁয়ে? শহরে যেয়ে ভালো ছেইল্যার সাথে বুঁচির বিয়া দুব।’    
ছেলের মুখ থেকে টাটকা লোভের সঙ্গে সস্তা পানীয়ের কটু গন্ধ বেরিয়ে পড়ে। প্রৌঢ় সুখুর গা গুলিয়ে ওয়াক উঠে আসে। সে হাঁ করে চেয়ে দেখে, ভোলাভালা ব্যাটাটার মুখেচোখে কেমন অচেনা ছাপ। শ্যামলা বদনে ছলচাতুরির উগ্র রং স্পষ্ট! যবে থেকে খাস কলকাতায় গিয়ে উঠেছে, তবে থেকেই কাতুর এই বদল। মাটির টান, রক্তের দাম সব ভুলে কেবল পয়সার পিছে দৌড়ে বেড়াচ্ছে। শ্বশুরের হাত ধরে রঙের কারখানায় কাজ জুটিয়েছে, মুখে বড়বড় বুলি। সুখু ভালো করে জানে, জমি বিক্রি হলে বিক্রয়মূল্যটুকু হস্তগত করেই মুখ ফিরিয়ে নেবে কাতু। তারপর কে বাবা আর কে বোন! অনেক ভেবে তাই লোভের বস্তুটাকেই সরিয়ে দিতে চায় সুখু। কেউ বুঝুক না বুঝুক, তার প্রাণের কথা ধরতে পেরেছে মনোহর। ওই মানুষটার পেটে বিদ্যে আছে কিছু। চড়াইদিঘির স্কুলে সুখু আর মনোহর একইসঙ্গে নাম লিখিয়েছিল এককালে। সুখুর মাথা মন্দ ছিল না। কিন্তু তার কপালে জন্ম ইস্তক অন্নের অভাব। তিন ক্লাস পার হতে না হতেই স্কুলছুটের তকমা লেগে গেল গায়ে। বেচারা গাঁয়ের ছেলে গাঁয়েই ধরল দিনমজুরের কাজ। একসময় স্পঞ্জ লোহার কারখানাতে, অবৈধ কয়লা খাদানেও মজদুরি করেছে সুখেন। তখন যৌবন ছিল, দানবের মতো খাটতে পারত। উদয়াস্ত শ্রম দিয়েও কতদিন যে উপযুক্ত মজুরি পায়নি, শুকিয়ে থেকেছে, তার হিসেব লেখা নেই কোথাও। দিনে দিনে বাহুবল হ্রাস পেয়ে শরীর এখন জং ধরা যন্ত্র। জীবন দিয়ে সুখু বুঝেছে পেটে একটু বিদ্যে থাকলে জীবনটা এমন ঝরা পাতার মতো হতো না। খেতখামারে কাজের মাঝে আজও যখন দেখে কচি ছেলের দল বই বগলে ইস্কুল পানে ছুটছে তার মনের ভেতরটা শ্মশানের মতো খাঁ-খাঁ করে। ছেলেটাকেও সুখেন পড়াতে পারেনি। প্রাইমারির গণ্ডি পেরিয়ে বাপের মতো কাত্তিকও ‘স্কুলছুট’ হয়ে থেকেছে গোটা কৈশোর। যৌবনে পা দিয়ে সঙ্গদোষে বেছে নিয়েছে অন্যপথ। কপাল ছাড়া আজ আর কাউকেই সুখু বাউড়ি দোষ দেয় না। সে চায় দীপেন, কিশোর, সুকুমার, ফারুকদের ছেলেমেয়েগুলো অনেক অনেক পড়ালেখা শিখুক। স্কুল পেরিয়ে, কলেজ পেরিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক। মানুষের মতো মানুষ হোক! আজকালকার বাচ্চারা স্কুলে গেলে একবেলা পেট ভরে খেতে পায়। সুখুদের সময় এমন ব্যবস্থা ছিল না। থাকলে অন্নের টানে জীবনে শিক্ষার আলো পৌঁছত ঠিক। খাবার জোটাতে জোটাতে মুখ থুবড়ে কালোয় হারাতে হতো না। টাকাপয়সার কথা তুলতেই এক ধমকে হরিলালকে চুপ করিয়ে দেয় মনোহর।
—কী বইল্যি? পয়সা! পয়সায় কি সব হয়? লিইখ্যাপড়া শিখলিনি, উহার ভাবনার কদর কী বুঝবি ব্যাটা? 
হরি জোয়ান ছেলে। তার শিরায় শিরায় গরম রক্ত টগবগিয়ে ফুটছে। সে-ই বা ছাড়বে কেন? সে বলে, ‘পড়ালিইখ্যা শিখি লাই তো কী? পয়সা কি কিছু কম কামাই!’  
তর্কাতর্কিতে চাতালের আড্ডাটাই ভেস্তে যায় সেদিন। রোদে-জলে, হিমে-হাওয়ায় সুখুর বহুকালের অভ্যাস। ইদানীং শরীরটা রেহাই চায়। সে ডাকে সুখু কর্ণপাত করে না মোটে। দৌড় থামার সময় আসেনি এখনও! আসলে সুখুর মতো খেটে খাওয়া মানুষরা চিরকালই পেটের দাসানুদাস। পেটের টানের কাছে দেহের ক্লান্তি অচিরেই মাথা নুইয়ে ফেলে। আরও জোরে দৌড়তে চায়। কিন্তু খাটতে জানলে কী? রোজ রোজ কাজ দিচ্ছে কে! কাজের বাজারে বছরভরই মন্দা। উপযুক্ত মরশুমে কাজ কামাই হলে সুখুর মনটা তাই খচখচ করে। আজ তার বিন্দুমাত্র গ্লানিবোধ নেই। আজ সে জেনেবুঝেই কাজে যায়নি। গোপীনাথপুরে না গিয়ে আজ সুখু ধরতেই পারত উল্টোপথ। পুকুর ভরাটের কাজে রোজগার হতো ভালো। ঘরে খানিক স্বস্তিও আসত। কিন্তু শান্তির মায়া পরশে অন্তরটা জুড়াত কি! ভাবতে-ভাবতে গভীর লম্বা শ্বাস ফেলে সুখু বড় রাস্তায় উঠে পড়ল। তার পঞ্চাশ পেরতে চলা সস্তা জীবনের অধরা সুখগুলো রুখা পথের উপর লাল রঙের ধুলোর মতো পাক খেতে খেতে শেষটায় মিলিয়ে গেল সময়ের গায়ে। 

লাল হয়ে আসা কাগজের বাণ্ডিল হাতে ধরে সুখেন বাউড়ির দিকে তাকালেন সরকারি কর্মী পুরুষোত্তম। টেবিলের অপর প্রান্তে দাঁড়ানো মানুষটার কালো মুখে অনটনের ছাপ স্পষ্ট। কেবল কোটরে ঢোকা চোখ দুটো জ্বলজ্বল করছে। যেন এক অপার্থিব আলোর খোঁজ পেয়েছে ছাপোষা দৃষ্টি! গণিত অনুযায়ী তিন ডেসিমিল মানে তেরশো ছয় দশমিক আট বর্গফুট। সরকারি হিসাবে ওই জমির দাম প্রায় সাতষট্টি হাজার টাকা। বাজার দর লক্ষাধিক। ‘দিন আনা দিন খাওয়া’ মানুষের কাছে হাতের মুঠোয় সোনার চাঁদের তুল্য বললেও অত্যুক্তি হয় না। আর সুখেন নির্বিকার চিত্তে ওই তিন ডেসিমিল জমি চড়াইদিঘির স্কুলের নামে লিখে দিতে চাইছে! কী ধাতু দিয়ে গড়া এই মানুষ!    
—ভালো করে ভেবে দেখেছেন তো বিষয়টা? একবার লেখাপড়া হয়ে গেলে ওই তিন ডেসিমিল জমির উপর আপনার আর কোনও অধিকার থাকবে না। স্কুলের সম্পত্তি হয়ে যাবে ওটা। জমিটা বিক্রি করলে একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা পেতেন কিন্তু! 
সরকারি বাবুর কথায় সুখু মুচকি হেসে চুপ করে থাকে। চোখভরা বিস্ময় নিয়ে মানুষটাকে জরিপ করতে করতেই রেজিস্ট্রি অফিসে সারা হয়ে যায় জমি হস্তান্তরের কাজ। ইতিপূর্বেই জমিদানের চুক্তিপত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে এসেছিল সুখু। দপ্তরের অন্য এক কর্মচারী জিজ্ঞাসা করেন, ‘সুখেনবাবু, জমিটা আপনি চড়াইদিঘির স্কুলকেই দিলেন কেন? অন্য কোনও কাজেও তো...’
মৃদু আপত্তি জানিয়ে সুখু বলে, ‘শিক্ষার কাজে দিলম বাবু। দুফুর রোদে বাচ্চাগুলো খাবার খায়। মনে ব্যথা লাগে। হামাদের সময় ইসব ছিল কই? একমুঠা অন্নের খোঁজে স্কুলছুট হইলাম! লিইখ্যাপড়া বন্ধ হইল। উহাদের খাওয়া হোক, পড়াও হোক।’       
 সামান্য একজন দিনমজুরের মুখে শিক্ষার কথা শুনে রেজিস্ট্রি অফিসের লোকজন মুগ্ধতায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।     

চড়াইদিঘির স্কুলের পাশে সুখু বাউড়ির জমিতে এখন বড় ছাউনি পড়েছে। স্কুলের বাচ্চারা ডাইনিং শেডে বসে শান্তিতে খাবার খায়। বাড়তি জায়গায় তৈরি হয়েছে ছোট একটি কিচেন-গার্ডেন। জলে-কাদায় গড়াগড়ি খেয়ে মহানন্দে সেখানে শাকসব্জি ফলায় পড়ুয়ারা। যাতায়াতের পথে মাঝেমধ্যে স্কুলের খবর জানতে আসে সুখেন বাউড়ি। দেখে, তার জ্ঞাতিদের জমির বুকে গড়ে ওঠা স্কুলটা ক্রমে যেন এক স্বতন্ত্র দেশ হয়ে উঠছে। মারামারি নেই, বিভেদ নেই, আছে কেবল প্রাণের ঘ্রাণ, শিক্ষার অমলিন স্পর্শ। পরম উৎসাহে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিশোরবয়স্ক প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে নিজেদের সঙ্গে সঙ্গেই খেয়াল রাখছে সহপাঠীদের। প্রয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আগলে রাখছে আবার পথও দেখাচ্ছে। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি এইভাবেই একটি গাঁয়ের স্কুল অকৃত্রিম জীবনবোধের শিক্ষায় সত্যিকারের মানুষ গড়ে তুলছে। আনন্দের অশ্রুভারে সুখেন বাউড়ির দু’নয়ন ছলছল করে। মহাকালের দরবারে সে মনে মনে আর্জি জানায়, পরের জীবনে যেন এই আলোর অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত না হতে হয়।
অঙ্কণ : সুব্রত মাজী
29th  January, 2023
সখা হে
সোমজা দাস

খাওয়া দাওয়া সেরে সবে সিরিয়াল দেখতে বসেছিল বনানী। আর ঠিক তখনই মোবাইলটা বেজে উঠেছিল। অচেনা নম্বর, অপরিচিত কণ্ঠস্বর। টিভির পর্দা থেকে চোখ না সরিয়ে ফোনটা কানে ছুঁইয়েছিল বনানী অগাধ নির্লিপ্তি নিয়ে। ঝিমলি তখনও স্কুলে, অনন্ত কারখানায়। বিশদ

05th  March, 2023
বাবলা
আইভি চট্টোপাধ্যায়

‘অ বউদি, দেখো আবার চলে এসেছে।’ দরজা খুলেই চিত্‍কার করে মামিকে ডাকল ছবি মাসি। ‘আবার!’ ঘরের মধ্যে থেকেই চেঁচিয়ে উঠেছে মামি, ‘একদম ঢুকতে দিবি না।’ বিশদ

26th  February, 2023
সুগন্ধের মতো
নিয়তি রায়চৌধুরী

 

সতর্ক হল সৌম্য। কী সব ভাবছে সে। বোধহয় একেই বলে অবচেতন, নাহলে তো কালকের অফিস ফেরত বিকেলটাই এতক্ষণ ঘুরছিল মনে। মা বলেছিল, ফেরার পথে রুকুর জন্য একটা টিফিন-বক্স কিনে আনবি। আগেরটা পুরনো হয়ে গেছে। কফিশপ থেকে বেরিয়ে সেটা কিনতে গিয়ে কিঙ্কি বলল, দাঁড়াও আমি পছন্দ করে দিচ্ছি। বিশদ

19th  February, 2023
নাইট ক্রিম
মহুয়া সমাদ্দার

কথায় কথায় কথাটা বলেই ফেলল বিনায়ক। প্রথমে ভেবেছিল চুমকির জন্যে কোনও উপহার এনে সারপ্রাইজ দেবে তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না। পেট থেকে কথাটা নীচে পড়তেই লুফে নিল চুমকি। এটা অবশ্য জানাই ছিল বিনায়কের। এত সুন্দর ক্যাচ মিস করার মতো প্লেয়ার নয় সে। বিশদ

12th  February, 2023
প্রথম
সুন্দর  মুখোপাধ্যায়

বরানগরে জয় মিত্তির ঘাটের ঠিক পাশে যেখানে বালির ট্রাকগুলো দাঁড়ায়, তার আড়ালে একখানা একহারা গাছ গঙ্গার দিকে হেলে দাঁড়িয়ে। গাছের নীচে একটা ভাঙা তক্তাপোষ ফিট করে রেখেছে পাঁচু বোস। তাতে লেখা, ‘অনুমতি ছাড়া বসা নিষেধ। আদেশানুসারে।’ বিশদ

05th  February, 2023
মহানগরের ঘোড়ার গাড়ি
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘অভিনেতা অক্ষয়কুমারের হাত দিয়েই বদলে গেল কলকাতার ঘোড়ার গাড়ির ইতিহাস...’ শুনেই হেঁয়ালির মতো লাগল। তবে প্রথমেই সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে পুরোটা শোনার পর বোঝা গেল গল্পটা।
বিশদ

29th  January, 2023
বর্ণাশ্রম
ভগীরথ মিশ্র

নিজে পুরোপুরি নিরক্ষর হলেও মানুষটি মনেপ্রাণে চেয়েছে, নয়ন পড়েশুনে মহা-দিগগজ হোক। সম্ভবত সেই কারণেই, একেবারে শিশুকাল থেকেই, সুযোগটি পাওয়ামাত্র, ঠিক বাচ্চাকে মোয়ার লোভ দেখানোর ভঙ্গিতে  বলত, ‘তুয়াকে কিন্তু মন দিয়ে লিখাপড়া কইরতে হব্যেক বাপ। বিশদ

22nd  January, 2023
পৌষের পিঠেপুলি
হারাধন চৌধুরী

রবীন্দ্রনাথ পিঠেপুলি ভীষণ ভালোবাসতেন। তাই শান্তিনিকেতনের অনেকেই নানারকম পিঠে বানিয়ে কবির কাছে পাঠাতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেপালচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। ঠান্ডার আমেজ আসামাত্র কবিই জিজ্ঞেস করতেন নেপালবাবুকে, ‘পৌষপার্বণের আর কত দেরি?’
বিশদ

15th  January, 2023
বস্তির ছেলে
কাবেরী রায়চৌধুরী

অর্পিতার মেজাজ যে খারাপ করে দিয়েছে সে বুঝেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ডাকল, অপু! শুনছ? অপুউউ...!
অপ্রসন্ন মুখ অর্পিতার, বলল, ‘বল, কী?’  বিশদ

08th  January, 2023
অন্তরের আলো জ্বালাতেই
কল্পতরু উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

১ জানুয়ারি। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি বাঙালির কাছে ইংরেজি নববর্ষের এই দিনটিও বেশ আনন্দের। সেই আনন্দের স্বাদ পেতে বাঙালি সেদিন বেরিয়ে পড়েন পথে। কারও গন্তব্য পার্ক স্ট্রিট, কারও চিড়িয়াখানা, কারও ইকো পার্ক, আবার কেউবা কোনও বিনোদনস্থল বা পর্যটনকেন্দ্রে চলে যান। বিশদ

01st  January, 2023
অমূল্য রতন
প্রদীপ আচার্য

একেবারে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে বইটাকে তুলে নিলেন প্রমদাকান্ত। উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছিলেন তিনি। এই বইটা তিনি এভাবে ফুটপাতে পাবেন কোনওদিন স্বপ্নেও ভাবেননি। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু, তিনি এই মুহূর্তে যা দেখছেন, তা কোনও ভোজবাজি বা স্বপ্ন নয়। কোনও দৃষ্টিভ্রমও নয়। বিশদ

01st  January, 2023
দেশ-বিদেশের আলোর উৎসব
তরুণ চক্রবর্তী

আমাদের মনের আলো, আমাদের চেতনার আলো জ্বালিয়ে দিতে চেয়েই আজকের দিনটিতে এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন মহামানব যিশু খ্রিস্ট। ক্রুশবিদ্ধ অবস্থায় যন্ত্রণাক্ত হতে হতে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর ঘাতকদেরও ক্ষমা করে। আজ আলোই বুঝি তাঁকে প্রণামের সর্বোত্তম উপাদান। বিশদ

25th  December, 2022
অঙ্গুরীমাল
সঞ্জয় রায়

বাবার পাশে বসে বিনোদ দেখত পুকুর ধারে ভেজা মাটি খুঁড়তেই কিলবিল করতে থাকা ক্ষুদ্র কীটগুলো উঠে আসছে। বাবা বলত, ‘এগুলো মাছের খাবার।’ তারপর কিলবিল করতে থাকা সরু লম্বা লম্বা কীটগুলোকে বাবা একটা ভাঁড়ে মাটির ভিতর জমিয়ে রাখত। বিশদ

11th  December, 2022
ভালোবাসার বাগান
বিতস্তা ঘোষাল

এক নাগাড়ে কথাগুলো বলে ছেলেটি বাসে বসা মানুষগুলোর মুখের দিকে তাকাল। কী যেন নিরীক্ষণ করে সামনের সিটে বসা ছেলেটির দিকে একটা কাগজ আর পেনটা এগিয়ে দিয়ে লিখে দেখতে বলল। ছেলেটি লিখতে লিখতেই সে আবার বলে উঠল, ‘কোম্পানি শুধুমাত্র এই একটি পেনই আজ বিক্রি করছেন না, তার সঙ্গে দিচ্ছে আরও দুটো পেন,’ বিশদ

04th  December, 2022
একনজরে
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে কি নয়া সমীকরণ? এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের পোস্ট করা একটি ছবি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ...

উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন তনয় মান্না। বাবাকে বলেছিলেন, পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে। পরীক্ষার দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করতে। রাত আটটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একটি মালবাহী গাড়ি সটান এসে ধাক্কা মারে তনয়ের স্কুটিতে। ...

পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...

আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM